দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত তথ্য-প্রযুক্তি খাতের কোম্পানি ইনটেক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদে যুক্ত হয়েছে এস আলম গ্রুপ ও কেডিএস গ্রুপ। কোম্পানীটির শেয়ার কিনে শেয়ারহোল্ডার পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন বৃহৎ এই দুই গ্রুপের প্রতিনিধিরা। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

নতুন নিয়োগ পাওয়া পরিচালকেরা আল-আরাফা ইসলামী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের পর্ষদে রয়েছেন। স্পন্সর ও পরিচালকদের ৩০% শেয়ারধারনে বাধ্যবাধকতায় তারা শেয়ারহোল্ডার পরিচালক হিসাবে পর্ষদে যুক্ত হয়েছেন। আগামী ২২ মার্চ কোম্পানীর বার্ষিক সাধারণ সভায় নির্বাচিত ১২ পরিচালক ও তিনজন স্বতন্ত্র পরিচালকের বিষয়ে শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন নেওয়া হবে।

২০১৯ সালের ১৫ জুলাই বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সম্মিলিতভাবে স্পন্সর ও পরিচালকদের ৩০ শতাংশ এবং পরিচালকদের ২ শতাংশ শেয়ার ধারনে বাধ্যবাধকতা আরোপ করে। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে বিএসইসি চেয়্যারম্যান ড. শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলামের নেতৃত্বাধীন কমিশন এই শর্ত পরিপালনে কড়াকড়ি আরোপ করে নির্দেশনা জারি করে।

ইনটেক লিমিটেডের তথ্যানুযায়ী, ২০২০ সালের ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোম্পানীটিতে দুইজন পরিচালক, চেয়্যারম্যান ও একজন স্বতন্ত্র পরিচালক ছিলেন। সম্মিলিতভাবে এই পরিচালকরা কোম্পানীটির মাত্র ৩.৯৭ শতাংশ শেয়ারের মালিক ছিলেন।

তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থার শর্ত পরিপালনে শুধুমাত্র চেয়্যারম্যান ছাড়া আগের পরিচালকদের বাদ দিয়ে ১২ জন শেয়ারহোল্ডার নির্বাচিত করা হয়, যারা কোম্পানীটির ২ শতাংশ শেয়ার ধারণ করছেন। বর্তমানে কোম্পানীটির মোট শেয়ারের ৩০.১৪ শতাংশ শেয়ার ধারন করছে কোম্পানীর বোর্ড অব ডিরেক্টরস।

ইনটেকের ভাইস-চেয়্যারম্যান ও পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন মধুমতি ব্যাংকের বর্তমান স্পন্সর শেয়ারহোল্ডার ব্যারিস্টার খন্দকার রেজা-ই-রাকিব। তিনি কোম্পানীটির ৬,৩১,৯২৬টি শেয়ার কিনেছেন। পুর্নগঠিত ইনটেকের পর্ষদে এআইবিএল ক্যাপিটাল মার্কেট সার্ভিসেস লিমিটেড, কোম্পানীটির ১৩ লাখ ১৩ হাজার শেয়ার কিনে পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন।

শেয়ারহোল্ডার পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন কেডিএস গ্রুপের চেয়্যারম্যান খলিলুর রহমান, যিনি ৬ লাখ ২৬ হাজার শেয়ার কিনেছেন। এস আলম গ্রুপের প্রতিনিধি আতিকুল আলম চৌধুরী কিনেছেন ৬ লাখ ৪০ হাজার শেয়ার। আল-আরাফা ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক এ.এন.এম. ইয়াহিয়া এবং আহামেদুল হক উভয়ে কিনেছেন ৬ লাখ ২৭ হাজার করে শেয়ার।

এছাড়াও শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক খন্দকার শাকিব আহমেদ ৬ লাখ ২৭ হাজার, আল-আরাফা ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়্যারম্যান বদিউর রহমানের স্ত্রী সৈয়দা রাশিদা ইয়াসমিন কিনেছেন ৬ লাখ ২৬ হাজার শেয়ার।

ঢাকা কটন মিল কিনেছে ৬ লাখ ৬০ হাজার, শ্যামল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড ৬ লাখ ২৭ হাজার ও সোলার ইলেক্ট্রো বাংলাদেশ লিমিটেড কিনেছে ৬ লাখ ৪৫ হাজার শেয়ার। ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে কোম্পানীটির মোট আয় হয় ৯.১৩ কোটি টাকা, যা আগের বছরের চেয়ে ২৩% কম।

কর পরিশোধের পর এই অর্থবছরে কোম্পানীটির নীট মুনাফা হয়েছে ৪৬ লাখ ২৮ হাজার টাকা, যা আগের বছরের চেয়ে ৬২ শতাংশ কম। ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে নীট মুনাফা হয় ১ কোটি ২৩ লাখ টাকা।

চলতি ২০২০-২০২১ অর্থবছরের অধ-বার্ষিকে মোট আয় ৪ কোটি ৯২ লাথ টাকা। নীট মুনাফা হয় ৫৫ লাখ ৬৬ হাজার টাকা। অর্থবছরের প্রথম ছয়মাসে মোট আয় আগের বছরের চেয়ে ৬ শতাংশ হ্রাস পেলেও মুনাফা বেড়েছে ৪৯ শতাংশ।