কোম্পানি বিশ্লেষণে প্রয়োজন বিনিয়োগ শিক্ষা: ড. স্বপন কুমার
দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বলেছেন, বিনিয়োগকারীকে শিক্ষিত হওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। বিনিয়োগ সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান অর্জন করার পরই শেয়ারবাজারে আসতে হবে।
বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ -২০১৯ উপলক্ষে সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ডিএসই কর্তৃক আয়োজিত ‘রিং দ্যা বেল ফর ফাইন্যান্সিয়াল লিটারেসি’ শীর্ষক কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন।
একটা উদাহরণ টেনে মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, ‘আজকে কেউ গাছের ছায়াতে বসে আছে, তার মানে কেউ একজন বড় গাছ রোপন করেছিল।’ আসলে শেয়ারবাজারের অবস্থাও এমন হওয়ার কথা ছিল। অর্থাৎ এক দিক দিয়ে ভাল কোম্পানির শেয়ার বাজারে আসবে, সেই শেয়ারগুলো বড় হবে, আর পরবর্তীতে বিনিয়োগকারীরা তার ছায়ায় থাকবে। কিন্তু এটাই এখন সত্য যে বাজারে শেয়ার আসলে সে শেয়ারের ছায়া তো দূরের কথা, গাছের পাতাও পাওয়া যাচ্ছে না।
বিএসইসির কমিশনার স্বপন কুমার বালার উদ্দেশ্য তিনি বলেন, আমাদের সেই গাছগুলো দেন, যে গাছগুলো থেকে পরবর্তীতে শীতল ছায়া পাওয়া যাবে। এই ছোট কথার মধ্যে কিন্তু সব কিছু লুকিয়ে আছে। শিক্ষা গ্রহণ করে বাজারে আসার পর বিনিয়োগকারীরা যাতে পরবর্তীতে স্বস্তিতে থাকতে পারে।
বিনিয়োগকারীদের শিক্ষিত করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিনিয়োগকারীদের আমরা শিক্ষিত করে গড়ে তোলার চেষ্টা করবো, সেই প্রক্রিয়া চলছে। কিন্তু শিক্ষিত করার ফাকে ফাকে বিনিয়োগকারীদেরকে আমাদেরও এমন গাছ দিতে হবে যে গাছগুলো এক সময় বড় হয়। শিক্ষিত বিনিয়োগকারীরাই যেন আবার নতুন নতুন বিনিয়োগকারী নিয়ে আসতে পারে।
তিনি আরও বলেন, বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রম সারা বিশ্বব্যাপী চলছে। এর মাধ্যমে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীকে শিক্ষিত করার একটা চেষ্টা এবং প্রয়াস থাকে। সেই একই উদ্দেশ্যে আমরাও সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নের্তৃত্বে এই কার্যক্রম পরিচালনা করছি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতথিরি বক্তব্যে বিএসইসির কমশিনার ড. স্বপন কুমার বালা বলন, ২০১৭ সালে র্সবপ্রথম ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অফ সিকিউরিটিজ কমিশন (আইওএসসিও) বশ্বিব্যাপী বনিয়িোগ শক্ষিা র্কাযক্রমরে ঘোষণা দয়ে। সেই থেকে আমরা ফিনান্সিয়াল লিটারেসি র্কাযক্রম শুরু করি।
বিএসইসির নির্দেশক্রমে ডিএসই, সিএসই, ট্রাকহোল্ডার, মার্চেন্টব্যাংকসহ সকল অংশীজনরা এই র্কাযক্রম পরিচালনা করে আসছে। আমি বিশ্বাস করি বিনিয়োগ শিক্ষা ছাড়া শেয়ারবাজারে সচেতন বিনিয়োগকারী সৃষ্টি সম্ভব না। বিনিয়োগ শিক্ষার মাধ্যমেই বিনিয়োগকারীরা ভাল কোম্পানি ও কোম্পানির আদিঅন্ত সম্পর্কে বিশ্লেষণ করতে পারবে।
এসময় তিনি মিনহাজ মান্নান ইমনের প্রশ্নের জবাবে বলেন, গাছ যিনি লাগাচ্ছেন তার পাশাপাশি গাছের দায়িত্বে যারা আছেন তাদেরকেও গাছের যত্ন নিতে হবে।
তিনি বলেন, বিএসইসি, ডিএসই ছাড়াও শেয়ারবাজারে থার্ড পার্টির দায়িত্বে গাফলতি থাকতে পারে। ইস্যুয়ার কোম্পানি এবং অডিট ফার্মের কোন ব্যার্থতা আছে কিনা সে ব্যপারে খেয়াল রাখতে হবে। যে লোকগুলো কোম্পানি পরিচালনা করছে তাদেরও দায়িত্বশীল হতে হবে।
কোম্পানি নির্বাচনের ক্ষেত্রে শুধু বিএসইসি না এদেরও ভূমিকা থাকে। কিন্তু খারাপ কোম্পানির কথা আসলে সবার নজর শুধু বিএসইসির দিকেই থাকে। এই ফাঁকফোকরে থার্ড পার্টিগুলো তাদের দায়িত্বে অবহেলা করে যাচ্ছে। এসময় কোম্পানি নির্বাচনের ক্ষেত্রে ট্রেকহোল্ডারদের পরামর্শ দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এসময়, ডিএসইর চেয়ারম্যান, প্রফেসর ড. আবুল হাশেম, ডিএসইর সচিব মোহাম্মদ আসাদুর রহমান এবং ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’র (ডিবিএ) সভাপতি শাকিল রিজভী উপস্থিত ছিলেন।