দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানি ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের সাবেক ভারপ্রাপ্ত এমডি সৈয়দ আবেদ হাসানসহ তিন কর্মকর্তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ড দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) তাদের ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হয়। এসময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে দুদক। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক রবিউল আলম রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

বাকী দুই কর্মকর্তা হলেন- সিনিয়র ম্যানেজার রাফসান রিয়াদ চৌধুরী অন্য কর্মকর্তা হলেন পি কে হালদারের বান্ধবী নাহিদা রুনাই। ভুয়া কাগজপত্রে অস্তিত্ববিহীন প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ তুলে ৭০ কোটি ৮২ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় তাদেরকে এই রিমান্ড দিয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) বিকেল ৪টায় রাজধানীর মতিঝিল এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। দুদকের উপ-পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ারের নেতৃত্বে দুদকের টিম তাদের গ্রেফতার করে।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়। ওই মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা অসৎ উদ্দেশ্যে পরস্পরের সহায়তায় প্রতারণা ও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে অপরাধজনক বিশ্বাস ভঙ্গ করে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অস্তিত্ববিহীন প্রতিষ্ঠান ‘আনান কেমিকেল লিমিটেড’-এর নামে জাল রেকর্ডপত্র তৈরি করে ভুয়া ঋণ পেতে সহযোগিতা করে।

অভিযোগে আরও বলা হয়, ঋণগ্রহীতা ‘আনান কেমিকেল লিমিটেড’-এর পরিচালকরা ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের কর্মকর্তাদের প্রত্যক্ষ মদদে কাগজপত্র তৈরি করে। পরে তা বৈধ দেখিয়ে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের কর্মকর্তা ও বোর্ড সংশ্লিষ্টদের প্রত্যক্ষ সহায়তায় ৭০ কোটি ৮২ লাখ টাকা ভুয়া ঋণ তুলে আত্মসাৎ করা হয়।

‘পরে ওই অর্থ বিভিন্ন কোম্পানি ও ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে অবস্থান গোপন করে পাচার করে। যা দণ্ডবিধি, ১৮৬০ এর ৪০৯, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১, ১০৯ ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২), (৩) ধারায় অপরাধ করেছেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।