দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের কিছুটা উত্থান হলেও আতঙ্ক কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। তবে টানা দরপতনের ধারা থেকে বেড়িয়ে আসছে পুঁজিবাজার। এদিকে সূচক বাড়লেও লেনদেন কমেছে  ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। তবে সকালে লেনদেন শুরুতে পুঁজিবাজারে সূচক বেশ নিম্নমুখী অবস্থানে ছিল। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংরাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) গৃহীত পদক্ষেপে সূচক ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ফিরেছে। এর আগে পরপর দুই কার্যদিবস উভয় পুঁজিবাজারে সূচক পতনমুখী ছিল।

এদিন ডিএসইতে আগের কার্যদিবসের চেয়ে টাকার পরিমাণে লেনদেন কিছুটা কমলেও সিএসইতে বেড়েছে। তবে, গত এক বছরের হিসেবে ডিএসইতে লেনদেন অবনতি অবস্থায় রয়েছে। এদিকে, উভয় পুঁজিবাজারে লেনদেনে অংশ নেওয়া অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম কমেছে।

বুধবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১০.৯০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৫৮৪.৯৭ পয়েন্টে। ডিএসইর অন্য সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়া সূচক ৪.৯১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪৪৭.৭৮ পয়েন্টে। ডিএসই-৩০ সূচক ৮.৮০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪৪০.৪৫ পয়েন্টে।

এদিন ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৮০টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ১৩০টির, কমেছে ১৮৫টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৫টির। এদিন ডিএসইতে ৫২৯ কোটি ৬৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগের কার্যদিবসের চেয়ে ৩ কোটি টাকা কম।

এর আগে গত বছরের ১২ এপ্রিল ডিএসইতে ৪৯৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছিল। সে হিসেবে প্রায় এক বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমেছে ডিএসইর লেনদেন।

অপর পুঁজিবাজার সিএসইর প্রধান সূচক সিএসইএক্স ২২.৫০ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১১ হাজার ৬৩১.৪০ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে সার্বিক সিএএসপিআই সূচক ৩৭.৫৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৯ হাজার ৩৮৬.৮৯ পয়েন্টে এবং সিএসআই সূচক ১.০৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২২৭.৩৫ পয়েন্টে।

এদিন সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৭১টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ৭৩টির, কমেছে ১৫৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৪০টির। দিন শেষে সিএসইতে ১৮ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে ৫ কোটি টাকা বেশি।