তৌফিক ইসলাম ও এফ জাহান, দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: ৫ ডিসেম্বর ২০১০। এ দিন দেশের পুঁজিবাজারের সাধারণ মূল্যসূচক ওঠে সর্বোচ্চে। রেকর্ড গড়ে লেনদেনেও। কিন্তু পরদিন থেকেই শুরু পতনের, এক পর্যায়ে যা রূপ নেয় মহাধসে। পুঁজি হারিয়ে রাজপথে নেমে আসেন বিনিয়োগকারীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে নানা উদ্যোগ নেয় সরকার। কিন্তু ১০ বছরে পুঁজিবাজার স্থিতিশীল হয়নি। বরং দিন দিন পুঁজি হারিয়ে বিনিয়োগকারীরা নি:স্ব হতে থাকেন।

বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে ভেঙে দেয়া হয় কমিশন। দায়িত্ব দেয়া হয় নতুন নেতৃত্বকে। অধ্যাপক ড. শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের নেতৃত্বধীন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এক বছর পার করলো । নতুন এই কমিশনের উদ্যোগী কর্মকাণ্ড ও কর্ম তৎপরতায় এক বছরের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে আস্থা ও গতি ফিরে এসেছে। একইসঙ্গে হারোনো আস্থা ফিরে পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। ফলে নতুন কমিশন তাদের যোগ্যতা প্রমাণ করেছে।

নতুন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তাদের শক্তিশালী অবস্থানের কারণে বাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরেছে। আস্থা ফিরে পাওয়ায় বাজারে তারল্যও বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। একাধিক বিনিয়োগকারী, স্টেকহোল্ডার অর্থনীতিবিদ দেশ প্রতিক্ষণের সঙ্গে আলাপকালে এমনটি জানিয়েছেন। গত এক দশকে আগের কমিশন একাধিক পদক্ষেপ নিলেও বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে সক্ষম হননি। শুধু তাই নয় খাইরুল কমিশন বাজার মনিটরিংয়ে ব্যর্থ হয়েছিলেন। তাদের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা ছিল না।

তবে নতুন কমিশন শুরু থেকেই বাজার স্থিতিশীলতায় শক্তিশালী অবস্থান নেওয়ায় বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরতে শুরু করেছে। এতে করে প্রতিনিয়ত বাজারে তারল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষক ও বিনিয়োগকারীরা। তবে উন্নয়নের এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে বর্তমান কমিশনের আমলেই দেশের পুঁজিবাজার সারা বিশ্বে সুপ্রতিষ্ঠিত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। চেয়ারম্যান হিসেবে বিএসইসিতে কাজে যোগদানের পর থেকেই তিনি সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষা, পুঁজিবাজারের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন।

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের মধ্যে গত বছরে ১৭ মে বিএসইসি তথা পুঁজিবাজারের হাল ধরেন অধ্যাপক ড. শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। তার সঙ্গে কমিশনার হিসেবে বিএসইসিতে কাজ যোগদান করেন সাবেক শিল্প সচিব আব্দুল হালিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দীন আহমেদ ও একই বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন্স সিস্টেমস বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান। এছাড়া তৎকালীন কমিশনার হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন খোন্দকার কামালুজ্জামান।

পুঁজিবাজারের আমূল পরিবর্তনের লক্ষ্যে প্রায় দেড়শতাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে যাত্রা শুরু করে নতুন কমিশন। তবে করোনা পরিস্থিতির ধারাবাহিক অবনতি ও বিভিন্ন পারিপার্শিক কারণে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রণে কিছুটা বেগ পেতে হয়েছে নতুন কমিশনকে। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, অর্থ মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বোচ্চ সহযোগীতায় শেয়ারবাজারকে স্থিতিশীল পর্যায়ে আনতে সক্ষম হয়েছে বলে মনে করে কমিশন।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষা ও শেয়ারবাজারের উন্নয়নে গত এক বছরে নতুন কমিশন বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ ও সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে: করোনা পরিস্থিতে সরকার ঘোষিত লকডাউনে শেয়ারবাজার খোলা রাখা, ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড গঠন, তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর করপোরেট কর হারের ব্যবধান ১৫ শতাংশ রাখার প্রস্তাব, প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) আসা কোম্পানির শেয়ার আনুপাতিক সমবন্টন, আইপিও প্রক্রিয়া সহজীকরণ, স্বচ্ছতা নিশ্চিতে একাধিক আইপিও বাতিল,

সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ ও এককভাবে ন্যূনতম ২ শতাংশ শেয়ার ধারণ না থাকা কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন, জেড ক্যাটাগরি ও ওভার দ্য কাউন্টার মার্কেটের (ওটিসি) কোম্পানির জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ, ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার ও সার্কিট ব্রেকার আরোপ, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশ প্রদানের সক্ষমতা বৃদ্ধির সুপারিশ, লভ্যাংশ না দেওয়া ও নামমাত্র লভ্যাংশ দেওয়া কোম্পানিগুলোর জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ,

সকল তফসিলি ব্যাংকের শেয়ারবাজারে বিনিযোগ বৃদ্ধির উদ্যোগ, বিনিয়োগ বাড়াতে বিদেশে ও দেশের অভ্যন্তরে ব্রোকার হাউজের শাখা হিসেবে ডিজিটাল বুথ স্থাপনের উদ্যোগ, শেয়ারবাজারের ব্র্যান্ডিং ও বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে বিভিন্ন দেশে রোড শো আয়োজন, বিএসইসিসহ স্টক এক্সচেঞ্জদ্বয়কে ডিজিটালাইজেশনের উদ্যোগ, বন্ড মার্কেট শক্তিশালীকরণ, ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশকে (আইসিবি) শক্তিশালীকরণ,

ব্রোকারেজ হাউজের সংখ্যা বাড়াতে নতুন ট্রেক ইস্যুকরণ, করোনা পরিস্থিতিতে ভার্চুয়ালি এজিএম বা ইজিএম বা পর্ষদ সভা করার উদ্যোগ, স্মল ক্যাপ বোর্ডে নতুন কোম্পানির অনুমোদন, বাজার মধ্যস্থতাকারীদের কাজে উৎসাহ বাড়াতে পুরস্কার প্রদানের উদ্যোগ এবং শেয়ারবাজারে সুশাসন নিশ্চিতে বিভিন্ন আইন সংস্কার ও অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়া উল্লেখযোগ্য।

বাজার বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, নতুন কমিশনের গত এক বছরের মেয়াদে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সকল সূচক, লেনদেন ও বাজার মূলধন বেড়েছে। মঙ্গলবার (১৮ মে) লেনদেন শেষে ডিএসইএক্স সূচক অবস্থান করছে ৫ হাজার ৮২৯ পয়েন্টে। আর গত বছরের ১৭ মে ডিএসইএক্স সূচক ছিল ৪ হাজার ৬০ পয়েন্টে। এই হিসেবে জানাচ্ছে এক বছরের ব্যবধানে ডিএসইএক্স সূচক বেড়েছে ১ হাজার ৭৬৯ পয়েন্ট বা ৪৩ শতাংশ।

এ সময় শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস অবস্থান করছে ১ হাজার ২৮১ পয়েন্টে। গত বছরের ১৭ মে ডিএসইএস সূচক ছিল ৯৫১ পয়েন্টে। এক বছরের ব্যবধানে ডিএসইএস সূচক বেড়েছে ৩৩০ পয়েন্ট বা ৩৫ শতাংশ। একই সঙ্গে ব্ল চিপ নামে খ্যাত সূচক ডিএস৩০ অবস্থান করছে ২ হাজার ১৯৪ পয়েন্টে। আর গত বছরের ১৭ মে ডিএস৩০ সূচক ছিল ১ হাজার ৩৬৫ পয়েন্টে। এক বছরের ব্যবধানে ডিএস৩০ সূচক বেড়েছে ৮২৯ পয়েন্ট বা ৬১ শতাংশ।

বর্তমান কমিশনের ১ বছরের কাজের সফলতা সম্পর্কে জানতে চাইলে অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, যে কোন কাজ করতে গেলে সফলতা ব্যর্থতা থাকবে। তবে নতুন এ কমিশন কাজে যোগদানের পর থেকে যথেষ্ট ভালো কাজ করেছে। তারা যথেষ্ট উদ্যোগী ও তৎপর। কিছু কিছু বিষয় কমিশনের নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকলেও, তাদের উদ্দেশ্য ভালো ছিলো। বিশেষ করে তারা পাবলিক ইস্যু রুলসে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) সমবন্টন সংক্রান্ত যে বিধান পরিবর্তন করেছে, যা পুঁজিবাজারের জন্য ইতিবাচক।

বিএসইসির কাজের মূল্যায়ন সম্পর্কে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি সায়েদুর রহমান বলেন, ‘এক কথায় এক্সিলেন্ট। শেয়ারবাজারকে ভালো রাখার জন্য কমিশন গত এক বছরে তাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। কাজে যোগদানের শুরু থেকেই তাদের উদ্দেশ্য ছিল, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষা ও তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা। এ কমিশন সেই পরীক্ষায় সফলও হয়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক রকিবুর রহমান বলেন, বর্তমান কমিশনের ১ বছরের কার্যক্রমে অব্যশই সফল। পুঁজিবাজারের গতি ও আস্থা ফেরানোর চ্যালেঞ্জে সফল। কারন ২০১৬-১৭ সালে অনেক বিনিয়োগকারী বাজারে এসেছিল কিন্তু তারা ধোকা খেয়েছে। সে সময় কিছু দুর্বল কোম্পানি বাজারে আসায় তারা সেগুলোতে বিনিয়োগ করে ব্যাপক ক্ষতির শিকার হন। এতে করে আস্থার সংকট দেখা দেয় যেটা চলমান ছিল।

