dseদেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত চারটি কোম্পানির শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে বলে বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে সতর্ক বার্তা প্রকাশ করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। কোম্পানি চারটি হলো- লিব্রা ইনফিউশন, রেনউইক যজ্ঞেশ্বর, ইবনে সিনা এবং ন্যাশনাল পলিমার। কোম্পানি চারটি কর্তৃপক্ষের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করতে সোমবার ডিএসই থেকে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়।

ডিএসই জানিয়েছে, কোম্পানি চারটির শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম বাড়ার পেছনের কারণ জানতে চেয়ে ১৯ ও ২২ জুলাই নোটিশ পাঠানো হয়। এর জবাবে কোম্পানিগুলোর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে এ বিষয়ে তাদের কাছে অপ্রকাশিত কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই।

লিব্রা ইনফিউশন : গত ১২ জুলাই থেকে লিব্রা ইনফিউশনের শেয়ারের দাম টানা বাড়ছে। ১২ জুলাই কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ৯০০ টাকা, যা টানা বেড়ে ১৯ জুলাই লেনদেন শেষে দাঁড়ায় ১ হাজার ১৪ টাকায়। এর প্রেক্ষিতেই ডিএসই থেকে কোম্পানিটিকে নোটিশ পাঠানো হয়।

কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ৩৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে। বাকি শেয়ারের মধ্যে ৫১ দশমিক ৭১ শতাংশ রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ১৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ শেয়ার।

রেনউইক যজ্ঞেশ্বর : গত ১২ জুলাই থেকে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বাড়ছে। ১২ জুলাই কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ৬৮৫ টাকা, যা টানা বেড়ে ২২ জুলাই লেনদেন শেষে দাঁড়ায় ৯২৮ টাকা। এর প্রেক্ষিতেই ডিএসই থেকে কোম্পানিটিকে নোটিশ পাঠানো হয়।

কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ৫১ শতাংশ রয়েছে সরকারের হাতে। বাকি শেয়ারের মধ্যে ৩১ দশমিক ৩৭ শতাংশ রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ১৭ দশমিক ৬৩ শতাংশ শেয়ার।

ন্যাশনাল পলিমার : কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ৯ জুলাই থেকে বাড়ছে। ৯ জুলাই কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ৮৭ টাকা, যা টানা বেড়ে ২২ জুলাই লেনদেন শেষে দাঁড়ায় ১০৭ টাকায়। এর প্রেক্ষিতেই ডিএসই থেকে কোম্পানিটিকে নোটিশ পাঠানো হয়।

কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ৫৭ দশমিক ৫৪ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে। বাকি শেয়ারের ৩২ দশমিক ২৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ১০ দশমিক ১০ শতাংশ।

ইবনে সিনা : গত ১১ জুলাই লেনদেন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ২৫২ টাকা। সেখান থেকে টানা বেড়ে সাত কার্যদিবসের ব্যবধানে ২৩ জুলাই দাঁড়ায় ৩২২ টাকায়।

কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ৪৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে। বাকি শেয়ারের মধ্যে ৩৮ দশমিক ১৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ১৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ শেয়ার।