দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও অর্জিত সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় কেয়া কসমেটিকস লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবদুল খালেক পাঠানকে জামিন দেন বিশেষ জজ আদালত। ওই জামিন কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের শুনানি নিয়ে রোববার (১২ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আজ আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি।

এ বিষয়ে দুদকের আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান বলেন, ১৯ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট আবদুল খালেক পাঠানকে আগাম জামিন দিয়েছিলেন। জামিনের মেয়াদ শেষে তিনি বিশেষ জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে গত ৩১ অক্টোবর বিশেজ জজ আদালত তাকে জামিন দেন। ওই জামিন বাতিল চেয়ে ৮ ডিসেম্বর হাইকোর্ট বিভাগে আবেদন করে দুদক। এই আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট তার জামিন কেন বাতিল করা হবে না এই মর্মে চার সপ্তাহের রুল জারি করেছেন।

গত ১৫ সেপ্টেম্বর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ আবদুল খালেক পাঠান, তার স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়ের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পৃথক পাঁচটি মামলা করে দুদক।

মামলায় তাদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ১৮৩ কোটি ৮৪ লাখ ৮০ হাজার ২৬৪ টাকার সম্পদ অর্জন ও দুদকের কাছে ৯৬ কোটি ২৯ লাখ ৭২ হাজার ৭৩৯ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারাসহ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ২০১২ এর ৪(২) ধারায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।

মামলা দায়েরের পরদিনই ১৬ সেপ্টেম্বর আবদুল খালেক পাঠান, তার স্ত্রী ও তিন সন্তান হাইকোর্টে আগাম জামিন আবেদন করেন। সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত স্বামী-স্ত্রীকে জামিন ও তিন সন্তানকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছিলেন।