দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রে ১৪টি বাড়ি কেনার বিষয়টি মিথ্যা বলে দাবি করেছেন ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিম এ খান। তিনি বলেছেন, ‘এই বাড়িগুলো কেনার বিষয়ে যে প্রতিবেদন এসেছে, তা ডাহা মিথ্যা। এর কোনো সত্যতা নেই।’ আজ মঙ্গলবার কারওয়ান বাজার ওয়াসা ভবনের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।

তাকসিম এ খান বলেন, ‘প্রতিবেদনে উল্লেখ করা ১৪ বাড়ির মধ্যে শুধু একটি আমার স্ত্রীর কেনা। এ ছাড়া বাকি ১৩টির মধ্যে পাঁচটিতে বিভিন্ন সময়ে আমরা ভাড়া থেকেছি। বাকি কোনোটিই আমাদের নয়। আমি, আমার স্ত্রী, সন্তান সবাই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।’ তিনি বলেন, ‘আমার স্ত্রী-সন্তান সেখানে ওয়েল স্টাবলিস্ট, তাই সেখানে একটি বাড়ি কেনা খুব অসুবিধার কিছু নেই। আমার স্ত্রীর নামেই ওই একটা বাড়ি আছে। সেটাকেও বাড়ি বলা যাবে না, এটা একটা অ্যাপার্টমেন্ট।

তিনি আরও বলেন, ‘বিভিন্ন সময় আমাকে নিয়ে এমন নানান রিপোর্ট এসেছে। কিন্তু এগুলো সব মিথ্যা, তা ইতোমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। কাজেই এগুলো পুরোটাই অসত্য ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। যারা ওয়াসা থেকে অনৈতিক সুবিধা পায়নি বা পাচ্ছে না, তারাই মূলত এসব করিয়ে থাকে।’

ঢাকা ওয়াসার এমডি বলেন, ‘আমি এবং আমার পরিবারের সবাই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। আমি সেখান থেকেই ওয়াসায় চাকরি করতে এসেছি। এমন নয় যে এখানে চাকরি করে আমার সম্পদ ওখানে গড়েছি। আমার স্ত্রী সেখানে সরকারি চাকরি করে। আমার সন্তানও সেখানে খুব ভালো মানের চাকরি করে। আমি যে ইনকাম করি, তা থেকে ওদের কিছুই দিতে হয় না। তারা ওখানে অনেক ভালো আছে; যে কারণে আমার স্ত্রীর নামে একটি অ্যাপার্টমেন্ট থাকা অস্বাভাবিক কিছুই না।’

তিনি বলেন, ‘আমার ছেলেও একসময় সেখানে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়েছিল; কিন্তু তা অনেক আগেই তা ছেড়ে দিয়েছে। সেখানে অভিভাবক হিসেবে আমার নাম আছে। এই নামগুলো ইন্টারনেট থেকে নিয়ে আমার বিরুদ্ধে এমন প্রতিবেদন করা হয়েছে।’

এদিকে, গতকাল সোমবার ওয়াসার এমডি প্রকৌশলী তাকসিম এ খানের যুক্তরাষ্ট্রে ১৪টি বাড়ি কেনার বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) দাখিল করা দুটি অভিযোগের অনুসন্ধানের অগ্রগতি জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। দুর্নীতি দমন কমিশনকে ১৫ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে জানাতে বলেছেন আদালত।