তবে নতুন কমিশনের দৃশ্যমান পদক্ষেপ বিশেষ করে বড় কোম্পানিকে জরিমানা, ব্রোকারেজ হাউজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া, পরিচালকদের দুই শতাংশ শেয়ার ধারণের টাইম দিয়ে দেওয়া এবং দুষ্ট চক্রের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেওয়ায় বাজারে বিনিয়োগকারীরা আসছেন। একই সঙ্গে তারল্য বাড়ছে। আশা করি বর্তমান কমিশনের নেতৃত্বে বিনিয়োগকারীরা ক্ষত কাটিয়ে উঠতে পারবে।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ও বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘ধসের পর পুঁজিবাজারের অনেক কিছুরই উন্নতি হয়েছে। তবে এ সময়ে ওয়ালটন, রবির মতো বড় কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইতিবাচক দিক। এ ছাড়াও, বেশ কিছু নতুন কোম্পানি তালিকাভুক্ত হয়েছে, এটা ভালো।‘ ‘আগের কমিশন বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে পারেনি। তবে নতুন কমিশন আস্থা ফেরাতে যেভাবে বাজার পর্যবেক্ষণ করছেন তাতে আমি আশাবাদী।’

একটি নিউজ পোর্টালকে দায়িত্বের এক বছরের কাজের মূল্যায়ন সম্পর্কে বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। তবে করোনা না থাকলে হয়তো আরো ভালো করতে পারতাম। শেয়ারবাজার আরো গতি পেতো। প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, অর্থ মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বোচ্চ সহযোগিতায় শেয়ারবাজারকে স্থিতিশীল পর্যায়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। বাজারের উন্নয়নে সবাইকে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে। এ জন্য সবার সম্মিলিত সহযোগীতা প্রয়োজন।’

ডিএসইতে চার কোম্পানির লেনদেনের রেকর্ড: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেন কিছুটা মন্দা প্রবণতায় শেষ হয়েছে। মন্দা বাজারে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। তবে আজ লেনদেনে ছিল উল্লম্ফন। আজ লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৭’শ কোটি টাকা। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। লেনদেন বৃদ্ধির বাজারে আজ চার কোম্পানির রেকর্ড লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর লেনদেন ছিল গত দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। কোম্পানিগুলো হলো: প্রাইম ব্যাংক, সাইফ পাওয়ার, ক্রিস্টাল ইন্সুরেন্স ও সিটি জেনারেল ইন্সরেন্স লিমিটেড।

প্রাইম ব্যাংক : আজ প্রাইম ব্যাংকের লেনদেন হয়েছে ২ কোটি ৮৩ লাখ ৭০ হাজার ৫০৬টি শেয়ার। এটি কোম্পানিটির গত দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন। এর আগে গত ১৬ মে শেয়ারটির লেনদেন হয়েছিল ৪৭ লাখ ৭৩ হাজার ৭০৮টি শেয়ার। আগেরদিন প্রাইম ব্যাংকের দর ছিল ২৩ টাকা ৬০ পয়সায়। আজ লেনদেনশেষে ক্লোজিং দর হয়েছে ২৫ টাকা ৬০ পয়সায়। দর বেড়েছে ৮.৪৭ শতাংশ।

ডিএসইতে আজ কোম্পানিটি লেনদেনের তালিকায় ছিল দ্বিতীয় স্থানে এবং দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় ছিল ১০ম স্থানে। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ অর্থবছরের জন্য কোম্পানিটি ১৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টকা ৩৪ পয়সা। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৪৬ পয়সা।

মুনাফায় উল্লম্ফন থাকায় কোম্পানিটির শেয়ার দরেও উল্লম্ফন দেখা দিয়েছে। গত ৪ মে কোম্পানিটির দর ছিল ১৫ টাকা ৫০ পয়সা। দশ কার্যদিবসের মাথায় শেয়ারটির দর বেড়েছে ১০ টাকা ১০ পয়সা বা ৬৫.১৫ শতাংশ।

সাইফ পাওয়ার : আজ সাইফ পাওয়ারের লেনদেন হয়েছে ২ কোটি ৫৩ লাখ ৮৮ হাজার ১৩২টি শেয়ার। এটি কোম্পানিটির গত দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন। এর আগে গত ১৪ জানুয়ারি শেয়ারটির লেনদেন হয়েছিল ১ কোটি ২৬ লাখ ৮২ হাজার ৩৩৪টি শেয়ার। আগেরদিন সাইফ পাওয়ারের দর ছিল ২৫ টাকা ২০ পয়সায়।

