দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে উৎসাহিত করতে দেশের শীর্ষ পর্যায়ের ১০০ প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে এক সম্মেলনের আয়োজন করছে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। আগামী ২১ ডিসেম্বর সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হবে। দেশের শীর্ষ পর্যায়ের একশটি কর্পোরেট গ্রুপের প্রতিনিধিদের সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য ইতোমধ্যে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

ডিএসইর চিফ অপারেটিং অফিসার এম সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, ‘বাংলাদেশে কয়েক হাজার সফল কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা প্রাইভেট কোম্পানি হিসাবে কাজ করছে। এদের মধ্যে অন্তত শীর্ষ ১০০ প্রতিষ্ঠানকে সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য আমরা আমন্ত্রণ জানাবো। আমরা কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে বাংলাদেশের শেয়ারবাজারের সুযোগ ও সম্ভাবনা তুলে ধরব। এক্ষেত্রে দেশের শীর্ষ গ্রুপ গুলোকে আমন্ত্রন জানানো হয়েছে।

সাইফুর রহমান বলেন, দেশের শীর্ষ স্থানীয় প্রুপগুলোর মধ্যে রয়েছে বসুন্ধরা, আফিফ, নাসির, মেঘনা, আব্দুল মোমেন, রহিমা আফরোজ,, যমুনা, সিটি, ট্রান্সকম, র‌্যাংগস, বিআরবি, বেঙ্গল, নাসা, কাজী ফার্মাসিটিক্যালস, ড্রাগ ইন্টারন্যাশনাল, ইউনাইটেড গ্রুপ এবং ইনসেফ্টা ফার্মাসিটিক্যালস উল্লেখ্য।

সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবায়াত-উল-ইসলাম। সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন।

ডিএসই সূত্রে জানা যায়, গত ১০ বছরে ভালো-মন্দ মিলিয়ে দেশের ১৪০টির বেশি কোম্পানি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে। ২০১২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত বাজারে আসা কোম্পানিগুলো প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিওর মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করেছে কয়েক হাজার কোটি টাকা। কোম্পানিগুলোর কোনোটি স্থির মূল্য বা ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতিতে, আবার কোনোটি বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে বাজারে শেয়ার ছেড়েছে।

গত ১০ বছরে যতগুলো আইপিও বাজারে এসেছে তার মধ্যে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বড় ১০ আইপিওর শীর্ষে রয়েছে ওয়ালটন হাইটেক। যদিও শেয়ারবাজারের দ্বিতীয় শীর্ষ মূলধনী কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার ছেড়েছে মাত্র ০.৯৭ শতাংশ।

মূলধনের দিক থেকে পরের অবস্থানে রয়েছে রবি আজিয়াটা, এনআরবিসি ব্যাংক, সাউথবাংলা এগ্রিকালচারাল ব্যাংক, ইউনাইটেড পাওয়ার, একমি ল্যাবরেটরিজ, ওরিয়ন ফার্মা, এনার্জিপ্যাক পাওয়ার, মীর আখতার হোসেন, রানার অটোমোবাইল, এডিএন টেলিকম, ইনডেক্স এগ্রো, লুবরেফ, বারাকা পতেঙ্গা ও বসুন্ধরা পেপার। কোম্পানিগুলো ব্যবসা সম্প্রসারণ, নতুন ব্যবসা চালু, ব্যাংকঋণ পরিশোধ, কারখানা তৈরি, যন্ত্রপাতি ক্রয়, ভবন নির্মাণসহ ব্যবসায়িক নানা প্রয়োজনে শেয়ার বিক্রি করে শেয়ারবাজারে থেকে অর্থ সংগ্রহ করেছে।