১৮ দলের লগমান্না আতোয়ার, ঢাকা: ১৮ দলীয় জোটের নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নির্যাতিতদের পাশে দাঁড়াতে শীঘ্র ঐ জেলা সফরে বের হচ্ছেন বলে বিএনপি সুত্রে জানা গেছে। তাছাড়া, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত হরতাল, অবরোধের মতো কঠিন কোনো কর্মসূচি না দেওয়ারও নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

খালেদা জিয়া নির্যাতিত সংখ্যালঘুদের পাশে দাড়াতে ও তাদের শান্তনা দিতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ঐ সব জেলায় সফরে বের হবেন। আপাতত কৌশলগত কারণে সকল কর্মসূচি শিথিল করে  সফর শেষে বিএনপি হার্ডলাইনে যাবে বলে সুত্রটি নিশ্চিত করেছে।

যে সব এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত নির্যাতিত মানুষ অসহায় অবস্থায় জীবন যাপন করছে ওই সব এলাকায়  স্থানীয় বিএনপি আয়োজিত সম্প্রীতি সভাতেও বক্তব্য রাখবেন খালেদা জিয়া।

যশোরের অভয়নগর উপজেলার মালোপাড়া, গাইবান্ধা, ঠাকুরগাঁও, নেত্রকোনাসহ বেশ কয়েকটি জেলা সফরের পরিকল্পনা রয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসনের।

এ ছাড়া, সরকারের একতরফা নির্বাচন প্রতিহতে বিরোধী দলের চলমান আন্দোলন-সংগ্রামে পুলিশ ও যৌথবাহিনীর গুলিতে দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। খালেদা জিয়া এ সব জেলাও সফর করবেন।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান এ ব্যাপারে আজকের বাংলাদেশ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বর্তমান অবৈধ সরকার নিজেদের ক্ষমতার মসনদ ধরে রাখতে একতরফা ভোটারবিহীন প্রহসনের নির্বাচন করেছে। ওই নির্বাচনে আ’লীগ ও তাদের দু-একটি দোসর দল ছাড়া দেশের কোনো রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করেনি।

আ’লীগের একজন আরেকজনের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল। যে প্রার্থী বিজয়ী হতে পারেনি, ওই তথাকথিত নির্বাচনের পর সেই প্রার্থীই সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর হামলা-নির্যাতন চালিয়েছে। তাদের বাড়ি-ঘর লুটপাট করেছে। সন্ত্রাস চালিয়েছে। অথচ এই ফ্যাসিস্ট সরকার ওই ঘটনার জন্য বিরোধী দলকে দায়ী করে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু জনগণ তা বিশ্বাস করে না।

আজম আরো বলেন, আমাদের দেশনেত্রী খালেদা জিয়া জনগণের জন্য রাজনীতি করেন। তিনি অবশ্যই এই নিপীড়িত অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াবেন। অতীতেও দাঁড়িয়েছেন। সে কারণে তিনি তিনি শীঘ্রই হামলার শিকার যেসব এলাকা, সেখানে সফর করবেন বলে আমরা জানতে পেরেছি।