দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: ডিএসইর ওয়েবসাইটে রিলায়েন্স ওয়ান মিউচ্যুয়াল ফান্ডের তথ্য গোপন অভিযোগ উঠছে। চলতি হিসাববছরের প্রথম নয় মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রিলায়েন্স ওয়ান মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট প্রতি আয় (ইপিইউ) হয়েছে ২ টাকা ৬৯ পয়সা। কিন্তু ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে দেখানো হয়েছে মাত্র ৭৯ পয়সা। ফান্ডটির আয় সঠিকভাবে প্রকাশ না হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফান্ডটির বিনিয়োগকারীরা। তারা ফান্ডটির অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি এবং ডিএইস’র দ্বারস্থ হয়েও কোন সমাধান পায়নি বলে অভিযোগ করেছেন।

ডিএসই’র ওয়েবসাইট সূত্রে জানা যায়, রিলায়েন্স ওয়ান মিউচ্যুয়াল ফান্ড চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২০) ইউনিট প্রতি আয় করেছে ১ টাক ৭৫ পয়সা। যা আগের হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’১৯) ছিল ১ টাকা ১৭ পয়সা।

দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২০) ফান্ডটির ইউনিট প্রতি আয় হয়েছে ৫৯ পয়সা। আগের হিসাববছরের একই সময়ে ছিল ১২ পয়সা। ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২০) ফান্ডটির ইউনিট প্রতি আয় হয়েছে ২ টাকা ৩৪ পয়সা। যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১৮ পয়সা। তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২১) ফান্ডটির ইউনিট প্রতি আয় হয়েছে ৩৫ পয়সা। যা আগের হিসাববছরের একই সময়ে ছিল ৪ পয়সা।

এতে দেখা যায়, চলতি হিসাববছরের ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) ফান্ডটির ইউনিট প্রতি আয় হয়েছে ২ টাকা ৬৯ পয়সা। কিন্তু ডিএসই’র ওয়েবসাইটে ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) আয় দেখানো হয়েছে ৭৯ পয়সা। ডিএসই’র ওয়েবসাইটে ৯ মাসে ফান্ডটির আয় কম সঠিকভাবে না দেখানোর কারণে বিনিয়োগকারীরা বিভ্রান্তিতে পড়েছেন। ফলে আয় অনুযায়ী ফান্ডটির যে দর থাকা উচিত, সেই দরে নেই। এতে বিনিয়োগকারীরা ক্ষতির মধ্যে পড়েছেন।

এক বিনিয়োগকারী নাম প্রকাশ না করে জানান, বিষয়টি নিয়ে তিনি ফান্ডটির অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি এইমস বাংলাদেশ এবং ডিএসই’র সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। কিন্তু কোন লাভ হয়নি। এইমস ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের প্রথম উদ্যোক্তা কোম্পানি। প্রতিষ্ঠানটির গ্রহণযোগ্যও অন্যান্য অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির তুলনায় অনেক বেশি। এইমসের কাছ থেকে অন্তুত এ ধরণের উদাসীনতা কাম্য নয়।

তিনি আরও বলেন, ডিএসই’র উচিত ছিল তথ্যটি যাচাই করে সংশোধন করে প্রকাশ করা। কিন্তু ডিএসই সেটি করেনি। ডিএসই’র মতো এতো বড় প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকেও এ ধরণের দায়িত্বহীন কাজ কাম্য হয়। ডিএসই’র ওয়েবসাইটে শিগগির ফান্ডটির সঠিক তথ্য সংশোধিত আকারে প্রকাশ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

ডিএসইর পরিচালক রকিবুর রহমান বলেন, বিনিয়োগকারীদের অবাধ তথ্যের সুবিধা দিতে হবে। এটি সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনেরও একটি নির্দেশনা। আমরাও তাই চাই। সেক্ষেত্রে অবশ্যই কোম্পানির সকল তথ্য দেয়া উচিত। কি কারণে ডিএসই এটি করছে না আমার জানা নেই। আমি ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কথা বলবো।

২৩ ব্যাংকের ২ হাজার ৩৫৩ কোটি টাকার লভ্যাংশ ঘোষণা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর মধ্যে নগদে লভ্যাংশ বিতরণের প্রবণতা আরও বেড়েছে। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ২৩টি ব্যাংক ২ হাজার ৩৫৩ কোটি ৯০ লাখ ৪৮ হাজার ৬৪৮ টাকা ২০ পয়সা নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে ১৬টি ব্যাংক নগদের পাশাপাশি বোনাস শেয়ারও দিতে যাচ্ছে। আর সাতটি ব্যাংক কেবল নগদে লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আর তিনটি ব্যাংক কেবল বোনাস এবং একটি ব্যাংক লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

আরও দুটি ব্যাংক গত বছর ২০০ কোটি টাকা নগদে বিতরণ করেছিল, যেগুলো এখনও লভ্যাংশ সংক্রান্ত সভা করেনি। তারা গত বছরের মতোই লভ্যাংশ দিলে শেষ পর্যন্ত নগদ লভ্যাংশ আড়াই হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে। এখন পর্যন্ত লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে মোট ২৭টি ব্যাংক। আরও চারটির লভ্যাংশ ঘোষণা সংক্রান্ত সভা বাকি আছে।

লভ্যাংশ বিতরণে বিধিনিষেধ: এবার করোনা পরিস্থিতিতে শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৭৫ পয়সার বেশি নগদে লভ্যাংশ বিতরণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর এই সর্বোচ্চ পরিমাণ নগদে লভ্যাংশ দিয়েছে তিনটি ব্যাংক। এগুলো হলো সিটি, ইবিএল ও যমুনা ব্যাংক।

টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি নগদ লভ্যাংশ বিতরণ করতে যাচ্ছে সিটি ব্যাংক। তারা ১৭৭ কোটি টাকারও বেশি বিতরণ করতে যাচ্ছে। এ ছাড়া প্রাইম ব্যাংক ১৬৯ কোটি, ইসলামী ব্যাংক, ইবিএল ১৪২ কোটি, ব্র্যাক ১৩২ কোটি, প্রিমিয়ার ব্যাংক ১৩০ কোটি টাকা লভ্যাংশ বিতরণ করতে যাচ্ছে। পুঁজিবাজারে এর আগে কখনও কোনো খাতের এমনকি ব্যাংকিং খাতেরও এত বিপুল পরিমাণে নগদ লভ্যাংশ বিতরণের ইতিহাস নেই।

পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ বলেন, ‘ব্যাংকগুলো যখন বেশি বেশি স্টক দিচ্ছিল, তখন ক্যাশ লভ্যাংশের বিষয়টি এসেছিল। এতে পুঁজিবাজারের জন্য ভালো হয়েছে। এতে বিনিয়োগকারীরা অন্তত লভ্যাংশ পাওয়ার আশায় ব্যাংকে বিনিয়োগ করবেন।’

চলতি বছর বেশ কিছু ব্যাংক যে পরিমাণ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে সেটি সঞ্চয়ের সুদহারের চেয়ে বেশি। বেশির ভাগ ব্যাংকের শেয়ারদর এখন অভিহিত মূল্যের কাছাকাছি বা দ্বিগুণের কম হওয়ায় এখন ব্যাংকে টাকার রাখার চেয়ে শেয়ার কিনে রাখাই বেশি লাভজনক হচ্ছে।

এখন ব্যাংকে টাকা রাখলে বছরে সাড়ে ৪ থেকে ৬ শতাংশ সুদ পাওয়া যায়। অথচ শেয়ারমূল্যের তুলনায় নগদ লভ্যাংশ পাওয়া যাচ্ছে এর চেয়ে বেশি হারে। গত এক বছরে প্রাইম ব্যাংকের শেয়ারদর ছিল ১৪ টাকা ২০ পয়সা থেকে ১৮ টাকা ৬০ পয়সা। এই ব্যাংকের শেয়ারধারীরা এবার দেড় টাকা করে লভ্যাংশ পেতে যাচ্ছেন। অর্থাৎ শেয়ারদরের তুলনায় লভ্যাংশ (ইল্ড) ছিল ৮ থেকে সাড়ে ১০ শতাংশ।

প্রিমিয়ার ব্যাংক এবার শেয়ার প্রতি ১ টাকা ২৫ পয়সা নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। গত এক বছরে এই ব্যাংকের শেয়ারদর ছিল ৯ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ১৪ টাকা ২০ পয়সা। এই হিসাবে এই ব্যাংকের শেয়ারধারীরা ৯ থেকে ১২ দশমিক ৬০ শতাংশ মুনাফা পাবেন।

গত এক বছরে মার্কেন্টাইলে ব্যাংকের শেয়ারদর ছিল ১০ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ১৪ টাকা ২০ পয়সা। এই ব্যাংকের শেয়ারধারীরা এক টাকা করে নগদ পেতে যাচ্ছেন। এই ব্যাংকের শেয়ারধারীদের ইল্ড ৭ থেকে ৯ দশমিক ৪ শতাংশ।

যমুনা ব্যাংকের দাম গত এক বছরে সর্বনিম্ন ছিল ১৬ টাকা, আর সর্বোচ্চ ২০ টাকা ৪০ পয়সা। এই ব্যাংকের শেয়ারধারীরা নগদ লভ্যাংশ পেতে যাচ্ছেন ১ টাকা ৭৫ পয়সা। যাদের শেয়ার কেনা ১৬ টাকায়, তারা শেয়ারমূল্যের প্রায় ১১ শতাংশ পাচ্ছেন লভ্যাংশ হিসেবে, আর যাদের কেনা ২০ টাকা ৪০ পয়সায়, তারা পাচ্ছেন ৮ দশমিক ৫ শতাংশ। এ রকম আরও অন্তত ১০টি ব্যাংক আছে যেগুলোর লভ্যাংশের ইল্ড বাজারে বর্তমানে সুদহারের চেয়ে বেশি। পাশাপাশি পাওয়া গেছে বোনাস শেয়ার।

এত বেশি হারে লভ্যাংশ বিতরণ করলেও ব্যাংকের শেয়ারের দর একেবারে তলানিতে। নিয়মিত লভ্যাংশ দিয়ে আসা তিনটি ব্যাংকের শেয়ারদর এখন ১০ টাকার নিচে। আরও একটি লোকসানি ব্যাংকের শেয়ারদর ৫ টাকার নিচে। নিয়মিত লভ্যাংশ দেয়া অন্য একটি ব্যাংকের শেয়ারদর ১০ টাকা।

১০ থেকে ১৫ টাকার মধ্যে দাম আছে নয়টির। এর মধ্যে একটি কেবল এবার ৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। বাকি সবগুলোই ১০ বা তার চেয়ে বেশি হারে লভ্যাংশ দিয়েছে। এর মধ্যে একটি ২০ ও একটি ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। সাতটি ব্যাংকের শেয়ারদর এখন ১৫ থেকে ২০ টাকার মধ্যে। এর মধ্যে দুটি সর্বনিম্ন ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। সর্বোচ্চ ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে একটি।

অর্থনীতিবিদ আবু আহমেদ বলেন, ‘পুঁজিবাজারে যে লেনদেন হয় তার ৯০ শতাংশ গেমলিং করে হয়। ব্যাংকে গেমলিং কম, কারণ তাদের ইক্যুইটি বেশি। বিনিয়োগকারীরা এখন স্বল্প সময়ের লেনদেন করে মুনাফা তুলে নেয়ার পক্ষে, যা ব্যাংকে হচ্ছে না।’ পুঁজিবাজারে নগদ লভ্যাংশের প্রবণতা বাড়ে ২০১৯ সালের বাজেটে কর প্রস্তাবের পর। তখন বলা হয়, কোনো কোম্পানি নগদ লভ্যাংশের সমপরিমাণ বোনাস দিলে বোনাসের উপর কর দিতে হবে না। আর শুধু বোনাস দিলে অথবা নগদ লভ্যাংশের চেয়ে বেশি বোনাস দিলে ১০ শতাংশ হারে কর দিতে হবে।

এই বিধানের পর ২০২০ সাল থেকেই ব্যাংকগুলো বোনাসের সমপরিমাণ নগদ লভ্যাংশ দিতে থাকে। যদিও করোনা পরিস্থিতিতে ব্যাংকের হাতে নগদ টাকা রাখার সুবিধার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকগুলোকে কেবল বোনাস শেয়ার দিকে বাড়তি করারোপের শর্ত থেকে মুক্তি দেয়া হয়। তার পরেও কোম্পানিগুলো বোনাসের পাশাপাশি নগদ লভ্যাংশ বিতরণ করে।

মহামারি পরিস্থিতিতে টানা দ্বিতীয় বছর এই প্রবণতা চালু রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে তালিকাভুক্ত ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারম্যার আহসান এইচ মনসুর  বলেন, ‘শেয়ারহোল্ডারদের মনোবল ধরে রাখতে প্রায় প্রতিটি ব্যাংক ভালো লভ্যাংশ দিয়েছে। ব্যাংকের আর্থিক হিসাব অনেকটাই স্বচ্ছ। যে কারণে এ খাত থেকে প্রতি বছর ভালো লভ্যাংশ দেয়া হয়।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে শেয়ারবাজারে অন্যান্য খাতের তুলনায় ব্যাংক খাত এখনও বিনিয়োগযোগ্য। লভ্যাংশের তুলনায় ব্যাংকের চেয়ে কম দামে অন্য কোনো শেয়ার নেই বললেই চলে। কিন্তু এরপরেও বিনিয়োগকারীরা সেদিকে যেতে চান না। অনেকে গুজবনির্ভর বিনিয়োগে যান।’

শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের কোম্পানি সচিব আবুল বাশার বলেন, ‘ব্যাংকগুলোর লভ্যাংশ থেকে ভালো রিটার্ন পাওয়া সম্ভব। ব্যাংকের শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা যেন আরও সুদৃঢ় হয় সেজন্য করোনাতে ব্যাংকগুলো শেয়ারধারীদের ভালো লভ্যাংশ দিয়েছে।’

আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক এবার শেয়ার প্রতি দেড় টাকা করে লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ব্যাংকটির শেয়ার সংখ্যা ১০৬ কোটি ৪৯ লাখ ২ হাজার ১৮৫টি। এই হিসাবে ব্যাংকটি লভ্যাংশ দেবে ১৫৯ কোটি ৭৩ লাখ ৫৩ হাজার ২৭৭ টাকা ৫০ পয়সা। ব্যাংক এশিয়া শেয়ার প্রতি লভ্যাংশ দিচ্ছে ১ টাকা করে। এই হিসাবে ব্যাংকটি বিতরণ করবে ১১৬ কোটি ৫৯ লাখ ৬ হাজার ৮৬০ টাকা।

শেয়ার প্রতি ১ টাকা হিসেবে ব্র্যাক ব্যাংক লভ্যাংশ বিতরণ করবে ১৩২ কোটি ৫৮ লাখ ৭৮ হাজার ৪৭৬ টাকা। পাশাপাশি ৫ শতাংশ হারে প্রতি ১০০ শেয়ারে পাঁচটি বোনাস শেয়ারও দেবে ব্যাংকটি।

টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লভ্যাংশ দিচ্ছে সিটি ব্যাংক। শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৭৫ পয়সা হিসেবে তারা বিতরণ করবে ১৭৭ কোটি ৮৬ লাখ ৭৬ হাজার ৬৫৬ টাকা ৭৫ পয়সা। পাশাপাশি ৫ শতাংশ হারে প্রতি ১০০ শেয়ারে পাঁচটি বোনাস শেয়ারও দেবে ব্যাংকটি।

ঢাকা ব্যাংক শেয়ার প্রতি ৬০ পয়সা করে বিতরণ করবে মোট ৫৩ কোটি ৭৫ লাখ ২৩ হাজার ৪৪৬ টাকা। পাশাপাশি ৬ শতাংশ হারে প্রতি ১০০ শেয়ারে ছয়টি বোনাস শেয়ারও দেবে ব্যাংকটি। শেয়ার প্রতি দেড় টাকা করে ডাচ বাংলা ব্যাংক দিচ্ছে ৯৪ কোটি ৮৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। পাশাপাশি ১৫ শতাংশ হারে প্রতি ১০০ শেয়ারে ১৫টি বোনাস শেয়ারও দিয়েছে ব্যাংকটি।

ইবিএল শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৭৫ পয়সা করে বিতরণ করবে মোট ১৪২ কোটি ৬ লাখ ৪৯ হাজার ২০৬ টাকা। পাশাপাশি ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ হারে প্রতি ২০০ শেয়ারে ৩৫টি বোনাস শেয়ারও দেবে ব্যাংকটি।

এক্সিম ব্যাংক শেয়ার প্রতি ৭৫ পয়সা করে লভ্যাংশ দেবে মোট ১০৫ কোটি ৯১ লাখ ৮৮ হাজার ৩০১ টাকা। পাশাপাশি ২ দশমিক ৫ শতাংশ হারে প্রতি ২০০ শেয়ারে পাঁচটি বোনাস শেয়ারও দেবে ব্যাংকটি। ইসলামী ব্যাংক শেয়ার প্রতি ১ টাকা করে বিতরণ করবে মোট ১৬০ কোটি ৯৯ লাখ ৯০ হাজার ৬৬৮ টাকা।

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক শেয়ার প্রতি ৫০ পয়সা করে নগদ ও প্রতি ১০০ শেয়ারে পাঁচটি বোনাস শেয়ার দিতে যাচ্ছে। এই হিসেবে এই ব্যাংকটি বিতরণ করবে মোট ৪৭ কোটি ৪৩ লাখ ৮০ হাজার ১০১ টাকা ৫০ পয়সা। শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৭৫ পয়সা করে মোট ১৩১ কোটি ১১ লাখ ৪৪ হাজার ৮৮৭ টাকা ৫০ পয়সা বিতরণ করবে যমুনা ব্যাংক।

মার্কেন্টাইল ব্যাংক শেয়ার প্রতি ১ টাকা করে বিতরণ করবে মোট ১০৩ কোটি ৩২ লাখ ১৭ হাজার ২৮ টাকা। পাশাপাশি ৫ শতাংশ হারে প্রতি ১০০ শেয়ারে পাঁচটি বোনাস শেয়ারও দেবে ব্যাংকটি। শেয়ার প্রতি ৭৫ পয়সা করে মোট ৭০ কোটি ৯৪ লাখ ৪৪ হাজার ৮৬০ টাকা ৭৫ পয়সা লভ্যাংশ দেবে এনসিসি ব্যাংক। পাশাপাশি ৭.৫ শতাংশ হারে প্রতি ২০০ শেয়ারে ১৫টি বোনাস শেয়ারও দেবে ব্যাংকটি।

নতুন তালিকাভুক্ত এনআরবিসি ব্যাংক বিতরণ করবে ৫২ কোটি ৬৮ লাখ ৮৭ হাজার ৭৪৮ টাকা ৫০ পয়সা। পাশাপাশি ৫ শতাংশ হারে প্রতি ১০০ শেয়ারে পাঁচটি বোনাস শেয়ারও দেবে ব্যাংকটি।

শেয়ার প্রতি ৬০ পয়সা হিসেবে ওয়ান ব্যাংক দিচ্ছে মোট ৫৩ কোটি ১২ লাখ সাত হাজার ৮৪৩ টাকা। সঙ্গে সাড়ে ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ারও দেয়ার প্রস্তাবও দিয়েছে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ। এই হিসাবে প্রতি ২০০ শেয়ারে ১১টি বোনাস শেয়ার পাওয়া যাবে।

শেয়ার প্রতি ১ টাকা ২৫ পয়সা হারে ১৩০ কোটি টাকা ৩৮ লাখ ৩৮ হাজার ৪০৮ টাকা ৭৫ পয়সা লভ্যাংশ দেবে প্রিমিয়ার ব্যাংক। পাশাপাশি ৭.৫ শতাংশ হারে প্রতি ২০০ শেয়ারে ১৫টি বোনাস শেয়ারও দেবে ব্যাংকটি।

প্রাইম ব্যাংক শেয়ার প্রতি দেড় টাকা হারে বিতরণ করতে যাচ্ছে মোট ১৬৯ কোটি ৮৪ লাখ ২৫ হাজার ২১৫ টাকা ৫০ পয়সা। পূবালী ব্যাংক শেয়ার প্রতি ১ টাকা ২৫ পয়সা হারে মোট ১২৮ কোটি ৫৩ লাখ ৬৭ হাজার ৭৭৩ কোটি ৭৫ পয়সা লভ্যাংশ বিতরণ করতে যাচ্ছে।

শেয়ার প্রতি ৭০ পয়সা করে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক বিতরণ করেছে মোট ৬৮ কোটি ৪৩ লাখ ৪৯ হাজার ৪৭৩ টাকা। পাশাপাশি ৫ শতাংশ হারে প্রতি ১০০ শেয়ারে পাঁচটি বোনাস শেয়ারও দিয়েছে ব্যাংকটি।

শেয়ার প্রতি ৫০ পয়সা করে এসআইবিএল লভ্যাংশ দেবে মোট ৪৬ কোটি ৯০ লাখ চার হাজার ২১২ টাকা। পাশাপাশি ৫ শতাংশ হারে প্রতি ১০০ শেয়ারে পাঁচটি বোনাস শেয়ারও দেবে ব্যাংকটি। শেয়ার প্রতি টাকা হারে সাউথ ইস্ট ব্যাংক দিতে যাচ্ছে মোট ১১৮ কোটি ৮৯ লাখ ৪০ হাজার ৫২২ টাকা।

টাকার অঙ্কে সবচেয়ে কম লভ্যাংশ দিতে যাচ্ছে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক। এই ব্যাংকটি শেয়ার প্রতি ২৫ পয়সা করে বিতরণ করতে যাচ্ছে মোট ২৫ কোটি ১৪ লাখ ৯৭ হাজার ৬৯৭ টাকা। পাশাপাশি ২.৫ শতাংশ হারে প্রতি ২০০ শেয়ারে পাঁচটি বোনাস শেয়ারও দেবে ব্যাংকটি।

উত্তরা ব্যাংক শেয়ার প্রতি ১ টাকা ২৫ পয়সা করে বিতরণ করতে যাচ্ছে মোট ৬২ কোটি ৭৪ লাখ ২৫ হাজার ৯৮৭ টাকা ৫০ পয়সা। পাশাপাশি ১২.৫ শতাংশ হারে প্রতি ২০০ শেয়ারে ২৫টি বোনাস শেয়ারও দেবে ব্যাংকটি।

কেবল বোনাস শেয়ার দিল যারা: আরও তিনটি ব্যাংক এখন পর্যন্ত লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে যারা কেবল বোনাস শেয়ার দেবে। এর মধ্যে এবি ও আইএফআইসি ব্যাংক কেবল ৫ শতাংশ হারে (প্রতি ১০০ শেয়ারে পাঁচটি) এবং মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ১০ শতাংশ হারে (প্রতি ১০ শেয়ারে একটি) বোনাস শেয়ার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

গত ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য কেবল বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে এমটিবি, এবি ও আইএফআইসি ব্যাংক। টানা লোকসানে থাকা আইসিবি ইসলামী ব্যাংক এবারও শেয়ারধারীদের মধ্যে কোনো লভ্যাংশ বিতরণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

যেসব ব্যাংক এখনও লভ্যাংশ ঘোষণা করেনি: ন্যাশনাল, রূপালী, ট্রাস্ট ও ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক বা ইউসিবি এখনও লভ্যাংশ ঘোষণা সংক্রান্ত সভার কথাই জানায়নি।

বস্ত্র খাতের ১১ কোম্পানির মুনাফায় চমক, চারটি লোকসানে: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে এ পর্যন্ত ২৭টি কোম্পানি চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ’২১) আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে ১৫টি কোম্পানির মুনাফায় উত্থান হয়েছে, ৮টির মুনাফায় পতন হয়েছে এবং ৪টির লোকসান কম-বেশ হয়েছে।

তবে তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২১) মুনাফায় উত্থানে থাকা ১৫টি কোম্পানির মধ্যে চলতি হিসাববছরের ৯ মাসে ১১টি কোম্পানির মুনাফায় ঊর্ধ্বগতি থাকলেও ৪টির মুনাফা কমেছে। নয় মাসে এই ৪টি কোম্পানি মুনাফার প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে পারেনি।

তবে বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনার থাবায় বস্ত্র খাত সবচেয়ে বেশি চাপে রয়েছে। এর মধ্যেও কোম্পানিগুলো মুনাফায় ঊর্ধ্বগতি দেখিয়েছে, এটা অনেক ইতিবাচক ও আশাব্যঞ্জক দিক।

তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২১) এবং হিসাববছরের ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) মুনাফায় উত্থানে থাকা ১১টি কোম্পানি হলো-আলহাজ্ব টেক্সটাইল, আনলিমা ইয়ার্ন, এপেক্স স্পিনিং, ড্রাগন স্যুয়েটার, এইচআর টেক্সটাইল, মালেক স্পিনিং, মতিন স্পিনিং, নিউ লাইন টেক্সটাইল, কুইনসাউথ টেক্সটাইল, রহিম টেক্সটাইল ও স্কয়ার টেক্সটাইল।

তৃতীয় প্রান্তিকে আয় বাড়লেও হিসাববছরের ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) আয় কমেছে ৪টি কোম্পানির। কোম্পানিগুলো হলো- আর্গন ডেনিম, ইভিন্স টেক্সটাইল (ইটিএল), জেনারেশন নেক্সট ও ভিএফএস থ্রেড লিমিটেড।

অন্যদিকে, তৃতীয় প্রান্তিকে আয় কমেছে এবং হিসাববছরের ৯ মাসেও (জুলাই’২০-মার্চ’২১) আয় কমেছে ৮টি কোম্পানির। কোম্পানিগুলো হলো- আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, আলিফ ম্যানুফেকচারিং, এনভয় টেক্সটাইল, ফারইস্ট নিটিং, কাট্টালি টেক্সটাইল, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ ও সিমটেক্স লিমিটেড।

অপরদিকে, তৃতীয় প্রান্তিকে ও হিসাববছরের ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) লোকসানে রয়েছে ৪টি কোম্পানি। সেগুলো হলো- অলটেক্স, নূরানী টেক্সটাইল, দুলামিয়া কটন ও জাহিন টেক্সটাইল।

তৃতীয় প্রান্তিকে ও ৯ মাসের মুনাফায় ঊর্ধ্বগতি থাকা ১১ কোম্পানি:

আলহাজ্ব টেক্সটাইল: চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটি লোকসান থেকে মুনাফায় ফিরেছে। আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি মুনাফা করেছে ২০ পয়সা। আগের হিসাববছরের একই সময়ে লোকসান ছিল ১৩ পয়সা। চলতি হিসাববছরের তিন প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ৩৮ পয়সা। আগের হিসাববছেরের তিন প্রান্তিকে লোকসান ছিল ৭৬ পয়সা।

আনলিমা ইয়ার্ন: তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটি লোকসান থেকে মুনাফায় ফিরেছে। আলোচ্য প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি মুনাফা হয়েছে ৫ পয়সা। আগের বছরে লোকসান ছিল ১৩ পয়সা। তিন প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ২২ পয়সা। আগের বছরের তিন প্রান্তিকে ইপিএস ছিল ১১ পয়সা।

এপেক্স স্পিনিং: তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৭৬ পয়সা। আগের বছরে ইপিএস ছিল ৭২ পয়সা। তিন প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৫১ পয়সা। আগের বছরের তিন প্রান্তিকে ইপিএস ছিল ২ টাকা ১৯ পয়সা।

ড্রাগন স্যুয়েটার: তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩২ পয়সা। আগের বছরেও ইপিএস ছিল ৩২ পয়সা। তবে তিন প্রান্তিকে ইপিএস বেড়েছে। তিন প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ৯২ পয়সা। আগের বছরের তিন প্রান্তিকে ইপিএস ছিল ৭১ পয়সা।

এইচআর টেক্সটাইল: তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৯৩ পয়সা। আগের বছরে ইপিএস ছিল ৪৩ পয়সা। তিন প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৮৪ পয়সা। আগের বছরের তিন প্রান্তিকে ইপিএস ছিল ১ টাকা ৩১ পয়সা।

মালেক স্পিনিং: তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৯৯ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে লোকসান ছিল ৪৩ পয়সা। তিন প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৯৮ পয়সা। আগের বছরের তিন প্রান্তিকে ইপিএস ছিল ২২ পয়সা।

মতিন স্পিনিং: তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৯২ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ৮৮ পয়সা। তিন প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ৪ টাকা ৩ পয়সা। আগের বছরের তিন প্রান্তিকে ইপিএস ছিল ১ টাকা ৬৯ পয়সা।

নিউ লাইন টেক্সটাইল: তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ৪১ পয়সা। আগের বছরে ইপিএস ছিল ২৩ পয়সা। তিন প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৩২ পয়সা। আগের বছরের তিন প্রান্তিকে ইপিএস ছিল ১ টাকা ২৮ পয়সা।

কুইনসাউথ টেক্সটাইল: তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ৩৫ পয়সা। আগের বছরে ইপিএস ছিল ২৬ পয়সা। তিন প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ৮৯ পয়সা। আগের বছরের তিন প্রান্তিকে ইপিএস ছিল ৭৮ পয়সা।

রহিম টেক্সটাইল: তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটি বড় লোকসান থেকে মুনাফায় ফিরেছে। তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ৪৯ পয়সা। আগের বছরে লোকসান ছিল ৪ টাকা ১৫ পয়সা। তিন প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৮৪ পয়সা। আগের বছরের তিন প্রান্তিকে ইপিএস ছিল ৭৩ পয়সা।

স্কয়ার টেক্সটাইল: তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৫ পয়সা। আগের বছরে ইপিএস ছিল ৩৫ পয়সা। তিন প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৮৪ পয়সা। আগের বছরের তিন প্রান্তিকে ইপিএস ছিল ১ টাকা ১৯ পয়সা।

তৃতীয় প্রান্তিকে বাড়লেও ৯ মাসে মুনাফা কমেছে ৪টির: আর্গন ডেনিম: তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৪৫ পয়সা। আগের বছরে ইপিএস ছিল ২৯ পয়সা। তবে ৯ মাসে কোম্পানিটির আয় কমেছে। ৯ মাসে ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৮ পয়সা। আগের বছেরের ৯ মাসে ইপিএস ছিল ১ টাকা ৬৭ পয়সা।

ইভিন্স টেক্সটাইল: তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১৬ পয়সা। আগের বছরে ইপিএস ছিল ৪ পয়সা। তবে ৯ মাসে কোম্পানিটি লোকসানে রয়েছে। তিন প্রান্তিকে লোকসান হয়েছে ১৪ পয়সা। আগের বছেরের ৯ মাসে ইপিএস ছিল ৩৪ পয়সা।

জেনারেশন নেক্সট: তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩ পয়সা। আগের বছরে লোকসান ছিল ১২ পয়সা। তবে ৯ মাসে কোম্পানিটি লোকসানে রয়েছে। ৯ মাসে লোকসান হয়েছে ৩ পয়সা। আগের বছেরের ৯ মাসে ইপিএস ছিল ২৩ পয়সা।

ভিএফএস থ্রেড: তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৪১ পয়সা। আগের বছরে ইপিএস ছিল ৩৮ পয়সা। তবে ৯ মাসে কোম্পানিটির আয় কমেছে। ৯ মাসে ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ২৭ পয়সা। আগের বছেরের ৯ মাসে ইপিএস ছিল ১ টাকা ৩৯ পয়সা।

তৃতীয় প্রান্তিকে ও ৯ মাসে মুনাফা কমেছে ৮টির:

আলিফ ইন্ডাষ্ট্রিজ: তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩৯ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ৫৫ পয়সা। তিন প্রান্তিকে বা ৯ মাসে ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৩৮ পয়সা। আগের বছরের তিন প্রান্তিকে বা ৯ মাসে ইপিএস ছিল ২ টাকা ১৬ পয়সা।

আলিফ ম্যানুফেকচারিং: তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১৬ পয়সা। আগের বছরে ইপিএস ছিল ২৩ পয়সা। ৯ মাসে ইপিএস হয়েছে ৩৯ পয়সা। আগের বছরের ৯ মাসে ইপিএস ছিল ৬৩ পয়সা।

এনভয় টেক্সটাইল: তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২১ পয়সা। আগের বছরে ইপিএস ছিল ৯১ পয়সা। ৯ মাসে ইপিএস হয়েছে ৫৮ পয়সা। আগের বছরের ৯ মাসে ইপিএস ছিল ২ টাকা ৬ পয়সা।

ফারইস্ট নিটিং: তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২০ পয়সা। আগের বছরে ইপিএস ছিল ২২ পয়সা। ৯ মাসে ইপিএস হয়েছে ৩৩ পয়সা। আগের বছরের ৯ মাসে ইপিএস ছিল ৩৪ পয়সা।

কাট্টলী টেক্সটাইল: তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২৯ পয়সা। আগের বছরে ইপিএস ছিল ৪৬ পয়সা। ৯ মাসে ইপিএস হয়েছে ৯০ পয়সা। আগের বছরের ৯ মাসে ইপিএস ছিল ১ টাকা ৪০ পয়সা।

প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল: তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৯৭ পয়সা। আগের বছরে ইপিএস ছিল ১ টাকা ১৫ পয়সা। ৯ মাসে ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ৪০ পয়সা। আগের বছরের ৯ মাসে ইপিএস ছিল ৩ টাকা ৬৪ পয়সা।

শেফার্ড টেক্সটাইল: তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটি লোকসানে চলে গেছে। আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি লোকসান করেছে ২১ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ৮ পয়সা। ৯ মাসে লোকসান হয়েছে ৭৯ পয়সা। আগের বছরের ৯ মাসে মুনাফা ছিল ৪১ পয়সা।

সিম টেক্সটাইল: তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৬ পয়সা। আগের বছরে ইপিএস ছিল ২৪ পয়সা। ৯ মাসে ইপিএস হয়েছে ৭৬ পয়সা। আগের বছরের ৯ মাসে ইপিএস ছিল ১ টাকা ১৯ পয়সা।

লোকসানে রয়েছে ৪টি কোম্পানি:

অলটেক্স: তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাক ৮৩ পয়সা। আগের বছরে লোকসান ছিল ১ টাকা ৩৬ পয়সা। ৯ মাসে কোম্পানিটি লোকসানে হয়েছে ৪ টাকা ১১ পয়সা। আগের বছরের ৯ মাসে লোকসান ছিল ৪ টাকা ২৫ পয়সা।

নূরানী টেক্সটাইল: তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ২৮ পয়সা। আগের বছরে লোকসান ছিল ৬৯ পয়সা। ৯ মাসে কোম্পানিটি লোকসানে হয়েছে ৯৫ পয়সা। আগের বছরের ৯ মাসে লোকসান ছিল ৪২ পয়সা।

দুলামিয়া কটন: তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১৩ পয়সা। আগের বছরে লোকসান ছিল ১৫ পয়সা। ৯ মাসে কোম্পানিটি লোকসানে হয়েছে ৪৬ পয়সা। আগের বছরের ৯ মাসে লোকসান ছিল ৪৫ পয়সা।

জাহিন টেক্সটাইল: তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ২২ পয়সা। আগের বছরে লোকসান ছিল ১ টাকা ৩৩ পয়সা। ৯ মাসে কোম্পানিটি লোকসানে হয়েছে ২ টাকা ৫২ পয়সা। আগের বছরের ৯ মাসে লোকসান ছিল ২ টাকা ২২ পয়সা।

রোববার খুলছে ব্যাংক-বিমা ও পুঁজিবাজার: আগামীকাল রোববার থেকে খুলছে ব্যাংক-বিমা ও পুঁজিবাজার। আজ শনিবার (১৫ মে) শেষ হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতরের তিন দিনের সাধারণ ছুটি। ঈদের ছুটি শেষে রোববার অফিস পাড়ায় যোগ দেবেন ব্যাংক-বিমা, পুঁজিবাজার ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মজীবীরা।

সাধারণত রমজান মাস ২৯ দিনে হিসাব করে ঈদুল ফিতরের ছুটি নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু এবার করোনা পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার (১৩ মে) থেকে ছুটি ঘোষণা করে সরকার। তাই বুধবার (১২ মে) শেষ কর্মদিবস অফিস হয়ে তিন দিনের ঈদের ছুটি শুরু হয়। যদিও সরকার ঘোষিত তিন দিনের মধ্যে শুক্র ও শনিবার দুদিনই ছিল সাপ্তাহিক ছুটি।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান লকডাউনে সীমিত পরিসরে খোলা থাকবে ব্যাংক। রোববার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত চলবে ব্যাংকের লেনদেন। এরপর আনুষঙ্গিক কার্যক্রম শেষ করতে ব্যাংক খোলা থাকবে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত। আর পুঁজিবাজারে লেনদেন হবে সকাল ১০টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত।

পুঁজিবাজারে কখন বুঝবেন গেম্বলিং আইটেম থেকে বের হওয়ার সময়: পুঁজিবাজারের সিংহভাগ বিনিয়োগকারীরাই সর্ট টার্মে লাভবান হতে চান। এখানে দীর্ঘ মেয়াদে বিনিয়োগ খুব একটা করতে চান না। তারা দ্রুত ক্যাপিটাল গেইন করতে চায়। যে কারণে এখানে শেয়ার নিয়ে গেম্বলিং হয় বেশি। আর তাতে ঝুঁকিতে পড়েন বিনিয়োগকারীরা। কিন্তু গেম্বলিং শেয়ার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় বুঝতে না পারার কারণে লোকসানের কবলে পড়েন তারা। যে কারণে গেম্বলিং আইটেম থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময়টা বুঝতে পারাটা জরুরী।

বাজার বিশ্লেষকদের অভিযোগ, এদেশের বিনিয়োগকারীরা মূলত অধৈর্য্যশীল। তারা দ্রুত ক্যাপিটাল গেইন করতে চায়। যে কারণে এখানে শেয়ার নিয়ে গেম্বলিং হয় বেশি। আর তাতে ঝুঁকিতে পড়েন বিনিয়োগকারীরা। কিন্তু গেম্বলিং শেয়ার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় বুঝতে না পারার কারণে লোকসানের কবলে পড়েন তারা। যে কারণে গেম্বলিং আইটেম থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময়টা বুঝতে পারাটা তাদের জন্য জরুরী।

যে শেয়ারটি নিয়ে গেম্বলিং করবেন, গেম্বলাররা সেই শেয়ারটি কম দরে চুপেচাপে কিনেন। তারপর হঠাৎ শেয়ারটি দর বাড়াতে থাকে। তখন বাজারে ওই শেয়ারের দর নিয়ে নানা গুজব ছড়ান। শেয়ারটি দৌঁড় কতো, কত পর্যন্ত যাবে, তা ছড়ানো হয়। এই সময় গেম্বলাররা কেনার চেয়ে সেল প্রেসারে থাকেন। আর সাধারণ বিনিয়োগকারীরা কেনায় নামেন।

