দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: বিনিয়োগ শিক্ষাকে অর্থায়ন শিক্ষা হিসাবে বিবেচনা করা উচিৎ। এই শিক্ষার চাহিদা এবং ধরণ বয়স ও সময়ের সঙ্গে পরিবর্তিত হচ্ছে। স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে এই শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ কমে আসছে। তাই এই শিক্ষাকে হাইব্রিড পদ্ধতিতে নিয়ে যাওয়া বেশ জরুরি। ফিজিক্যাল শিক্ষার পাশাপাশি অনলাইন ভিত্তিক শিক্ষাকে গুরুত্ব দিতে হবে বলে করেন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ।

গত শুক্রবার রাজধানীর আইডিইবি ভবনে ক্যাপিটাল মার্কেট এক্সপো-২০২৩ এর ‘বিনিয়োগ শিক্ষা ও পুঁজিবাজার’ বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আজ ছিল ক্যাপিটাল মার্কেট এক্সপো-২০২৩ এর দ্বিতীয় দিন।

বিএসইসির কমিশনার বলেন, বিনিয়োগের আগে আর্থিক তথ্য জানা এবং বুঝে বিশ্লেষণ করতে পারা বেশ জরুরি। তাই সাধারণ তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে। এ বিষয়ে এখনও বেশ কিছু ঘাটতি আছে। এমনকি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটেও প্রয়োজনীয় অনেক তথ্য পাওয়া যায় না। সেখানে তালিকাভুক্ত অনেক কোম্পানির সর্বশেষ নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্য আপলোড করা নেই।

তিনি আরও বলেন, বিনিয়োগ শিক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে পরিপূর্ণতার ঘাটতি রয়েছে। তবে আস্থার ক্ষেত্রে কোনো ঘাটতি নেই। অভাব ও আস্থার ঘাটতি থাকলে বর্তমানে অনেক বিনিয়োগ আসতো না। ব্যাংকগুলোতেও এখন নতুন নতুন প্রজেক্টের অফার আসে। সবাই একসঙ্গে কাজ কাজ করলে দেশের শেয়ারবাজার ও অর্থনীতি এগিয়ে যাবে।

এছাড়াও তিনি বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে এই শিক্ষার পদ্ধতি সঠিকভাবে এগিয়ে দেওয়া উচিৎ। তাদের পুঁজিবাজারে অন্তর্ভুক্ত করা দরকার। করোনার সময় স্কুল কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম অনলাইন হয়েছিলো। সেরকমভাবে বিনিয়োগ শিক্ষাকেও অনলাইন করানো উচিৎ। এছাড়া তথ্যের প্রবাহ বাড়াতে হবে।

সেমিনারে সেশন চেয়ারের দায়িত্ব পালন করেন বিএএসএমের মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী। এতে সম্মানিত অতিথি ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. এম সাদেকুল ইসলাম। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, বাংলাদেশ একাডেমি ফর সিকিউরিটিজ মার্কেট (বিএএসএম) এর ফ্যাকাল্টি রিজভী আহমেদ।

এতে প্যানেল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল আলম, গ্রীণ ডেল্টা সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওয়াফী শফিক মিনহাজ খান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক আল-আমিন।