আজ লেনদেনশেষে ক্লোজিং দর হয়েছে ২৭ টাকায়। দর বেড়েছে ১ টাকা ৮০ পয়সা বা ৭.১৪ শতাংশ। গত ৪ মে কোম্পানিটির দর ছিল ১৯ টাকা ৮০ পয়সা। আজ দর উঠেছে ২৭ টাকায়। আট কার্যদিবসে শেয়ারটির দর বেড়েছে ৮ টাকা ২০ পয়সা বা ৪১.৪১ শতাংশ। ৩০ জুন, ২০২০ অর্থবছরে কোম্পানিটি ৫ শতাংশ ক্যাংশ ও ৫ শতাংশ বোনাস ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে (জুলাই-ডিসেম্বর’২০) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৬৬ পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৯০ পয়সা।

ক্রিস্টাল ইন্সরেন্স : আজ ক্রিস্টাল ইন্সুরেন্সের লেনদেন হয়েছে ৫৫ লাখ ৫৫৬টি শেয়ার। এটি কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির পর সর্বোচ্চ লেনদেন। এর আগে গত ৬ জানুয়ারি শেয়ারটির লেনদেন হয়েছিল ৪৮ লাখ ১৬ হাজার ৫৮০টি শেয়ার।

আগেরদিন ক্রিস্টাল ইন্সুরেন্সের দর ছিল ৬১ টাকা ৭০ পয়সায়। আজ লেনদেনশেষে ক্লোজিং দর হয়েছে ৬৭ টাকা ৮০ পয়সা। দর বেড়েছে ৬ টাকা ১০ পয়সা বা ৯.৮৮ শতাংশ। আজ কোম্পানিটি ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় ৬ষ্ট এবং দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় চতুর্থ স্থানে ছিল। গত ২৬ এপ্রিল ক্রিস্টাল ইন্সুরেন্সের দর ছিল ৪৭ টাকা ৮০ পয়সা। ১৫ কার্যদিবসে শেয়ারটির দর বেড়েছে ২০ টাকা ৪১.৮৪ শতাংশ।

৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ অর্থবছরে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৬৩ পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ৭৮ পয়সা।

সিটি ইন্সরেন্স : আজ সিটি ইন্সুরেন্সের লেনদেন হয়েছে ৬৫ লাখ ২৩ হাজার ৪৪৫টি শেয়ার। এটি কোম্পানিটির গত দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন। এর আগে গতবছর ২৫ অক্টোবর শেয়ারটির লেনদেন হয়েছিল ৬৪ লাখ ৩৯ হাজার ৩১৮টি শেয়ার।

আগেরদিন সিটি ইন্সুরেন্সের দর ছিল ৪০ টাকা ১০ পয়সায়। আজ লেনদেনশেষে ক্লোজিং দর হয়েছে ৪৪ টাকা ১০ পয়সা। দর বেড়েছে ৪ টাকা বা ৯.৯৭ শতাংশ। আজ কোম্পানিটি ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ তালিকার ৯ম স্থানে এবং দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় ২য় স্থানে অবস্থান করছে। গত ৪ এপ্রিল সিটি ইন্সুরেন্সের দর ছিল ২০ টাকা ৭০ পয়সা। আজ দর হয়েছে ৪৪ টাকা ১০ পয়সা।

২৪ কার্যদিবসে শেয়ারটির দর বেড়েছে ২৩ টাকা ৪০ পয়সা বা ১১৩ শতাংশ। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ অর্থবছরে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৫০ পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ৭ পয়সা।

ডেসকোর তৃতীয় প্রান্তিকে মুনাফায় ধ্বস: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কোম্পানি ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি (ডেসকো) লিমিটেড ৩১ মার্চ, ২০২১ সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ’২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১২ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস হয়েছিল ২৩ পয়সা। অন্যদিকে চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৪৩ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১ টাকা ৩৭ পয়সা।

বীকন ফার্মার তৃতীয় প্রান্তিকে মুনাফার উস্ফলন: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ফার্মা ও রসায়ন খাতের কোম্পানি বীকন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ৩১ মার্চ, ২০২১ সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ’২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ২ টাকা ১ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ২৫ পয়সা।

অন্যদিকে চলতি অর্থববছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ২৭ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৫৫ পয়সা। ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ২২ টাকা ১১ পয়সা।

এসএমই কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে আনতে বিএসইসির কার্যকর উদ্যোগ: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির মাধ্যমে এসএমই উদ্যোক্তাদের অর্থ সংগ্রহের সুযোগ দিয়ে আইন করা হলেও তাতে প্রত্যাশিত সাড়া মিলছে না। এই অবস্থায় এসএমই কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে আনতে কার্যকর উদ্যোগ নিচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

বাজার সংশ্লিষ্টরা এসএমই কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তিতে উৎসাহিত করার উদ্যোগকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন। তাঁরা বলছেন, সম্ভাবনাময় এসএমই প্রতিষ্ঠানগুলো পুঁজিবাজারে যুক্ত হলে অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখার সুযোগ তৈরি হবে। ব্যবসা সম্প্রসারণে প্রয়োজন বাড়তি বিনিয়োগ।

