দেশ প্রতিক্ষণ, বরিশাল ব্যুরো: বরিশাল আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠে নামছে বরিশাল পুলিশ। যদিও নির্বাচনের এখনো বাকি ৫-৬ মাস, তবুও নাশকতা, সংঘাত ও সরকারবিরোধী নানা আন্দোলন কর্মসূচি ঠেকাতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করবে বলে জানিয়েছে বরিশাল রেঞ্জ ও মেট্রো পুলিশের দুই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

এরই মধ্যে বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি গত ২৭ আগস্ট রোববার বরিশালে এসে পুলিশের সব কয়টি ইউনিট নিয়ে এক বিশেষ কল্যাণ সভা করে গেছেন। এতে সামনের জাতীয় নির্বাচন প্রাধান্য পেয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশের একাধিক সূত্র।

সূত্রগুলো জানায়, আইজিপি বিশেষ কল্যাণ সভায় বরিশাল রেঞ্জ ও মেট্রো পুলিশের কর্মকর্তাদের নির্বাচনকে সামনে রেখে যেন কোনও প্রকার নাশকতা না হয় সেদিকে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো বাড়াতে বলা হয়েছে। একই সাথে কোথাও সংঘাত হতে শুরু করলে তা কঠোরভাবে দমন করারও নির্দেশনা দিয়েছেন।

তবে বরিশাল মেট্রো পুলিশের একাধিক সূত্র জানায়, সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগেই ২৪৭ জনের একটি তালিকা করা হয়েছিল। তখন পুলিশের চ্যালেঞ্জ ছিল সিটি করপোরেশন নির্বাচন নির্বিঘ্নে উঠিয়ে আনা। যদিও ওই তালিকায় বেশকিছু আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা ছিলেন। বাকিরা সবাই সরকারবিরোধী নেতা ও এলাকাভিত্তিক প্রভাবশালী। ওই তালিকা নিয়েই মাঠে নামছে পুলিশ। পাশাপাশি বাড়ানো হয়েছে এলাকাভিত্তিক গলি ও পারা মহল্লায় সিটিএসবির গোপন নজরদারি।

পুলিশের ওই সূত্রের ভাষ্য, নগরীতে হঠাৎ জামায়াতের সক্রিয়তা বেড়েছে। পাশাপাশি বিএনপির আন্দোলন সংগ্রামে লোকসমাগম হচ্ছে। জানমালের নিরাপত্তা ও চোরাগুপ্তা হামলা ঠেকাতে সিটিএসবি গোপন নজরদারি চলছে নগরের প্রত্যেকটি এলাকায়। অন্যদিকে বরিশাল রেঞ্জের আওতাধীন সবগুলো জেলার পুলিশ সুপারদেরকে দেয়া হয়েছে বিশেষ নির্দেশনা।

বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি জামিল হাসান বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের এখনো অনেক সময় বাকি। আমাদের কেন্দ্র থেকে কিছু নির্দেশনা রয়েছে। আপাতত সেগুলো বাস্তবায়ন করতে পুলিশ সুপারদেরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তারা নিজ নিজ এলাকায় কাজ করছেন। পরিস্থিতিও স্বাভাবিক রয়েছে। নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসলে পুলিশ ইসির নির্দেশনা মেনে কাজ করবে। সরকারবিরোধী আন্দোলনের নামে ভাংচুর, জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কিংবা যে কোনও নাশকতা কঠোরভাবে দমন করা হবে।’

এ বিষয় বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি পাঁচ মাস। নির্বাচন নিয়ে আমরা যে নির্দেশনা পেয়েছি সেভাবে কাজ করা হচ্ছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত জোড়ালো কোনও নির্দেশনা ইসির পক্ষ থেকে পায়নি। তবে সিটি করপোরেশনের নির্বাচন আগ থেকে প্রশাসন সবদিক থেকে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

এখনও আছে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুলিশ প্রশাসন কঠোর অবস্থানে থাকবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বরিশালের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কেউ যদি নাশকতা বা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে চেষ্টা চালায় সেক্ষেত্রে পুলিশ প্রশাসন কোন ছাড় দিবে না।’