দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১২ ব্যাংক অপ্রত্যাশিত হারে স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। চাহিদার তুলনায় জোগানের আধিক্যে অবমূল্যায়িত্ব হচ্ছে পুঁজিবাজারের সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ার। অবমূল্যায়িত্ব বাজারে ক্যাটাগরি রক্ষায় শুধু স্টক বা বোনাস ডিভিডেন্ড ঘোষণা করছে ব্যাংকিং খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো।

স্টক ডিভিডেন্ড প্রদান করায় ব্যাংকগুলো ডিভিডেন্ড পে-আউট রেশিও বা ডিভিডেন্ড প্রদানের অনুপাত দাঁড়িয়েছে শূন্য। এতে করে কোম্পানির মূলধন ও দায় বাড়লেও শেয়ার দরে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ সমাপ্ত হিসাব বছরে বেশিরভাগ ব্যাংক বিনিয়োগকারীদের হাতে কাগুজে ডিভিডেন্ড ধরিয়ে দিয়েছে। বছরের পর বছর বোনাস/স্টক শেয়ার প্রদানের ফলে কোম্পানির নগদ ডিভিডেন্ড দেওয়ার সক্ষমতা হারাচ্ছে।

মূলত বোনাস শেয়ার ইস্যু করা হয় কোম্পানির ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য। তবে ব্যাংকখাতে একটু ভিন্ন চিত্র পরিলক্ষিত হয়েছে। বোনাস শেয়ার প্রদান করাটা ব্যাংকের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে গেছে। কারণ বোনাস প্রদানে কোম্পানির নগদ অর্থের প্রয়োজন পড়ছে না।

বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ, ব্যাংকে নগদ অর্থ না থাকায় তারা বোনাস ডিভিডেন্ড প্রদানের পথ বেছে নিয়েছে। এতে সাধারণ বিনিয়োগকারীর আস্থা আরও সংকটের মধ্যে পড়ছে। কারণ বোনাস শেয়ার সমন্বয়ে ওই কোম্পানির শেয়ার দর কমছে।

আবার কিছু কোম্পানির নগদ অর্থের সংকট থাকায় শেয়ারদর ধরে রাখতে কাগুজে ডিভিডেন্ড হিসেবে বোনাস ডিভিডেন্ড প্রদান করছে। নতুন করে মূলধনের প্রয়োজন না হলেও কিছু অসৎ উদ্যোক্তা-পরিচালক শেয়ারদরকে প্রভাবিত করতে ডিভিডেন্ড হিসেবে বোনাস শেয়ার দিচ্ছে।

বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ, ব্যাংকে নগদ অর্থ না থাকায় তারা বোনাস ডিভিডেন্ড প্রদানের পথ বেছে নিয়েছে। এতে সাধারণ বিনিয়োগকারীর আস্থা আরও সংকটের মধ্যে পড়ছে। কারণ বোনাস শেয়ার সমন্বয়ে ওই কোম্পানির শেয়ার দর কমছে।

আবার কিছু কোম্পানির নগদ অর্থের সংকট থাকায় শেয়ারদর ধরে রাখতে কাগুজে লভ্যাংশ হিসেবে বোনাস ডিভিডেন্ড প্রদান করছে। নতুন করে মূলধনের প্রয়োজন না হলেও কিছু অসৎ উদ্যোক্তা-পরিচালক শেয়ারদরকে প্রভাবিত করতে ডিভিডেন্ড হিসেবে বোনাস শেয়ার দিচ্ছে।

যদিও পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন নীতিমালার সংশোধন প্রস্তাবে নতুন নীতি অন্তর্ভুক্ত করেছে। যেখানে বলা হয়েছে- হিসাব বছর শেষে ডিভিডেন্ড হিসেবে বোনাস শেয়ার প্রস্তাব করতে হলে সেটিরও যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করতে হবে।

অর্থাৎ নতুন বিনিয়োগের প্রয়োজন না থাকলে কোনো কোম্পানিডি ভিডেন্ডের নামে বোনাস শেয়ার ইস্যু করে মূলধন বাড়াতে পারবে না। বোনাস শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে মূলধন বাড়াতে চাইলে কোম্পানিটি ওই অর্থ কোথায় বিনিয়োগ করবে, তা সুনির্দিষ্টভাবে জানাতে হবে।

উদাহরণ হিসেবে তারা বলেন, ‘ক’ নামক একটি কোম্পানির ২০ হাজার শেয়ার রয়েছে। বর্তমান মূল্য ১০০ টাকা ধরে কোম্পানির মোট শেয়ারের মূল্য ২০ লাখ টাকা। এখন যদি কোম্পানিটি সমাপ্ত বছরে ২০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা করে তাহলে কোম্পানিটির শেয়ার বেড়ে ২২ হাজারে দাঁড়াবে।

আর কোম্পানির শেয়ার সংখ্যা বাড়ায় থিওরিটিক্যাল অ্যাডজাস্টমেন্টে ওই শেয়ার দর ৯০.৯০ টাকায় (২০ লাখ টাকাকে ২২ হাজার শেয়ার দিয়ে ভাগ করা হয়েছে) নেমে আসবে। এতে ওই সময়ে যেসব বিনিয়োগকারীর হাতে শেয়ার থাকবে- তারা কিছুটা লাভবান হলেও কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকরা অধিক লাভবান হবেন।

কারণ কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকরা দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগ করায় একদিকে তাদের হাতে থাকা শেয়ারের পরিমাণ বাড়ছে, অন্যদিকে যেসব বিনিয়োগকারী ডিভিডেন্ড পাওয়ার পর শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন সেসব শেয়ার আগের চেয়ে ১০ টাকা কমে আবার কিনে নিচ্ছেন।

এছাড়া স্টক ডিভিডেন্ডের কারণে প্রতিবছরই শেয়ারের পরিমাণ বাড়লেও কোম্পানির মুনাফা বাড়ছে না। এতে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমার পাশাপাশি কমছে ডিভিডেন্ডের পরিমাণও।

আর ইপিএস কমায় সাধারণ বিনিয়োগকারীরাও ওই শেয়ারে অনাগ্রহ দেখায়। পরিণতিতে লেনদেনে ভাটায় শেয়ার দর কমে থাকে। সার্বিক দিক বিবেচনায় নিলে স্টক ডিভিডেন্ডের কারণে সাধারণ ও ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলেও মনে করেন তারা।

ভুক্তভোগী বিনিয়োগকারীরা জানান, ব্যাংক খাতের কোম্পানিগুলোর ধারাবাহিক স্টক ডিভিডেন্ড প্রদানের ফলে শেয়ার দর তলানীতে নেমে এসেছে। বোনাস শেয়ার বিক্রি করে কোম্পানিগুলো নিজেদের পকেট ভারি করলেও প্রতিনিয়তই বলির পাঠা হচ্ছি আমরা।

কাজেই কোম্পানিগুলোর স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা বন্ধে আইন প্রণয়নের দাবি জানান তারা। তারা কোম্পানিগুলোর পরিচালনাপর্ষদের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রয়োজনে আপনারা নো ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেন, তবুও স্টক ডিভিডেন্ড দিবেন না।

বাজার বিশ্লেকরা মনে করছেন, যদি কোন ব্যাংক কোনো ধরণের এক্সপানশন ছাড়াই শুধু স্টক ডিভিডেন্ড দিতে থাকে তখন সেগুলোতে বিনিয়োগ না করাই ভাল। তার ওপর যদি পরিচালকদের বোনাস বিক্রির ঘোষণা থাকে তাহলে তো আর কথাই নেই।

এক পর্যায়ে এমন এক পরিস্থিতিতে এসে পৌছায় শুধুমাত্র কাগজ ধরিয়ে দেয়া ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না। কারণ কোম্পানির পেইড আপ আর ব্যবসার সাথে কোন ধরণের সংগতি থাকে না।

