pmসাতক্ষীরা : আ’লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার সাতক্ষীরা যাচ্ছেন। এ উপলক্ষে প্রশাসন ও সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগ, সব উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি।

সাজ সাজ সাজানো হয়েছে পুরো সাতক্ষীরা শহর। সাতক্ষীরা নেয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি।

গত বছর ২৮ ফেব্রুয়ারির পর থেকে জামায়াত-শিবিরের নৈরাজ্য ও নাশকতায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় সাতক্ষীরার বিস্তীর্ণ জনপদ।

কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয় এক শিশুসহ ১৭ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে। তাদের দেওয়া আগুনে পুড়ে যায় জেলার ৪৫ সংখ্যালঘুসহ শতাধিক ব্যক্তির ঘরবাড়ি ও ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান। এ সব ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও যৌথবাহিনীর সঙ্গে বিভিন্ন সময় জামায়াত-শিবির কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সব সংঘর্ষে সাধারণ মানুষ ও পুলিশসহ বেশ কয়েকজন হতাহত হন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জামায়াত-শিবিরের হামলায় নিহত ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে আর্থিক সহযোগিতা দেবেন এবং সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ ১১টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করবেন।

২০১০ সালের ২৫ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাতক্ষীরায় এসে ২৩টি উন্নয়ন প্রকল্পের ঘোষণা দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর সে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের অন্যতম উদাহরণ সাতক্ষীরাবাসীর স্বপ্নের মেডিকেল কলেজ।

তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর শেখ হাসিনার এটিই হবে কোনো জেলা শহরে প্রথম সরকারি সফর। প্রধানমন্ত্রীর সাতক্ষীরায় আগমনে সাতক্ষীরাবাসীর প্রত্যাশা অনেক। পুরাতন প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি নতুন দাবিও রয়েছে তাদের।

সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু আহম্মেদ আজকের বাংলাদেশ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত এক শিশু ও এক মুক্তিযোদ্ধাসহ ১৭ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে জামায়াত-শিবির। হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষসহ আওয়ামী লীগের দুই শতাধিক নেতাকর্মীকে মারধর করা হয়। আগুন দিয়ে ঘরবাড়ি ও ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।

১৪ সাংবাদিক ও সংবাদপত্রকর্মীকে মারপিট করা হয়। প্রধানমন্ত্রী সাতক্ষীরায় মূলত আসছেন জামায়াত-শিবিরের হাতে নিহত ও নির্যাতিত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে তাদের সান্ত্বনা দিতে, সাহস জোগাতে ও সহযোগিতা করতে।