ক্যানসার প্রতিরোধে ফুলকপির উপকারিতা
ঢাকা: শীতকালীন সবজি ফুলকপির পুষ্টিমান, ভিটামিন, মিনারেল, ভেষজ বা ঔষধি গুণসহ ডজন খানেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। সিদ্ধ ফুলকপির ভিটামিন চর্বি কমাতে এক কার্যকরী উপাদান। এটি খেলে সহজেই খিদে মিটে যায়।
সিদ্ধ ফুলকপির ডায়াটেরি ফাইবার হজমে সাহায্য করে। ফুলকপির গ্লকোরাফিন পাকস্থলীর ঝিল্লি রক্ষা ছাড়াও পাকস্থলীতে হ্যালোব্যাকটার পাইলোরি ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে দেয় না। পাকস্থলীর আলসার ও ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। এর জিংক নতুন কোষ সৃষ্টি করে ক্ষত নিরাময়ে সাহায্য করে।
ফুলকপি হাড়, দাঁতকে মজবুত রাখার পাশাপাশি স্নায়ুকে সচল রাখে। এর ভিটামিন-কে ক্ষতস্থানে রক্ত জমাট বাঁধতে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় উপাদান। গর্ভাবস্থায় ফুলকপি খাওয়া অত্যন্ত ভালো অভ্যাস। পুষ্টি উপাদান ও ভিটামিনগুলো কোষের বৃদ্ধিতে সহায়ক। মাতৃগর্ভে ভ্রƒণের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে এটি।
এর ম্যাগনেসিয়াম প্যারা-থাইরয়েডকে উদ্দীপ্ত করে হরমোন উৎপাদনে সাহায্য করে এবং ফসফরাস হাড় শক্ত করে। ফুলকপির সেলেনিয়াম রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় পাশাপাশি ক্রনিক ইনফেকশন কমাতেও এটি কার্যকরী।
এটি সোডিয়ামেরও উৎস, যা রক্তের সঠিক ঘনমাত্রা বজায় রাখে। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড থাকায় এটি ইনফ্ল্যামেশনের সম্ভাবনা কমায়। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড মস্তিষ্কের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।