এ বিষয় জানতে চাইলে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মিজান উর রশিদ চৌধুরী বলেন, কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকরা পরিকল্পিতভাবে কারসাজির উদ্দেশ্যেই স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা করে।

এদিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকখাতের কোম্পানিগুলোর আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ সমাপ্ত হিসাব বছরে তালিকাভুক্ত ৩০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৮টির প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে, ১৬টি ব্যাংক লভ্যাংশ হিসেবে বোনাস, ৮টি ব্যাংক বোনাস ও নগদ এবং ৪টি ব্যাংক নগদ লভ্যাংশ প্রদান করেছে।

দেশের ব্যাংকিং খাতের ওপর পুঁজিবাজারের ভবিষ্যৎ অনেকটাই নির্ভর করে। কারণ খাতভিত্তিক বিবেচনায় পুঁজিবাজারে ভালো কোম্পানিগুলোর মধ্যে ব্যাংক অন্যতম। ফলে ব্যাংকের যে কোনো খবরে পুরো বাজার প্রভাবিত হয়।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ সমাপ্ত হিসাব বছরে বেশিরভাগ ব্যাংক বিনিয়োগকারীদের হাতে কাগুজে লভ্যাংশ ধরিয়ে দিয়েছে। বছরের পর বছর বোনাস শেয়ার প্রদানের ফলে কোম্পানির নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার সক্ষমতা হারাচ্ছে।

মূলত বোনাস শেয়ার ইস্যু করা হয় কোম্পানির ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য। তবে ব্যাংকখাতে একটু ভিন্ন চিত্র পরিলক্ষিত হয়েছে। বোনাস শেয়ার প্রদান করাটা ব্যাংকের ক্ষেত্রে একটু স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে গেছে। কারণ বোনাস প্রদানে কোম্পানির নগদ অর্থের প্রয়োজন পড়ছে না।

বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ, ব্যাংকে নগদ অর্থ না থাকায় তারা বোনাস লভ্যাংশ প্রদানের পথ বেছে নিয়েছে। এতে সাধারণ বিনিয়োগকারীর আস্থা আরও সংকটের মধ্যে পড়ছে। কারণ বোনাস শেয়ার সমন্বয়ে ওই কোম্পানির শেয়ার দর কমছে।

আবার কিছু কোম্পানির নগদ অর্থের সংকট থাকায় শেয়ারদর ধরে রাখতে কাগুজে লভ্যাংশ হিসেবে বোনাস লভ্যাংশ প্রদান করছে। নতুন করে মূলধনের প্রয়োজন না হলেও কিছু অসৎ উদ্যোক্তা-পরিচালক শেয়ারদরকে প্রভাবিত করতে লভ্যাংশ হিসেবে বোনাস শেয়ার দিচ্ছে।

যদিও পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন নীতিমালার সংশোধন প্রস্তাবে নতুন নীতি অন্তর্ভুক্ত করেছে। যেখানে বলা হয়েছে- হিসাব বছর শেষে লভ্যাংশ হিসেবে বোনাস শেয়ার প্রস্তাব করতে হলে সেটিরও যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করতে হবে।

অর্থাৎ নতুন বিনিয়োগের প্রয়োজন না থাকলে কোনো কোম্পানি লভ্যাংশের নামে বোনাস শেয়ার ইস্যু করে মূলধন বাড়াতে পারবে না। বোনাস শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে মূলধন বাড়াতে চাইলে কোম্পানিটি ওই অর্থ কোথায় বিনিয়োগ করবে, তা সুনির্দিষ্টভাবে জানাতে হবে।

দেখা গেছে, আলোচ্য বছরে ৪টি কোম্পানি শুধু নগদ লভ্যাংশ শুপারিশ করেছে। এগুলো হলো- এক্সিম ব্যাংক ১০ শতাংশ, আইবিবিএল ১০ শতাংশ, যমুনা ব্যাংক ১০ শতাংশ এবং প্রাইম ব্যাংক সাড়ে ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের জন্য শুপারিশ করেছে।

