দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: মরণব্যাধি করোনা ভাইরাস বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। একের পর এক গ্রাস করে যাচ্ছে। এই মৃত্যু মিছিলে সাধারণ মানুষ ঘরের বাহিরে বের হতেও সাহস পাচ্ছে না। ভয়াবহ অবস্থা চীনে, ইরান এবং ইতালিতে, যেন এক একটা মৃত্যুপুরী। তবে বিজ্ঞানীরা সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শও দিচ্ছেন। তারা বলছেন, কিছু নিয়ম মেনে চললেই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়। এছাড়া ঘরে বসেই জানা যাবে করোনায় আক্রান্ত কিনা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ভাইরাসে কেউ আক্রান্ত হলে তার দেহে এর চিহ্ন বা লক্ষণ খুঁজে পেতে অনেকদিন সময় লেগে যায়। সাধারণত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে জ্বর বা কাশি নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার আগেই তার ফুসফুসের ৫০% ফাইব্রোসিস (সূক্ষ্ম অংশুসমূহের বৃদ্ধি) তৈরি হয়ে যায়, যার মানে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে।

অন্যদিকে সামান্য জ্বর-কাশি হলেই এখন অনেকে সেটি করোনা ভেবে ভড়কে যাচ্ছেন। কিন্তু জ্বর-কাশি মানেই করোনাভাইরাসের আক্রমণ নয়। এটি মৌসুমি ফ্লু’র কারণেও হতে পারে। শীত ঋতু শেষ হয়ে বসন্ত চলছে। সামনে গ্রীষ্ম কাল। এই মৌসুম পরিবর্তনের সময় জ্বর, সর্দি, কাশি ইত্যাদি সাধারণ বিষয়।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেও জ্বর, কাশি, সর্দি ইত্যাদি হয়। কিন্তু বাড়তি উপসর্গ হচ্ছে শ্বাসকষ্ট। তাই জ্বর, কাশি হলেই ঘাবড়ে না গিয়ে নিজেই দেখে নিতে পারেন আপনার মধ্যে করোনার কোনো লক্ষণ আছে কি-না। আর সে জন্যে করতে পারেন একটি ছোট্ট পরীক্ষা এবং সেটি আপনার ঘরে বসেই।

পরীক্ষাটা হলো: পরিচ্ছন্ন পরিবেশে লম্বা একটা শ্বাস নিয়ে সেটাকে দশ সেকেন্ডের কিছুটা বেশি সময় ধরে আটকে রাখুন। যদি এই দম ধরে রাখার সময়ে আপনার কোনও কাশি না আসে, বুকে ব্যথা বা চাপ অনুভব না হয়, মানে কোনও প্রকার অস্বস্তি না লাগে, তার মানে আপনার ফুসফুসে কোনো ফাইব্রোসিস তৈরি হয়নি অর্থাৎ কোনও ইনফেকশন হয়নি, আপনি ঝুঁকিমুক্ত আছেন।

নিশ্চিত হতে ল্যাবে পরীক্ষা: জ্বর, সর্দি, কাশি ও গায়ে ব্যথার সঙ্গে যদি শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় তাহলি কিন্তু সেটি বেশ উদ্বেগের কারণ হতে পারে। এমন অবস্থায় আপনাকে অবশ্যই ডাক্তারের শরনাপন্ন হতে হবে।