অবশেষে ঘর ভাঙছে ওবামা-মিশেলের!
ঢাকা: বিশ্বের একটি সেরা দম্পতি বলা হয় মিশেল-ওবামাকে। মিশেল ৫০ বছরে পা দেয়ায় হোয়াইট হাউসে একটি পার্টিরও আয়োজন করেছেন প্রেসিডেন্ট ওবামা। পার্টিতে নাচ, গান ও আনন্দ করার জন্য অতিথিদের হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণও জানানো হয়েছে। কিন্তু আপাতদৃষ্টে সুখী এ দম্পতির জীবনেও নাকি দেখা দিয়েছে বিচ্ছেদের ফাটল।
মার্কিন ট্যাবলয়েড ম্যাগাজিন ন্যাশানাল ইনকোয়ারার দাবি করছে, শেষ হতে চলেছে মিশেল-ওবামার ২১ বছরের দাম্পত্য জীবন। ‘ওবামার জীবনে বিবাহবিচ্ছেদের বোমা!’ শিরোনামে ম্যাগাজিনটি বলছে, মিশেল অভিযোগ করেছেন তার স্বামী বিশ্বস্ত নয় বলে তিনি জানতে পেরেছেন।
প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়েছে, ২০১৬ সালে ওবামার প্রেসিডেন্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর মিশেলের সঙ্গে তার ছাড়াছাড়ি হয়ে যাবে। ওবামা চলে যাবেন নিজের শৈশব-কৈশোরের শহর হাওয়াইয়ে, আর মিশেল থাকবেন ওয়াশিংটনে। দুই মেয়েকে তিনি ওয়াশিংটনেই পড়াশোনা করাবেন।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ‘আদর্শ দম্পতি’ হিসেবে বিবেচিত ওবামা-মিশেলের মধ্যে ফাটলটা বেড়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। নেলসন ম্যান্ডেলার প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর অনুষ্ঠানেই এর ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। ওবামা যখন ডেনিস প্রধানমন্ত্রী হেলে থরনিং শিমিড ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের সঙ্গে মোবাইলে ছবি তোলার সময় হাসিতে ফেটে পড়ছেন, তখন পাশে গোমড়া মুখে বসে ছিলেন মিশেল।
দ্য ইনকোয়ারারের দাবি, সম্প্রতি আলাদা ঘরে ঘুমাচ্ছেন মিশেল-ওবামা। গেল ক্রিসমাসে ছুটি শেষে হাওয়াই থেকে শুধু দুই মেয়েকে নিয়ে ওয়াশিংটনে চলে আসেন ওবামা। মিশেল থেকে যান হাওয়াইতে। হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে এ নিয়ে বলা হয়, পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে জন্মদিন পালনের জন্য মিশেল হাওয়াই রয়ে গেছেন।
তবে ওবামা-মিশেলের বিচ্ছেদ নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনের গুরুত্ব দিচ্ছে না ওয়াশিংটনের গণমাধ্যম। এর আগেও যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিয়ে ইনকোয়ারারের প্রকাশিত প্রতিবেদনের সত্যতা পাওয়া গেছে। এর আগেও ওবামা দম্পতির পৃথক হওয়ার খবর শোনা গিয়েছিল। তারা বিয়ের কয়েক বছর পর বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
এমনকি বিচ্ছেদের কাগজপত্রও প্রস্তুত করা হয়েছিল। ওবামার রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ততা, পরিবারকে সময় না দেয়া ইত্যাদি কারণে সম্পর্কের ইতি টানতে চেয়েছিলেন মিশেল। ২০০৯ সালে ওয়াশিংটনের প্রবীণ সাংবাদিক রিচার্ড উলফে লিখেছিলেন, ৯ বছর আগে ওবামার রাজনৈতিক উত্থান-পতন ও পরিবারের অনটনের কারণে তাদের দাম্পত্য জীবনের ইতি ঘটতে চলেছিল।
ওবামা-মিশেলের ওই সময়কার অবস্থা সম্পর্কে তিনি লিখেছেন, খুব কমই কথা হতো, রোমাঞ্চও ছিল সামান্য। ওবামার স্বার্থকেন্দ্রিকতা ও ক্যারিয়ারমুখিতা নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিলেন মিশেল। ১৯৮৯ সালে শিকাগোর একটি ল’ ফার্মে কাজ করার সময় ওবামা-মিশেলের পরিচয় ঘটে।
এরপর তাদের বিয়ে হয়। সে সময় ওবামা ইলিয়ন অঙ্গরাজ্যের একজন সিনেটর ছিলেন। তিনি কংগ্রেসে আসন পাওয়ার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। কিন্তু ২০০০ সালে কংগ্রেসে আসন পাওয়ার প্রতিযোগিতায় হেরে যান ওবামা।
ওবামার হেরে যাওয়াকে মেনে নিতে পারেননি মিশেল। ওই সময় ওবামা-মিশেলের সংসারে ছিল প্রথম মেয়ে মালিয়া। তারপরও সংসার ভাঙতে চেয়েছিলেন মিশেল। সুত্র: ডেইলি মেইল