তারপর শুরু হয় আসল খেলা। গেম্বলাররা কোম্পানির সঙ্গে যোগসাজোশ করে মূল্য সংবেদনশীল তথ্য (পিএসই) প্রকাশ করেন। এতে কোম্পানির বিভিন্ন ধরনের ইতিবাচক খবর প্রকাশ করা হয়। এর মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদেরকে আরও আকৃষ্ট হয়। কিন্তু ওই ইতিবাচক খবর আসলে ইতিবাচক না, ওগুলো সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য তৈরী ফাদঁ।

ঠিক এই সময় শেয়ারটির দর যখন আকাশচুম্বী, তখন গেম্বলাররা বেরিয়ে যেতে শুরু করেন। তারা পিএসআই প্রকাশের মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগে আনতে থাকে এবং নিজেরা বের হয়ে যেতে থাকে।

যা গত বছরের শেষ দিকে বীমা কোম্পানিগুলোর শেয়ারেও দেখা গেছে। ওই সময় শেয়ার দর আকাশচুম্বি করার পরে বিভিন্নভাবে বীমা খাত নিয়ে ইতিবাচক খবর আসতে থাকে। এজেন্টদের কমিশন, পরিশোধিত মূলধন, এই খাত ভালো করবে, মুনাফা বৃদ্ধি ইত্যাদি ইতিবাচক খবর প্রকাশ করা হয়। এসব প্রক্রিয়ার সঙ্গে রাঘব বোয়াল অনেকেই জড়িত ছিল।

কিন্তু ওই ধাক্কায় গেম্বলাররা সুবিধা করতে পারেননি। ইতিবাচক খবর আশার সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ বিনিয়োগকারীরাও বেরিয়ে যেতে শুরু করেন। ওই ক্ষেত্রে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেয়। এতে করে আটকে যায় গেম্বলাররা। যে কারণে বীমার শেয়ারে চলছে এখনো তেজিভাব। তবে এটাও ঠিক, বীমা খাতে নানা পদক্ষেপ নেয়ার কারণে করোনার মধ্যেও খাতটিতে আয়ে ও ডিভিডেন্ডে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সে কারণে বীমা খাতের শেয়ার আরও সামনে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে।

তবে সবকিছুরই শেষ আছে। সে রকম সব শেয়ারেরও দর বৃদ্ধির পর সংশোধন অনিবার্য হয়ে যায়। সম্প্রতি বস্ত্র খাতে শেয়ার ও ব্যাংক খাতের শেয়ারেও তেজিভাব দেখা দিয়েছে। এটি অবশ্যই পুঁজিবাজারের জন্য ইতিবাচক দিক। দীর্ঘদিন ঘুমিয়ে থাকা খাত দুটির শেয়ারে তেজিভাব দেখা দিয়েছে। কিন্তু সেই দৌঁড় কতটা হবে-তা বিনিয়োগকারীদের বুঝতে হবে। কোন শেয়ারের দৌঁড় যখন ধারাবাহিকভাবে অস্বাভাবিক হয়, তখন বিনিয়োগকারীদের বুঝতে হবে এখন বের হওয়ার সময়, ঢোকার সময় নয়।

ডিএসই সতকর্তা বার্তা ১০ কোম্পানির শেয়ারে: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১০ কোম্পানির শেয়ারদর এক মাসের ব্যবধানে ৫১ শতাংশ থেকে ১৪৭ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। কোম্পানিগুলোর দর অস্বাভাবিকভাবে বাড়ার কারণ জানতে চায় প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। জবাবে কোম্পানিগুলোর কর্তৃপক্ষ জানায়, দর বৃ্দ্ধির কোন কারণ তাদের জানা নেই। এর প্রেক্ষিতে কোম্পানিগুলোর শেয়ারে বিনিনিয়োগের বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে ডিএসই।

ডিএসই সূত্র জানায়, ডিএসই কর্তৃপক্ষের কাছে কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে বলে মনে হয়েছে। এ কারণে ডিএসই কোম্পানিগুলোর কর্তৃপক্ষের কাছে দর বৃদ্ধির কারণ জানতে চেয়ে চিঠি পাঠায়। প্রতিউত্তরে কোম্পানিগুলোর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কোম্পানিগুলোর দর এভাবে অস্বাভাবিক বাড়ার কোন কারণ তাদের জানা নেই। অর্থাৎ কোন কারণ ছাড়াই কোম্পানিগুলোর দর অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। এর প্রেক্ষিতে কোম্পানিগুরোর শেয়ারে বিনিয়োগের বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে ডিএসই।

অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধির কোম্পানি ১০টি হলো-ন্যাশনাল ফিড, ম্যাকসন্স স্পিনিং, এমারন্ড ওয়েল, ই-জেনারেশন, মেট্রো স্পিনিং, ঢাকা ডাইং, ডেল্টা স্পিনিং, মালেক স্পিনিং, কাট্টলী টেক্সটাইল ও মোজাফ্ফর হোসেন স্পিনিং মিলস লিমিটেড।

ন্যাশনাল ফিড মিল: গত ১১ এপ্রিল ন্যাশনাল ফিড মিলের শেয়ারদর ছিল ১৪ টাকা ৬০ পয়সা। সর্বশেষ শেয়ারটির দর উঠেছে ৩৬ টাকা ১০ পয়সায়। ২০ কার্যদিবসে শেয়ারটির দর বেড়েছে ১৪৭.২৬ শতাংশ।

ম্যাকসন্স স্পিনিং: গত ৪ এপ্রিল ম্যাকসন্স স্পিনিংয়ের দর ছিল ৭ টাকা ৮০ পয়সা। সর্বশেষ শেয়ারটির দর উঠেছে ১৬ টাকা ৩০ পয়সায়। ২৩ কার্যদিবসে শেয়ারটির দর বেড়েছে ১০৮.৯৭ শতাংশ।

এমারেন্ড ওয়েল: গত ২১ মার্চ এমারেন্ড ওয়েলের দর ছিল ১০ টাকা ৮০ পয়সা। সর্বশেষ দর উঠেছে ২২ টাকায়। ৩৫ কার্যদিবসে দর বেড়েছে ১০৩.৭০ শতাংশ।

ই-জেনারেশন: গত ৪ এপ্রিল ই-জেনারেশনের দর ছিল ২৬ টাকা ৭০ পয়সা। সর্বশেষ শেয়ারটির দর উঠেছে ৫৩ টাকা ৩০ পয়সায়। ২৩ কার্যদিবসে দর বেড়েছে ৯৯.৬২ শতাংশ।

মেট্রো স্পিনিং: গত ১২ এপ্রিল মেট্রো স্পিনিংয়ের দর ছিল ৭ টাকা ৫০ পয়সা। সর্বশেষ শেয়ারটির দর উঠেছে ১৬ টাকা ৩০ পয়সায়। ১৯ কার্যদিবসে শেয়ারটির দর বেড়েছে ৭৮.৬৬ শতাংশ।

ডেল্টা স্পিনিং:গত ৪ এপ্রিল ঢাকা ডাইংয়ের দর ছিল ৫ টাকা ৩০ পয়সা। সর্বশেষ শেয়ারটির দর উঠেছে ৯ টাকা ৪০ পয়সায়। ২৩ কার্যদিবসে শেয়ারটির দর বেড়েছে ৭৭.৩৫ শতাংশ।

ঢাকা ডাইং: গত ৪ এপ্রিল ঢাকা ডাইংয়ের দর ছিল৭ টাকা ৩০ পয়সা। সর্বশেষ শেয়ারটির দর উঠেছে১২ টাকা ৩০ পয়সায়। ২৩কার্যদিবসে শেয়ারটির দর বেড়েছে ৭১.২৩ শতাংশ।

মালেক স্পিনিং: গত ১১ এপ্রিল মালেক স্পিনিংয়ের শেয়ারদর ছিল ১২ টাকা ৮০ পয়সা। সর্বশেষ শেয়ারটির দর উঠেছে ২০ টাকা ৮০ পয়সায়। ২০ কার্যদিবসে শেয়ারটির দর বেড়েছে ৬২.৫০ শতাংশ।

কাট্টলী টেক্সটাইল: গত ১২ এপ্রিল কাট্টলী টেক্সটাইলের দর ছিল ৮ টাকা ৫০ পয়সা। সর্বশেষ শেয়ারটির দর উঠেছে ১৩ টাকা ২০ পয়সায়। ১৯ কার্যদিবসে শেয়ারটির দর বেড়েছে ৫৫.২৯ শতাংশ।

মোজাফ্ফর হোসেন স্পিনিং: লোকসানি কোম্পানি মোজাফ্ফর হোসেন স্পিনিংয়ের দর ছিল গত ৪ এপ্রিল ১১ টাকা ৭০ পয়সা। সর্বশেষ শেয়ারটির দর উঠেছে ১৭ টাকা ৭০ পয়সায়। ২৩ কার্যদিবসে দর বেড়েছে ৫১.২৮ শতাংশ।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোম্পানিগুলোর কর্তৃপক্ষের মতে দর বৃদ্ধির কোন কারণ নেই। অথচ খুব অল্প সময়ের মধ্যে কোম্পানিগুলোর দর তুঙ্গে তুলেছে। এভাবে দর বৃদ্ধি মোটেও স্বাভাবিক নয়। এর পেছনে স্পষ্ঠত: কারসাজিকারীদের হাত রয়েছে। এ পর্যায়ে বিনিয়োগকারীদের ভেবে-চিন্তে বিনিয়োগ করা উচিত। অন্যথায় লাভের চেয়ে লোকসানের পাল্লাই ভারি হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি হবে।

ডিএসইতে সপ্তাহজুড়ে ১০ কোম্পানির লেনদেনের শীর্ষে: পুঁজিবাজারে বিদায়ী সপ্তাহে তিনদিন লেনদেন হয়েছে। এই তিনদিনে লেনদেন হয়েছে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হয়েছে ৪ হাজার ২০৮ কোটি ৯৫ লা্খ ৮৮ হাজারের বেশি টাকা। এর মধ্যে ১০ কোম্পানির লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ২৮১ কোটি ৫৬ লাখ ৮৩ হাজারের বেশি টাকার বা ৩০.৪৫ শতাংশের বেশি। সপ্তাহজুড়েই লেনদেনে কোম্পানিগুলোর দাপট দেখা গেছে। ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য পাওয়া গেছে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলো-বেক্সিমকো, ন্যাশনাল ফিড মিল, রবি আজিয়াটা, বৃটিশ অ্যামেরিকান ট্যোবাকো, স্কয়ার ফার্মা, লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স, ব্র্যাক ব্যাংক, এনআরবিসি ব্যাংক, পাইওনিয়ার ইন্সুরেন্স ও বেক্সিমকো ফার্মা লিমিটেড।

শীর্ষ ১০ কোম্পানি মধ্যে লেনদেনের প্রথম স্থানে ছিল বেক্সিমকোর সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির মোট লেনদেন হয়েছে ৩৪৬ কোটি ৯৬ লাখ ২৭ হাজার টাকার। যা ডিএসইর মোট লেনদেনের ৮.২৪ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির মোট শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩ কোটি ৯১ লাখ ৮৬ হাজার ৪৪৫টি।

লেনদেনের দ্বিতীয় স্থানে থাকা ন্যাশনাল ফিড মিলের অংশগ্রহণ ছিল ৩.৭৪ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির মোট লেনদেন হয়েছে ১৫৭ কোটি ২৫ লাখ ৯৮ হাজার টাকা। মোট শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪ কোটি ৫৫ লাখ ৬২ হাজার ৪০টি।

তালিকার তৃতীয় স্থানে ছিল রবি আজিয়াটা। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২ কোটি ৮৯ লাখ ১৭ হাজার ২৫৬টি। যা্র বাজার মূল্য ১৩৩ কোটি ৫৬ লাখ ৯৭ হাজার টাকা। ডিএসইর মোট লেনদেনে কোম্পানিটির অবদান ছিল ৩.১৭ শতাংশ।

লেনেদেনে বৃটিশ অ্যামেরিকান ট্যোবাকো ছিল চতুর্থ স্থানে। কোম্পানিটির মোট লেনদেন হয়েছে ১১৭ কোটি ৬৪ লাখ ৮৭ হাজার টাকা। যা ডিএসইর মোট লেনদেনের ২.৮০ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির মোট শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২১ লাখ ৬২ হাজার ২৮টি।

লেনদেনের পঞ্চম স্থানে থাকা স্কয়ার ফার্মার অবদান ছিল ২.৪৭ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির মোট লেনদেন হয়েছে ১০৩ কোটি ৯৬ লাখ ১৩ হাজার টাকা। মোট শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪৯ লাখ ৬৫ হাজার ৯৯৪টি।

ডিএসইর সাপ্তাহিক লেনদেনে অবদান রাখার অন্যান্য শীর্ষ কোম্পানিগুলো হলো- লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্সের ২.১৮ শতাংশ, ব্র্যাক ব্যাংকের ২.১২ শতাংশ, এনআরবিসি ব্যাংকের ২.০৭ শতাংশ, পাইওনিয়ার ইন্সুরন্সে ১.৮৯ শতাংশ এবং বেক্সিমকো ফার্মার ১.৭৭ শতাংশ।