দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: করোনাভাইরাস আতঙ্কে কাঁপতে থাকা বিশ্ব বাঁচার জন্য নানা খড়কুটো আঁকড়ে ধরছে। যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ কোম্পানি গিলেড সায়েন্স আবিস্কৃত করোনার ওষুধ রেমডেসিভির তাই গভীর অন্ধকারে একটু আশার আলো জ্বালিয়েছিল। কিন্তু বাস্তব প্রয়োগে রেমডেসিভির ব্যর্থ হয়েছে এমন খবর বড় ধাক্কা হয়ে ফিরে আসে। রেমডেসিভির এর ব্যর্থতার ধাক্কা লেগেছে বিশ্বের পুঁজিবাজারেও। এই খবরে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের পুঁজিবাজারে দর পতন হয়েছে। খবর বিবিসি, সিএনএন ও ইকোনোমিক টাইমসের

উল্লেখ, প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) নাকাল পুরো বিশ্ব। এই ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে বিশ্বের বেশিভাগ দেশ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। কলকারখানা, অফিস-আদালত সবই বন্ধ প্রায়। একদিকে প্রাণের ভয়, অন্যদিকে ক্রমশ তীব্র হয়ে উঠতে থাকা অর্থনৈতিক সঙ্কট- সব মিলিয়ে চরম এক দুঃসময়ের মধ্যে সময় কাটছে মানুষের।

সঙ্কট থেকে উত্তরণে করোনার ভ্যাকসিন অথবা চিকিৎসার ওষুধের জন্য অস্থির হয়ে উঠেছে পুরো বিশ্ব। এমন সময় রেমডেসিভির এর আবিস্কারের খবর চাওড় হয়। গত কয়েকদিন ধরেই রেমডেসিভির নিয়ে তুমুল আলোচনা হচ্ছিল বিশ্বে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই ওষুধের কার্যকারিতা অনেকটা ব্যর্থ বলেই প্রমাণিত হয়েছে। এমনই একটি সংবাদ ভুলবশত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক প্রতিবেদন প্রকাশ হয়ে যায়। যেখানে দেখা যায় যে, করোনা আক্রান্তদের এই ওষুধ সেবন করানোর পর ইতিবাচক ফল পাওয়া যায়নি। তার প্রভাব পড়েছে বিশ্ব পুঁজিবাজারে।

আজ শুক্রবার এশিয়ার সব বাজারেই দর পতন হয়েছে। কোরিয়া স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক কেওএসপিআই আজ ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ কমে গেছে। সূচক কমেছে জাপানের বাজারেও। এই বাজারে নিক্কি ২২৫ সূচক দশমিক ০৯ শতাংশ কমেছে। চীনের সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জে সূচক কমেছে প্রঅয় ১ শতাংশ। হংকং স্টক এক্সচেঞ্জের হ্যাং সেং সূচক দশমিক ৪ শতাংশ কমেছে।

টানা দু’দিন উর্ধমুখী থাকার পর রেমডিসিভিরের ব্যর্থতার খবরে ভারতের বাজারেও পতন হয়েছে আজ। সেখানে বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক সেনসেক্স ১ দশমিক ৬৮ শতাংশ কমে লেনদেন শেষ করেছে। অন্যদিকে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের নিফটি সূচক কমেছে ১ দশমিক ৭১ শতাংশ।

রেমডিসিভিরের ব্যর্থতায় পুঁজিবাজারে দর পতনের কারণ করোনা নিয়ে আতঙ্ক ফের বেড়ে যাওয়া। রেমডিসিভিরের আবিস্কারের খবরে অনেকই আশায় বুক বেঁধেছিলেন যে, ওষুধটি সফল হলে দ্রুতই লকডাউন থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে পারবে বিশ্ব।

খুলে যাবে বন্ধ সব অর্থনীতি। কিন্তু ওষুধটির ব্যর্থতায় মনে হচ্ছে, স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে আরও সময় লাগতে পারে। তার মানে আরও অনেক দিন ক্ষতির মুখে থাকবে ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতি। এই আশাংকাই প্রতিফলিত হয়েছে পুঁজিবাজারের লেনদেনে।