দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারকে তারল্য বাড়ানোর মাধ্যমে চাঙ্গা করতে ‘ক্ষতিগ্রস্থ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সহায়তা তহবিল’ থেকে আরও ৪০০ কোটি টাকা ছাড় করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই ৪০০ কোটি টাকার মধ্যে আজ মঙ্গলবার পাঁচটি ব্রোকারেজ হাউজের অনুকূলে ২২ কোটি টাকা ছাড় করেছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রণ সংস্থাটি। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

এই ৪০০ কোটি টাকার মধ্যে ৩৭৮ কোটি টাকা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে রাষ্টায়াত্ব বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান আইসিবি ও কয়েকটি ব্রোকারেজ হাউজের অনুকূলে ছাড় করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে করে শেয়ারবাজারের তারল্য প্রবাহ বৃদ্ধি পাবে। তারল্য বৃদ্ধির ফলে বাজার তার স্বাভাবিক গতি ফিরে পাবে বলে মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকরা।

পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, বাজারে অর্থ প্রবাহ কমে যাওয়ার কারণে বাজারে মন্দাভাব দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, যেহেতু ক্ষতিগ্রস্থ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সহায়তা ফান্ডের আকার বাড়ানো হয়েছে এবং সেখান থেকে ৪০০ কোটি টাকা অবিলম্বে বিনিয়োগের ব্যবস্থা করা হচ্ছে, এটি বাজারের জন্য ইতিবাচক উদ্যোগ। এতে করে বাজারে অর্থপ্রবাহ বাড়বে এবং বাজার ভালো হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেই এই অধ্যাপক আরও বলেন, শুনেছি ব্যাংকগুলোর বিশেষ তহবিলের আকারও বৃদ্ধি করা হয়েছে। এটিও খুব ভালো উদ্যোগ। তবে শুধু ফান্ডের আকার বাড়ালেই হবে না, ব্যাংকগুলো সেই ফান্ড বাজারে বিনিয়োগ করছে কি না, সে বিষয়েও তদারকির প্রয়োজন রয়েছে। তাহলেই বাজারে অর্থপ্রবাহ বাড়বে এবং ইতিবাচক প্রভাব দেখা দেবে। পুঁজিবাজার থেকে অর্থ চলে যাওয়ার কারণেই বাজারের এমন অবস্থা। কিন্তু এই সময়ে যদি বাজারে অর্থপ্রবাহ বাড়ে, তাহলে বাজার তার স্বাভাবিক গতি ফিরে পাবে।

এদিকে পুঁজিবাজারের ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য গঠিত তহবিলের ‘পুঁজিবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সহায়তা তহবিল’-এর মেয়াদ আরও পাঁচ বছর বাড়িয়ে ২০২৭ সাল পর্যন্ত করা হয়েছে।

এদিকে, ক্ষতিগ্রস্ত তহবিলের আওতায় বিনিয়োগকারীদের ঋণ হিসেবে দেওয়া ইতোমধ্যে আদায় করা আরও ১৫৩ কোটি টাকা। এই অর্থও বাংলাদেশ ব্যাংকের পুনঃ-অর্থায়ন তহবিলে যোগ হবে। এর ফলে এই তহবিলের আকার দাঁড়াবে ১ হাজার ৯ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংক পরিচালিত এই তহবিল থেকে অর্থ ঋণ হিসেবে নিয়ে তা বিনিয়োগকারীদের দেয় রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ সংস্থা আইসিবি ও বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউজ।