গালফ অয়েল বাংলাদেশে সিইও হিসেবে যোগ দিলেন সাকিব
দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: লম্বা সময় ধরে বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডারের মুকুট ধরে রেখেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের পোস্টার বয় সাকিব আল হাসান। আর সেই সাকিবই কি না ক্রিকেট ছেড়ে এবার চাকরিতে যোগ দিলেন! আজ বুধবার গালফ অয়েল বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে যোগ দিয়েছেন সাকিব আল হাসান।
এ দিন বেলা ১১টায় তিনি প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ে এসে সিইওর দায়িত্ব নেন। তবে তিনি এই দায়িত্ব নিয়েছেন মাত্র এক দিনের জন্য। মূলত গালফ অয়েলের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর সাকিব আল হাসান। কোম্পানির প্রচারের জন্যই মূলত এ অভিনব আয়োজন।
এ সময় সাকিব গণমাধ্যমকে বলেন, ‘খুবই ভালো লাগছে। প্রথমবার এ রকম একটা দায়িত্বশীল পদে এলাম। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ এসেছে, এই চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করাই একটি বড় মজার বিষয়। আমার কাছে এই ধরনের চ্যালেঞ্জ ভালো লাগে। চেষ্টা করব ভালো কাজের মাধ্যমে এই কোম্পানিকে আরও সামনে নিয়ে যাওয়ার।’
ভবিষ্যতে সত্যিকার অর্থেই এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের সিইও হওয়ার স্বপ্ন দেখেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে সাকিব বলেন, এখন পর্যন্ত ক্রিকেট নিয়েই স্বপ্ন আছে। যখন তা শেষ হবে, তখন নতুন স্বপ্ন দেখা শুরু করব।
সিইও হিসেবে প্রথম কী কাজ করবেন, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি হেসে বললেন, অম্লান দা-কে (অম্লান মিত্র, সিইও গালফ অয়েল বাংলাদেশ) ফায়ার করলাম। বলা আসলে কঠিন। এ রকম পজিশনে কাজ করতে হলে আগে থেকে কাজগুলো বিশ্লেষণ করে আসতে হয়। আসলে এ রকম একটি কোম্পানিতে সবার মতামত নিয়েই কাজগুলো করা হয়। তো, আমিও সবার সম্মতি নিয়েই সিদ্ধান্তগুলো নেব।
ঠিক কী কারণে সাকিবের ওপর এমন দায়িত্ব হস্তান্তর করা হলো, এমন প্রশ্নের জবাবে গালফ ওয়েল বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অম্লান মিত্র বলেন, ’আমি এক দিনের অব্যাহতি পেলাম। সাকিব রোজই দলের সিইও হয়ে মাঠে নামেন। তো এক দিন এই অবস্থানে বসে দেখুক, এখানে কেমন চাপ আছে। এটি একটি আইডিয়া।’
তিনি বলেন, ‘গত চার বছর ধরে সাকিব আমাদের কোম্পানির একটি অংশ। করোনা মহামারিসহ এত দুর্যোগের পরও আমরা অভূতপূর্ব প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি। তিনি (সাকিব) আমাদের সৌভাগ্যের প্রতীক। পাশাপাশি তিনি আমাদের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডরও। আমাদের এই অফিসটা নতুন। এখানে তিনি আগে আসেননি। চাচ্ছিলাম সাকিব যেন এ অফিসটা দেখেন। এক মাস আগে আমরা এ অফিসটা নিই, তিনি তখন ছিলেন না। পরে সাকিব গালফ অয়েলের অফিস ঘুরে দেখেন এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।