না ফেরার দেশে চলেই গেলেন মোহাম্মদ নাসিম
দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: সব চেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিয়ে মারা-ই গেলেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আটদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে আজ শনিবার (১৩ জুন) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
গত শুক্রবার ব্রেইন স্ট্রোকের পর মস্তিস্কে অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল তার। তখন থেকেই তিনি কোমায় ছিলেন।আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মোহাম্মদ নাসিমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছিল। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেটি আর সম্ভব হয়নি।
এর আগে শুক্রবার (১২ জুন) রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও তার জন্য গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, মেডিক্যাল বোর্ড রাতে মিটিং করেছে। লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় নতুন করে হার্টে সমস্যা দেখা দিয়েছে। আগে এই সমস্যা ছিল না।
আরও পড়ুন…….
চট্টগ্রামে ভেন্টিলেটরের অভাবে মৃত্যুর মিছিল বাড়ছে
একজন বিশ্বস্ত সহযোদ্ধাকে হারালাম: প্রধানমন্ত্রী
করোনা উপসর্গ নিয়ে গত ১ জুন রাজধানীর শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি হন মোহাম্মদ নাসিম। পরে তার করোনা ভাইরাস টেস্ট দেওয়া হয় এবং ওইদিন রাতে তার করোনা পজিটিভ আসে। করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হলেও পরদিন থেকেই মোহাম্মদ নাসিমের অবস্থা উন্নতি হয়। কিন্তু গত ৫ জুন ভোরে তিনি স্ট্রোক করেন। পরে জরুরিভাবে ওই দিনই তার অপারেশন করা হয়। পরদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়।
অপারেশনের পর চিকিৎসকরা তাকে ৭২ ঘণ্টা নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখেন। সোমবার (৭ জুন) ওই সময় পার হওয়ার পরও তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় মেডিক্যাল বোর্ড নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখারই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ওই মেডিক্যাল বোর্ডের তত্ত্বাবধানেই তিনি কোমায় রয়েছেন।
নাসিমের চিকিৎসায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়াকে প্রধান করে প্রথমে ১৩ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়। গত সোমবার আবার সে বোর্ড পুনর্গঠন করা হয়।