তবে বোনাস ও নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করা ব্যাংকগুলো হলো- আল-আরাফাহ, ব্যাংক এশিয়া, সিটি ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, পুবালী ব্যাংক এবং উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড।

বোনাস প্রদানে শুপারিশ করা ব্যাংকগুলো হচ্ছে- ব্র্যাক ব্যাংক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি, আইএফআইসি, মার্কেন্টাইল, এমটিবি, এনবিএল, ওয়ান ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, শাহজালাল ব্যাংক, এসআইবিএল, সাউথইস্ট ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, ইউসিবি এবং ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড। আর আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক ও এবি ব্যাংক কোনো লভ্যাংশ প্রদান করেনি।

ডিভিডেন্ড পে-আউট রেশিও শূন্য হওয়া ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে- ব্র্যাক ব্যাংক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, ইউনাইটেড কমর্সিয়াল ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ও প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড।

ব্র্যাক ব্যাংক: ব্যাংকটি বিনিয়োগকারীদের ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ১৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময় ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫.১৭ টাকা।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ: ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ সমাপ্ত বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩.৯২ টাকা এবং এককভাবে ৩.৭৭ টাকা। আগের বছর একই সময়ে সমন্বিত ইপিএস ছিল ৩.০৬ টাকা এবং এককভাবে ২.৯১ টাকা।

শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক: ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ সমাপ্ত বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.৭৩ টাকা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১.৪১ টাকা।

ওয়ান ব্যাংক: ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ সমাপ্ত বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দেওয়ার সুপারিশ করেছে কোম্পানিটি। আলোচিত সময়ে কোম্পানির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.৮৪ টাকা। এর আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৩.৪২ টাকা।

রূপালী ব্যাংক: রূপালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ সমাপ্ত বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দেওয়ার সুপারিশ করেছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.০৯ টাকা। এর আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১.৬০ টাকা।

সাউথইস্ট ব্যাংক: সাউথইস্ট ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ সমাপ্ত বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দেওয়ার সুপারিশ করেছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ২.৩৫ টাকা। এর আগের বছর একই সময়ে সমন্বিত ইপিএস ছিল ১.১১ টাকা।

মার্কেন্টাইল ব্যাংক: মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ৩.৫৯ টাকা ও এককভাবে হয়েছে ৩.৬৮ টাকা।

স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক: স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরের বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৩৫ পয়সা। এককভাবে হয়েছে ২.৩৩ টাকা।

সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক: এসআইবিএল পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ সমাপ্ত বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দেওয়ার সুপারিশ করেছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.৯৭ টাকা। এর আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১.৮০ টাকা।

ইউনাইটেড কমর্সিয়াল ব্যাংক: ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ সমাপ্ত বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দেওয়ার সুপারিশ করেছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ২.৫২ টাকা। এর আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ২.৫৮ টাকা।

ন্যাশনাল ব্যাংক: ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ সমাপ্ত বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দেওয়ার সুপারিশ করেছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.৪৫ টাকা। এর আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১.৮১ টাকা।

প্রিমিয়ার ব্যাংক: প্রিমিয়ার ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ বিনিয়োগকারীদের ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ১৫.৫০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ২.৮৪ টাকা এবং এককভাবে ২.৭৮ টাকা। আগের বছর একই সময়ে সমন্বিত ইপিএস ছিল ২.৪৬ টাকা এককভাবে ছিল ২.৩৯ টাকা।

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক: ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ বিনিয়োগকারীদের ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ১০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ২.০৩ টাকা। আগের বছর একই সময়ে সমন্বিত ইপিএস ছিল ১.৭২ টাকা।

আইসিবি ইসলামী ব্যাংক: ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ সমাপ্ত বছরে বিনিয়োগকারীদের কোনো প্রকার ডিভিডেন্ড না দেওয়ার সুপারিশ করেছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ০.৭৩ টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ০.৬১ টাকা।