দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচকের পতন ঠেকালে বিবিধ খাত ও বস্ত্র খাত। এই দুই খাতের কারনে বড় দরপতন থেকে রক্ষা পেল পুঁজিবাজার। বুধবার প্রধান সূচক সামান্য ইতিবাচক থাকলেও বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে। ডিএসইতে আজ ২০ খাতের মধ্যে বিবিধ, প্রকৌশল, ফার্মা ও বস্ত্র খাত ব্যতিত বাকি সব খাতের বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর পতনে ছিল। এই চার খাতের কারণে আজ সূচকের পতন ঠেকেছে। আজ টাকার পরিমাণে লেনদেনও আগের কার্যদিবস থেকে কমেছে।

আজ ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬.৯২ পয়েন্ট বা ০.০৯ শতাংশ বেড়ে সাত হাজার ৪৩.৬৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আজ ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১.২০ পয়েন্ট বা ০.০৭ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৯.৩৪ পয়েন্ট বা ০.৩৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৫২১.২১ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ৫৯৮.৬০ পয়েন্টে।

ডিএসইতে আজ এক হাজার ২১৩ কোটি ৬৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ১৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকা কম। আগের কার্যদিবস লেনদেন হয়েছিল এক হাজার ২৩১ কোটি ৭ লাখ টাকার।

ডিএসইতে আজ ৩৭৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৩৯টির বা ৩৬.৮৭ শতাংশ শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে। দর কমেছে ১৬২টির বা ৪২.৯৭ শতাংশের এবং ৭৬ বা ২০.১৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

দেশের অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩১.৪৪ পয়েন্ট বা ০.১৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ৬৩৪.০৮ পয়েন্টে। সিএসইতে আজ লেনদেনে অংশ নেয়া ৩০৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ১১৭টির, কমেছে ১৪৭টির আর দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৪টির। সিএসইতে আজ ২৯ কোটি ২৯ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে।