দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: চতুর্থ প্রজন্মের বেসরকারি লাইফ বীমা কোম্পানি জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের প্রিমিয়াম সংগ্রহ ২০২২ সালে ৩৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ বেড়েছে। শুধু তাই নয়, আলোচ্য বছরে কোম্পানিটি ব্যয় কমিয়েছে ব্যবস্থাপনা খাতেও। এ খাতে ব্যয় কমেছে আগের বছরের চেয়ে ২ দশমিক ৬৭ শতাংশ। বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষে (আইডিআরএ) কোম্পানির দাখিল করা আর্থিক বিবরণী থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য অনুসারে ২০২২ সালে জেনিথ ইসলামী লাইফ সর্বমোট প্রিমিয়াম সংগ্রহ করেছে ৩০ কোটি ১৯ লাখ টাকা। যা আগের বছর ২০২১ সালে ছিল ২২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। সে হিসাবে বিদায়ী বছরে কোম্পানিটির প্রিমিয়াম সংগ্রহ বেড়েছে ৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা বা ৩৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ।

এর মধ্যে এককালীন ও গ্রুপ বীমা ব্যতিত প্রথম বর্ষ প্রিমিয়াম সংগ্রহের পরিমাণ ১৮ কোটি ২ লাখ টাকা। যা আগের বছরে ছিল ১৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ কোম্পানিটির প্রথম বর্ষ প্রিমিয়াম সংগ্রহ বেড়েছে ৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকা বা ৩৩ দশমিক ৬৮ শতাংশ।

এছাড়া গ্রুপ ও হেলথ বীমার প্রিমিয়াম সংগ্রহের পরিমাণ এক কোটি ৩৭ লাখ টাকা। যা আগের বছরে ছিল এক কোটি ১৬ লাখ টাকা। বছরটিতে এ খাতে প্রিমিয়াম সংগ্রহ বেড়েছে ২১ লাখ টাকা বা ১৮ দশমিক ১ শতাংশ। আর এককালীন বীমার প্রিমিয়াম সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৭৭ লাখ টাকা। আগের বছরে এ প্রিমিয়াম সংগ্রহ ছিল ২৬ লাখ টাকা।

কোম্পানিটির নবায়ন প্রিমিয়াম সংগ্রহের পরিমাণ সর্বমোট ১০ কোটি এক লাখ টাকা। যা আগের বছরে ছিল ৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। সে হিসাবে ২০২২ সালে মোট নবায়ন সংগ্রহ বেড়েছে ২ কোটি ৪৭ লাখ টাকা বা ৩২ দশমিক ৭৬ শতাংশ। এর মধ্যে দ্বিতীয় বর্ষের নবায়ন সংগ্রহ ৩ কোটি ৫৭ লাখ টাকা এবং তৃতীয় ও তদুর্ধ্ব বর্ষের নবায়ন সংগ্রহ ৬ কোটি ৪৪ লাখ টাকা।

প্রিমিয়াম সংগ্রহে প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি ব্যবস্থাপনা খাতেও খরচ কমিয়েছে জেনিথ ইসলামী লাইফ। বিদায়ী বছরে ২ দশমিক ৬৭ শতাংশ ব্যয় কমিয়েছে কোম্পানিটি। ২০২২ সালে কোম্পানিটি মৃত্যুদাবি, সারভাইবাল বেনিফিট এবং সারেন্ডার ভ্যালু বাবদ ৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা পরিশোধ করেছে। যা আগের বছর ছিল ৩ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। শুরু থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন দাবি বাবদ প্রায় ১৪ কোটি ৭৭ লাখ টাকা পরিশোধ করেছে।

বিদায়ী বছরে সরকারি-বেসকারি খাতে কোম্পানিটির বিনিয়োগ দাঁড়িয়েছে ২৮ কোটি ২২ লাখ টাকা। কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ২২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। কোম্পানিটির এই অর্জনকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, গ্রাহকের আস্থা, বিশ্বাস আর কমপ্লায়েন্সর কারণে জেনিথ দিন দিন সুনামের সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে। যথা সময়ে বীমা দাবি পরিশোধ, নিরবিচ্ছিন্ন গ্রাহক সেবা আর কর্মীদের আন্তরিকতায় কোম্পানির এই অর্জন সম্ভব হয়েছে। জেনিথ ইসলামী লাইফের এই অর্জনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম নুরুজ্জামান।

তিনি বলেন, দ্রুত গ্রাহক সেবা প্রদান এবং বীমা দাবি নিষ্পত্তির মাধ্যমে আমরা ইতোমধ্যেই গ্রাহক সন্তুষ্টি অর্জন করতে পেরেছি। গ্রাহক এখন ঘরে বসে ডিজিটাল প্লাটফর্ম নগদ অ্যাপের মাধ্যমেও প্রিমিয়াম জমা দিতে পারেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা সব সময়ই চেয়েছি কোম্পানির কমপ্লায়েন্স ঠিক রাখতে। ব্যবসায় স্বচ্ছতা থাকলে গ্রাহকের আস্থা তৈরি হয়, আর গ্রাহকের আস্থা অর্জন করা গেলে ব্যবসা বৃদ্ধি পায়। আমরা গ্রাহকের আস্থা অর্জনে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকি।