মাহমুদ আলম,ছাতক: ছাতকে টানা শৈত্য প্রবাহের কারনে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের খেটে খাওয়া দিন মজুর মানুষদের দূর্ভোগ ক্রমেই বাড়ছে। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে হত-দরিদ্র শ্রেনীর সাধারন মানুষের জীবন।

শীত বস্ত্রের অভাবে দিনমজুর নারী-পূরুষের কষ্টের সীমা নেই। উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের গ্রামাঞ্চলে গত বুধবার রাত থেকে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হওয়ার পর থেকে এর তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। দিনে সকাল ১১টার আগ পর্যন্ত সূর্যের দেখা মিলছে না।

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরকারী ভাবে কিছু শীত বস্ত্র বিতরণ করা হলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা খুবই কম। বিকেল থেকেই ঘন কুয়াশার ও শীতের তীব্রতার কারনে নৌপথে কার্গো-জাহাজ সহ সকল ইঞ্জিন চালিত পরিবহন বন্ধ চলাচল করতে পারছে না।

নৌ-দূর্ঘটনার আশংকায় সুরমা নদীতে রাতের বেলা সকল পাথর, সিমেন্ট সহ পন্যবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হচ্ছে। ঘন কুয়াশার কারনে নদী তীরবর্তী কার্গো-জাহাজে সিমেন্ট ও পাথর লোডিং আনলোডিং বিঘিœত হচ্ছে।

শীতের কবল থেকে রক্ষা পেতে খড়কুটা জালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে এলাকার দরিদ্র শ্রেনীর মানুষ। এদিকে শৈত্যপ্রবাহের কারনে শীতজনিত সর্দি, কাশি, শাসকষ্ট, কোল্ড ডায়রিয়ায় সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। এ অবস্থায় বেশী কষ্টের শিকার হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধ শ্রেনীর লোকজন।

শীতের তীব্রতার এরই মধ্যে স্থানীয় হাসপাতাল গুলোতে রোগীদের ভীড় বাড়ছে। হাসপাতাল গুলোতে খোজ নিয়ে জানা গেছে, গত কয়েক দিনে নিউমোনিয়া ও শাসকষ্ট জনিত রোগে প্রতিদিনই হাসপাতালে ভীড় করছে ১৫/২০ জন নারী-পূরুষ। ছাতক উপজেলা সদর হাসপাতালে গত ৩ দিনে ৪০জন শিশু রোগী ভর্তির খবর পাওয়া গেছে।

এদের মধ্যে নারী ও শিশুদের সংখ্যা বেশী। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শীতজনিত রোগে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় বেশীর ভাগ শিশুরাই আক্রান্ত হচ্ছে। ছাতক উপজেলা হাসপাতালের টিএইচও ডাঃ গোলাম মাওলা জানান, প্রতিদিনই শীতজনিত রোগী ভর্তির সংখ্যা এখন বাড়ছে।

আমাদের হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমানে ঔষধ রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আইনুর আক্তার পান্না জানান, শীতের কারনে দূর্ভোগের কথা বিবেচনা করে জেলা প্রশাসন থেকে উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের আয়তন ও জনসংখ্যা বিবেচনা করে চেয়ারম্যানের মাধ্যমে জন্য ৫শ’ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।

তবে জনসংখ্যার তুলনায় কম্বলের পরিমান কম থাকায় জেলা প্রশাসনে ছাতক উপজেলার জন্য আরো শীত বস্ত্র বরাদ্দের আবেদন করা হয়েছে।