দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: ২০০৪ সালে গ্রেনেড হামলায় নিজের বেঁচে যাওয়াকে বিস্ময় বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (২১ আগস্ট) সকালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্বরণে আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৪ সালে আমরা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে একটা র‌্যালি করছিলাম ব্রিটিশ হাই কমিশনারের ওপর সিলেটে হামলা ও বিএনপি সন্ত্রাসীদের হাতে আমাদের অগনিত নেতা-কর্মীদের মারধর ও হত্যার প্রতিবাদে।

‘প্রকাশ্যে, যেখানে হাজার হাজার মানুষ, সেখানে আর্জেস গ্রেনেড ছোড়া হলো। আর্জেস গ্রেনেড সাধারণত রণক্ষেত্রে ব্যবহার হয়, যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার হয়। আর সেটা ব্যবহার হলো আওয়ামী লীগের ওপর, আর সেটা ব্যবহার হলো আমরা যখন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে মিছিল করছি। একটা দুইটা নয়, ১৩টা গ্রেনেড, আর কত তাদের হাতে ছিলো কে জানে। সেদিন যে বেঁচে গিয়েছিলাম, সেটাই অবাক বিস্ময়।’

তিনি বলেন, ‘তখন ট্রাকের ওপর দাঁড়িয়ে আছেন নেতারা, আর নেতা-কর্মীরা সামনে। আমি যখন বক্তব্য শেষ করে নিচে নামবো, তখন গুর্কি বললো ছবি নিতে পারিনি, আপা একটু দাঁড়ান, অন্য ফটোগ্রাফাররা বললো আপা একটু দাঁড়ান।’ ‘এই কয়েক সেকেন্ডের ব্যপার, সাথে সাথে শুরু হয়ে গেলো গ্রেনেড হামলা। হানিফ ভাইসহ নেতারা আমার চারদিক দিয়ে ঘিরে ফেললো। তিনটা গ্রেনেড, আবার কিছুক্ষণ বিরতির পরে একটার পর একটা মারতে শুরু করলো।’

প্রধানমন্ত্রীর আগে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা করা হলো। এই হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড ফরাসী সেনাপতি ইয়ার লতিফের উত্তরসূরি সেনাপতি জিয়াউর রহমান। জিয়াউর রহমান দুঃসাহস দিয়ে এই ঘাতক চক্রের ক্ষমতার অভিলাশ পূর্ণ করতে বঙ্গবন্ধু পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করেছে। ৩ নেভেম্বর বঙ্গবন্ধুর চার সহযোগী যারা মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, পনের আগস্টের ধারাবাহিকতায় ৩রা নভেম্বর।’

‘আর হাওয়া ভবন থেকে ২১ আগস্ট এর অপারেশন শুরু করার নির্দেশ দিয়েছিলেন তৎকালিন যুবরাজ দুর্নীতির মামলায় পলাতক তারেক রহমান। কাপুরুষের মত বিদেশে পালিয়ে আছে, মির্জা ফখরুল সাহেব আপনাদের স্বপ্নের আগামীর প্রধানমন্ত্রী তারেক রহমান।’

কাদের বলেন, ‘জিয়া পরিবার বঙ্গবন্ধু পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করার পরিকল্পনা করলো, আর আওয়ামী লীগ নেতাদের নিশ্চহ্ন করার জন্য শেখ হাসিনাকে প্রাইম টার্গেট করে গ্রেনেড হামলা করলো।’ ‘আমাদের নিশ্চহ্ন করার লড়াইয়ের ষড়যন্ত্র এখনও হচ্ছে। বাংলার মাটিতে এই তারেক রহমান, বিএনপিসহ অপশক্তিকে রুখতে হবে, প্রতিহত করতে হবে, পরাজিত করতে হবে।’