এক্ষেত্রে ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতের উদ্যোক্তাদের অনেকেই আটকে যান নানা রকম শর্তের বেড়াজালে। এমন বাস্তবতায় উন্নত বিশ্বের মতো দেশের এসএমই প্রতিষ্ঠানকে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহের সুযোগ দিতে ‘স্বল্পমূলধনী কোম্পানি আইন-২০১৮’ প্রণয়ন করে বিএসইসি, যা উদ্যোক্তাদের আশাবাদী করলেও তাতে রয়েছে প্রক্রিয়াগত জটিলতা ।

জানা যায়, এসএমই প্রতিষ্ঠানকে পুঁজিবাজার থেকে সর্বনিম্ন ৫ কোটি থেকে সর্বোচ্চ ৩০ কোটি টাকা পর্যন্ত পরিশোধিত মূলধন সংগ্রহের সুযোগ রাখা হয়েছে এ আইনে। বুক বিল্ডিং ও ফিক্সড প্রাইস দুই পদ্ধতিতেই প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, ইস্যুয়ার কোম্পানি ও কেবল এক কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ আছে এমন ব্যক্তি কিনতে পারবেন এসব শেয়ার।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন কিছুদিন আগে বলেছেন, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির জন্য এসএমই বোর্ড গঠন করা হয়েছে। এসএমই রুল-রেগুলেশন তৈরি করা হয়েছে। এটার মাধ্যমে আমরা ২০১৮ সাল থেকে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু বাস্তবিক কিছু কারণে তখন আবেদনগুলো অনুমোদন করতে পারিনি। এসএমই খাতকে সহযোগিতা করতে যা কিছু করতে হয়, তা বিএসইসির করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেছেন, আমি মনে করি এসএমই খাতকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তা যদি সফল হয়, তাহলে দেশের মিডিয়াম ও স্মল ক্যাপিটালের অনেক কোম্পানি সামনে এগিয়ে আসবে। প্রসঙ্গত, গত মাসে দেশের প্রথম এসএমই প্রতিষ্ঠান হিসেবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পায় নিয়ালকো অ্যালয়েস।

দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা:বর্তমান কমিশনের মেয়াদের প্রথম বর্ষের সফল সমাপ্তির জন্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সম্মানিত চেয়ারম্যান এবং সকল কমিশনারকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ এবং ব্যবস্থাপনার কর্তৃপক্ষের পক্ষ হতে আন্তরিক অভিনন্দন জানায়।

আজ বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম এর হাতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ইনচার্জ) এম সাইফুর রহমান মজুমদার, এফসিএ, এফসিএমএ এ অভিনন্দন বার্তা তুলে দেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন মহাব্যবস্থাপক মোঃ ছামিউল ইসলাম এবং উপ-মহাব্যবস্থাপক মোঃ শফিকুর রহমান।

অভিনন্দন বার্তায় ডিএসইর চেয়ারম্যান মোঃ ইউনুসুর রহমান বলেন, আপনার নেতৃত্বে বর্তমান কমিশন প্রজ্ঞা ও মেধা দিয়ে স্বল্পতম সময়ে পুঁজিবাজার উন্নয়ন, নিয়ন্ত্রণ ও বিভিন্ন সংস্কারে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রেখেছেন। এই সময়ে কমিশন কর্তৃক বেশ কিছু চমৎকার উদ্যোগ বিনিয়োগকারী এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের আস্থা বৃদ্ধিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে।

আমরা ইতিমধ্যে কমিশনের অসামান্য এবং গতিশীল সিদ্ধান্তের ফলে পুঁজিবাজারের ইতিবাচক প্রভাব লক্ষ্য করছি। আমরা বাজারের গুণগতমান এবং আকারের ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আনয়নে আপনার আন্তরিক প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানাই। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে আপনার নিরলস প্রচেষ্টা সামনের দিনগুলোতে বাজারে আরও অধিকতর টেকসই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করবে। স্টক এক্সচেঞ্জ প্রাইমারি রেগুলেটরি প্রতিষ্ঠান হিসাবে, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের চালিকাশক্তি পুঁজিবাজারের স্বার্থে আপনার নেতৃত্বের প্রতি আমাদের সমর্থন সবসময় অব্যাহত থাকবে এবং বাজারের উন্নয়নের

জন্য কমিশনের সাথে একযোগে কাজ করবে। এই মুহুর্তে আমি একটি ভাল খবর আপনার সদয় অবগতির জন্য জানাতে চাই যে, ডিএসই ডিজাস্টার রিকভারি (ডিআর) সুবিধা সম্বলিত বহুল প্রতীক্ষিত ডেটা সেন্টার (ডিসি) প্রতিষ্ঠায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করেছে৷ আপনার উদ্ভাবনী ও দূরদর্শী দিকনির্দেশনায় ডিএসই স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী কৌশলগত ব্যবসায়িক পরিকল্পনাও তৈরি করেছে। যা কমিশনের উদ্দেশ্যসমূহ বাস্তবায়নে সমন্বিত হতে পারে।

আমরা মনে করি যে, বাজারকে শক্তিশালী করতে কমিশন বর্তমানে যে গতিতে এগোচ্ছে তা বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় নীতিগত সহায়তার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং অন্যান্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার সাথে যথাযথ সমন্বয় নিশ্চিত করে বাজারকে অধিকতর শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে অদূর

ভবিষ্যতে একটি প্রাণবন্ত এবং অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ডেট মার্কেট প্রতিষ্ঠা করতেসক্ষম হবে। আমরা নিশ্চিত যে, সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সকলের প্রত্যাশা অনুযায়ী আপনার সফল নেতৃত্ব, প্রজ্ঞা এবং দিক নির্দেশনায় শীঘ্রই দেশের পুঁজিবাজার নতুন উচ্চতায় এবং সাফল্য অর্জন করবে। পরিশেষে, তিনি বিএসইসি’র চেয়ারম্যান, কমিশনারদের সুস্বাস্থ্য, সুচিন্তিত মনোভাব এবং একটি সফল সময়কাল কামনা করেন।

ডিএসইতে চার মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের নিম্নমুখী ধারা থাকলেও লেনদেন ছিল ঊর্ধ্বমুখী। এদিন প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন ১৭০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। করোনা সংক্রমণ রোধে সরকারের কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে সীমিত সময়ে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। যা গত চার মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন।

জানা গেছে, আগের কার্যদিবসের চেয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১০ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৮২৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইর অন্য সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৩ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৮১ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৪ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৯৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৭১৯ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। এর আগে গত ১৭ জানুয়ারি ডিএসইতে ২ হাজার ৩৮৪ কোটি ৮৭ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছিল। গতকাল ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৫৩৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা। ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৬৫ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বেড়েছে ১০৩টির, কমেছে ২১৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৭টি শেয়ার দর।

অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৮৯৪ পয়েন্টে, সিএসই ৫০ সূচক ৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৬৯ পয়েন্টে এবং সিএসসিএক্স সূচক ১৯ পয়েন্ট কমে ১০ হাজার ১৮৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৮৯ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বেড়েছে ৮৯টির, কমেছে ১৬৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩২টির শেয়ার দর। সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৬০ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।

১৫ কোম্পানির বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১৫ কোম্পানির বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা করছে। ভিন্ন ভিন্ন খাতের কোম্পানিগুলো বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা করে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে ডিভিডেন্ড ও প্রান্তিক প্রতিবেদন প্রকাশ করছে।

কোম্পানিগুলো হলো: ইনফরমেশন সার্ভিস: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্কস লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সভার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। কোম্পানিটির পর্ষদ সভা আগামী ২৩ মে বিকাল ৫টায় অনুষ্ঠিত হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ আলোচিত প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি। আগের প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি আয় করেছিল ০২ পয়সা।

রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সভার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। কোম্পানিটির পর্ষদ সভা আগামী ২৫ মে বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, সভায় ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ আলোচিত প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি। একই সভায় কোম্পানিটির প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনও পরযালোচনা করা হবে। ২০১৯ সালে কোম্পানিটি ১৪ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে।

রহিমা ফুড: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি রহিমা ফুডস লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সভার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। কোম্পানিটির পর্ষদ সভা আগামী ২৪ মে বিকাল ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ আলোচিত প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি। আগের প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি আয় করেছিল ০৮ পয়সা।

মুন্নু সিরামিকস লিমিটেড: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি মুন্নু সিরামিকস লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সভার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। কোম্পানিটির পর্ষদ সভা আগামী ২৫ মে বিকাল ৫টায় অনুষ্ঠিত হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ আলোচিত প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি। আগের প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি আয় করেছিল ৩৭ পয়সা।

মুন্নু অ্যাগ্রো মিলস লিমিটেড: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি মুন্নু অ্যাগ্রো মিলস লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সভার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। কোম্পানিটির পর্ষদ সভা আগামী ২৫ মে বিকাল সাড়ে ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ আলোচিত প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি। আগের প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি আয় করেছিল ৬১ পয়সা।

হামিদ ফেব্রিক্স লিমিটেড: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি হামিদ ফেব্রিক্স লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সভার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। কোম্পানিটির পর্ষদ সভা আগামী ২৪ মে বিকাল সাড়ে ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ আলোচিত প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি। আগের প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি লোকসান করেছিল ৫৮ পয়সা।

সাভার রিফ্যাক্ট্ররিজ: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি সাভার রিফ্যাক্ট্ররিজ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সভার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। কোম্পানিটির পর্ষদ সভা আগামী ২৪ মে দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ আলোচিত প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি। আগের প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি আয় করেছিল ২৫ পয়সা।

ইনফরমেশন সার্ভিস: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্কস লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সভার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। কোম্পানিটির পর্ষদ সভা আগামী ২৩ মে বিকাল ৫টায় অনুষ্ঠিত হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ আলোচিত প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি। আগের প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি আয় করেছিল ০২ পয়সা।

মেট্রো স্পিনিং: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি মেট্রো স্পিনিং লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সভার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। কোম্পানিটির পর্ষদ সভা আগামী ২৫ মে বিকাল সাড়ে ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ আলোচিত প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি। আগের প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি আয় করেছিল ১৫ পয়সা।

ম্যাকসন্স স্পিনিং: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ম্যাকসন্স স্পিনিং লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সভার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। কোম্পানিটির পর্ষদ সভা আগামী ২৫ মে বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ আলোচিত প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি। আগের প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি আয় করেছিল ৪০ পয়সা।

জুট স্পিনার্স: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি জুট স্পিনার্স লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সভার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। কোম্পানিটির পর্ষদ সভা আগামী ২২ মে সকাল সাড়ে ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ আলোচিত প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি। আগের প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি লোকসান করেছিল ১১ টাকা ১৬ পয়সা।

ওয়াইম্যাক্স ইলেকট্রোডস: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ওয়াইম্যাক্স ইলেকট্রোডস লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সভার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। কোম্পানিটির পর্ষদ সভা আগামী ২৪ মে বিকাল সাড়ে ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ আলোচিত প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি। আগের প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি আয় করেছিল ১০ পয়সা।

ফু-ওয়াং সিরামিকস: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ফু-ওয়াং সিরামিকস লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সভার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। কোম্পানিটির পর্ষদ সভা আগামী ২৩ মে বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ আলোচিত প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি। আগের প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি আয় করেছিল ১৩ পয়সা।

কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজ: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সভার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। কোম্পানিটির পর্ষদ সভা আগামী ২২ মে বিকাল ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ আলোচিত প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি। আগের প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি আয় করেছিল ৩৫ পয়সা।

মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্স: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সভার তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। কোম্পানিটির পর্ষদ সভা আগামী ২৪ মের পরিবর্তে ২৩ মে বিকাল সাড়ে ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, সভায় ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ আলোচিত প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি। একই সভায় কোম্পানির প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পরযালোচনা ও প্রকাশ করা হবে। ২০১৯ সালে কোম্পানিটি ৭ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে।

ব্লক মার্কেটে দুই ব্যাংকের লেনদেনের চমক: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ৩৮টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির ১৩৯ কোটি ৭১ লাখ ৭০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কোম্পানিগুলোর ৪ কোটি ৭৬ লাখ ৯৭ হাজার ১০৮টি শেয়ার ১১৫ বার হাত বদল হয়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর ১৩৯ কোটি ৭১ লাখ ৭০ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।

কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৭৮ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে ইসলামী ব্যাংকের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৯ কোটি ৮৬ লাখ ৫১ হাজার টাকার এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির পর ব্লক মার্কেটে এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের এটি সর্বোচ্চ রেকর্ড লেনদেন। অন্যদিকে ইসলামী ব্যাংকের লেনদেনও গত দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন।

এছাড়া, ব্লক মার্কেটে ব্রিটিশ অ্যামেরিকান টোব্যাকো কোম্পনির ৫ কোটি ২৪ লাখ ১৫ হাজার টাকার, সামিট পাওয়ারের ২ কোটি ৮৪ লাখ ৫৩ হাজার টাকার, জেনেক্স ইনফোসিসের ২ কোটি ৪২ লাখ ৪০ হাজার টাকার, ইউনাটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের ১ কোটি ৩৮ লাখ ৫৫ হাজার টাকার, আরডি ফুডের ১ কোটি ১৭ লাখ ৭৭ হাজার টাকার, প্রগতি ইন্সুরেন্সের ৮৮ লাখ ১৩ হাজার টাকার, মার্কেন্টাইল ইন্সুরেন্সের ৮৭ লাখ ৫৫ হাজার টাকার, কাট্টালী টেক্সটাইলের ৮৫ লাখ ১৫ হাজার টাকার, সাইফ পাওয়ারের ৭৫ লাখ ৬৯ হাজার টাকার, এশিয়া ইন্সুরেন্সের ৭৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকার, প্রগ্রেসিফ লাইফের ৫৯ লাখ ৫২ হাজার টাকার, খুলনা পাওয়ারের ৫০ লাখ ৪০ হাজার টাকার,

মেট্রোস্পিনিংয়ের ৪০ লাখ ৫০ হাজার টাকার, লংকাবাংলা ফাইনান্সের ৩৫ লাখ ৫৮ হাজার টাকার, এডভেন্ট ফার্মার ৩৪ লাখ ৬৮ হাজার টাকার, নাহি এলুমিনিয়াম ২৫ লাখ ৩২ হাজার টাকার, ডিবিএইচের ২১ লাখ ৭০ হাজার টাকার, রহিমা ফুডের ১৮ লাখ ৭৪ হাজার টাকার, ই-জেনারেশনের ১৭ লাখ ৯১ হাজার টাকার, ফনিক্স ইন্সুরেন্সের ১৫ লাখ ৯০ হাজার টাকার, ঢাকা ডাইংয়ের ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার,

ম্যাকসন্স স্পিনিংয়ের ১২ লাখ টাকার, পিএইচপি মিউচুয়াল ফান্ডের ১১ লাখ ৮৬ হাজার টাকার, বেক্সিমকো ১১ লাখ ৭৮ হাজার টাকার, এলআর গ্লোবাল মিউচুয়াল ফান্ডের ১১ লাখ ৪৫ হাজার টাকার, ফরচুন সুজের ১১ লাখ ১৮ হাজার টাকার, সিভিও পেট্রোকেমিক্যালের ১০ লাখ ৩৫ হাজার টাকার, হাক্কানি পাল্পের ১০ লাখ ১ হাজার টাকার, গোল্ডেন হার্ভেস্টের ৮ লাখ ৪০ হাজার টাকার,

বিএসআরএম লিমিটেডের ৮ লাখ ৪ হাজার টাকার, সিটি জেনালেল ইন্সুরেন্সের ৭ লাখ ৯২ হাজার টাকার, ইভিন্স টেক্সটাইলের ৭ লাখ ৪৫ হাজার টাকার, ইন্দোবাংলা ফার্মার ৬ লাখ ৯২ হাজার টাকার, বিডি থাইয়ের ৬ লাখ ৬২ হাজার টাকার, ভ্যামএলবিডি মিউচুয়াল ফান্ডের ৫ লাখ ৬১ হাজার টাকার, পিপলস ইন্সুরেন্সের ৫ লাখ ১০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

৩ কোম্পানির বোর্ড সভার তারিখ পরিবর্তন: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩ কোম্পানির বোর্ড সভার তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্স, বিএসআরএম স্টিল লিমিটেড ও  বাংলাদেশ স্টিল রি-রোলিং মিলস।
মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্স: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সভার তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। কোম্পানিটির পর্ষদ সভা আগামী ২৪ মের পরিবর্তে ২৩ মে বিকাল সাড়ে ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, সভায় ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ আলোচিত প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি। একই সভায় কোম্পানির প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পরযালোচনা ও প্রকাশ করা হবে। ২০১৯ সালে কোম্পানিটি ৭ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে।
বিএসআরএম গ্রুপ: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিএসআরএম গ্রুপের দুই কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সভা স্থগিত করা হয়েছে। এর আগে কোম্পানি দুইটি আগামী ২০ মে পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছিল। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কোম্পানি দুইটি হচ্ছে- বিএসআরএম স্টিল লিমিটেড ও  বাংলাদেশ স্টিল রি-রোলিং মিলস।
সূত্র জানায়, সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ আলোচিত প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি।

ডিএসইতে বিক্রেতা সংকটে ৫ কোম্পানি: আজ সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন শুরুর প্রথম ঘন্টায় বিক্রেতা সংকটে পড়েছে ৫ কোম্পানি। বিক্রেতা সংকটে হল্টেড হয়েছে এ ৫ কোম্পানি। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কোম্পানিগুলো হচ্ছে: স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স, ম্যাকসন্স স্পিনিং, এনআরবিসি ব্যাংক এবং ইনডেক্স এগ্রো।

তথ্যমতে, সোমবার স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৪৮ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ৫০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫২.৮০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৪.৮০ টাকা বা ১০ শতাংশ বেড়েছে।

ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স : সোমবার ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৬১.৭০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ৬৭.৮ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৬৭.৮০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৬.১০ টাকা বা ৯.৮৮ শতাংশ বেড়েছে।

ম্যাকসন্স স্পিনিং : সোমবার ম্যাকসন্স স্পিনিংয়ের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১৫.৩০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ১৫.৫০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৬.৮০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ১.৫০ টাকা বা ৯.৮০ শতাংশ বেড়েছে।

এনআরবিসি ব্যাংক : সোমবার এনআরবিসি ব্যাংকের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ২৩.৬০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ২৫.৯০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৫.৯০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ২.৩০ টাকা বা ৯.৭৪ শতাংশ বেড়েছে।

ইনডেক্স এগ্রো : সোমবার ইনডেক্স এগ্রোর শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৭৭.২০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ৭৬.৫০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮৪.৯০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৭.৭০ টাকা বা ৯.৭১ শতাংশ বেড়েছে।