দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: বাতাস, উৎসুক জনতা ও পানির সংকট এই তিনটি কারণে রাজধানীর বঙ্গবাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে দেরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন। বঙ্গবাজারে ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তরে আজ মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাইন উদ্দিন জানান, উৎসুক জনতার ভিড়ে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়েছে। এত বেশি ভিড় ছিল, কোনো জায়গায় গিয়ে যে আমাদের সদস্যরা কাজ করবেন, সে জায়গাটিও ছিল না। দ্বিতীয় সমস্যাটি ছিল পানির স্বল্পতা, আর তৃতীয় সমস্যাটি হলো বাতাস। বাতাসের কারণে এক জায়গার আগুন আরেক জায়গায় চলে যায়।

তিনি বলেন, ১২টা ৩৬ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ছাড়া সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র‍্যাব ও ওয়াসাসহ অনেক বাহিনী ও সংস্থা আমাদের সঙ্গে কাজ করেছে। আজ আগুনে ফায়ার সার্ভিসের আট সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দুজন গুরুতর অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন।

এর আগে সকাল ৬টা ১০ মিনিটে বঙ্গবাজার মার্কেটে আগুন লাগে। সংবাদ পাওয়ার পর ফায়ার সার্ভিসের একের পর এক ইউনিট ঘটনাস্থলে যায় বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাফি আল ফারুক।

সর্বশেষ ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যোগ দিয়ে কাজ করে নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, সেনাবাহিনী ও বিজিবি। ঘটনাস্থলের ওপরে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার টহল দিতে দেখা যায়। হেলিকপ্টার দিয়ে ওপর থেকে পানি ছিটানো হয়।

এ পানি নেওয়া হয় হাতিরঝিল থেকে। গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ থেকে যোগ দেয় ফায়ার সার্ভিসের বেশ কয়েকটি ইউনিট। ক্ষয়ক্ষতির সম্পর্কে ব্যবসায়ীরা আশঙ্কা করছেন, বঙ্গবাজারের ৯০ শতাংশ দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।