দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: প্রযুক্তির উন্নয়নে ব্রোকারেজ হাউজে না গিয়ে ঘরে বসেই বিদায়ী অর্থবছরে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে লেনদেনের প্রবণতা বেড়েছে। সমাপ্ত বছরে ২০২২ সালে ৩০ হাজার কোটি টাকার বেশি শেয়ার মোবাইলের মাধ্যমে লেনদেন করেছে বিনিয়োগকারীরা। বছরজুড়ে মোবাইলে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে ০ দশমিক ৭৭ শতাংশ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অতি সহজে অন্যান্য কাজের ফাঁকে, ঘর, অফিস-আদালত কিংবা রাস্তা-ঘাট যেকোনো জায়গায় বসে স্মার্টফোনে শেয়ার লেনদেনের সুবিধা এনেছে মোবাইল অ্যাপ। ফলে বিনিয়োগকারীদের ব্রোকারেজ হাউজে যেতে হচ্ছে না।

ব্রোকার হাউজের কর্মকর্তাদের ফোন করে শেয়ার কেনা-বেচার অর্ডার দিতে হচ্ছে না। এতে বিনিয়োগকারীদের সময় ও ভোগান্তি দুটোই লাঘব হয়েছে। এ কারণে মোবাইল অ্যাপে লেনদেন দিনদিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

সূত্র মতে, ২০২২ সালে মোবাইলে শেয়ার লেনদেন করা বিনিয়োগকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৭ হাজার ১০৩ জনে। বছরজুড়ে এসব বিনিয়োগকারী ৩০ হাজার ৭৯ কোটি ৮৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন করেছে। এর মধ্যে শেয়ার ক্রয়ের পরিমাণ ছিল ১৫ হাজার ৩৫৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। আর বিক্রয়ের পরিমাণ ছিল ১৪ হাজার ৭২৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।

শতাংশ হিসেবে এক বছরে ডিএসইতে মোট লেনদেনের ১২ দশমিক ৮৩ শতাংশ লেনদেন মোবাইলের মাধ্যমে সম্পাদন করা হয়েছে। ২০২১ সালে মোবাইলের মাধ্যমে ৭৭ হাজার ৫৮ জন বিনিয়োগকারী ৪২ হাজার ৬৮১ কোটি ৫৯ লাখ টাকার বা ১২ দশমিক ০৬ শতাংশ শেয়ার মোবাইলের মাধ্যমে লেনদেন করেছেন।

এদিকে, বিদায়ী বছরে দেশের পুঁজিবাজারের সব মূল্যসূচক কমেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ‘ডিএসই এক্স’ ২০২২ সালে ৫৯৪ দশমিক ৮৫ পয়েন্ট হারিয়েছে। এছাড়াও ‘ডিএস ৩০’ ৩৩৭ দশমিক ২৮ পয়েন্ট এবং ‘ডিএসই এস’ ৭২ দশমিক ২৯ পয়েন্ট কমেছে। মূল্যসূচকের পতনের সঙ্গে বিদায়ী বছরে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনের গতিও কমেছে।

২০২২ সালে ডিএসইতে দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ৯৬০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। ২০২১ সালে গড় লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৪৭৫ কোটি ২২ লাখ টাকা। বছরজুড়ে প্রধান শেয়ারবাজারে মোট ২ লাখ ৩৪ হাজার ৪৪৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

বিদায়ী বছরের অক্টোবরে শেয়ারবাজারে ৩ লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকার মূলধন নিয়ে ২৫০ সরকারি সিকিউটিজ তালিকাভুক্ত হয়। ফলে ২০২২ সালে বাজার মূলধন ছাড়িয়েছে ৭ লাখ কোটি টাকা। বছর শেষে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৬০ হাজার ৯৩৬ কোটি ৮৯ লাখ টাকায়।