dse-cseদেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা:পুঁজিবাজারে আজ সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে হঠাৎ দেড় হাজার কোটি টাকায় লেনদেন নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মাঝে আলোচনার শেষ নেই।  তবে হঠাৎ দেড় হাজার কোটি টাকার লেনদেনে বিনিয়োগকারীরা অবাক হয়ে পড়ছেন। মাত্র এক কোম্পানির ওপর ভর করে আজ দেশের প্রধান এক্সচেঞ্জ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) অবিশ্বাস্য লেনদেন ঘটেছে। তবে এই লেনদেনের মধ্যে খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডেরই ৮২৮ কোটি ৫৫ লাখ ১৫ হাজার টাকা লেনদেন হয়েছে। যা ডিএসই’র মোট লেনদেনের ৫৬ শতাংশ।

আজ ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১৪৭৮ কোটি ১৮ লাখ টাকা। এই লেনদেন গত ৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ডিএসই সূত্রে জানা যায়, আজ কোম্পানিটির স্পন্সর প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজ এন্ড কোম্পানি লিমিটেড তাদের কাছে থাকা ১২ কোটি ৭৪ লাখ ৬৯ হাজার ৪৫৬টি শেয়ার বর্তমান বাজার দরে বিক্রির ঘোষণা দেয়। ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে এ শেয়ার বিক্রির ঘোষণা থাকলেও আজই ব্লক মার্কেটে সবগুলো শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছে কোম্পানিটি।

উল্লেখ্য, ব্লক মার্কেটে কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকেরা শেয়ার কেনা-বেচা করেন। ব্লক মার্কেটে লেনদেনের আগে ডিএসই-তে উদ্যোক্তা এবং পরিচালকদের শেয়ার কেনা-বেচার জন্য আগাম ঘোষণা দিতে হয়।

জানা যায়, ব্লক মার্কেটে ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজ প্রতিটি শেয়ার ৬৫ টাকা দরে ১২ কোটি ৭৪ লাখ ৬৯ হাজার ৪৫৬টি শেয়ার ৮২৮ কোটি ৫৫ লাখ ১৫ হাজার টাকায় একবারেই বিক্রি করে দেয়।

বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে সূচকের উত্থানে শেষ হয় লেনদেন। এদিন শুরু থেতে কিছুটা মিশ্র প্রতিক্রিয়া থাকলেও শেষ ভাগে টানা বাড়ে বাজার। বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনকৃত বেশীরভাগ কোম্পানির শেয়ার দরই বেড়েছে। পাশাপাশি বিদ্যমান রয়েছে লেনদেন বৃদ্ধির ধারবাহিকতা। এদিকে আজ দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।

দিনশেষে ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৪৭৬৫ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ০.৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১১২৯ পয়েন্টে এবং ডিএসই–৩০ সূচক ০.১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১৭৬৪ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩২১টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৬১টির,

কমেছে ১২০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪০টির। দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪৭৮ কোটি ১৮ লাখ ৩৬ হাজার টাকা। যা গত ৫ বছরের সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১১ সালের ২৮ জুলাই ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৮০৪ কোটি ৭৩ লাখ ৮৮ হাজার টাকা। এরপর আজকের লেনদেনই সর্বোচ্চ।

এর আগের কার্যদিবস অর্থাৎ মঙ্গলবার ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স তার আগের দিনের চেয়ে ২৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ৪৭৫০.২০ পয়েন্টে। যা গত ১৩ মাস বা ২০১৫ সালের ১৪ অক্টোবরের পর এটাই সর্বোচ্চ।

আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ১১২৯ পয়েন্টে এবং ডিএসই–৩০ সূচক ১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১৭৬৪ পয়েন্টে। আর দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ৬৫৫ কোটি ৯৫ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। সে হিসেবে আজ ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৮২২ কোটি ২২ লাখ ৫১ হাজার টাকা বা ১২৫.৩৫ শতাংশ।

এদিকে, দিনশেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক ৫৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৪৬৬৫ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২৫৭টি কোম্পানির ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৩৫টির, কমেছে ৯৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৯টির। আর দিনশেষে সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৪৮ কোটি ৬০ লাখ ৮৩ হাজার টাকা।

এর আগের কার্যদিবসে সিএসই’র সার্বিক সূচক ৭২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ১৪৬০৯ পয়েন্টে। আর ওইদিন সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছিল ৩৬ কোটি ৭৭ লাখ ৫৮ হাজার টাকা। সে হিসেবে আজ সিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ১১ কোটি ৮৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা।