দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: রাজধানীতে কার নির্দেশে লেগুনা চলে এটা এখন ওপেন সিক্রেট। প্রভাবশালীদের চাঁদার এক বিশাল উৎস এখন এই লেগুনা। বেশিরভাগ লেগুনারই নেই কোনো রেজিস্ট্রেশন নম্বর। লেগুনায় নেই নম্বর প্লেট। বাস্তবে কত সংখ্যক লেগুনা রাজধানীতে চলাচল করে এই সঠিক হিসেবও নেই কারো কাছে। লক্কড়-ঝক্কড় এসব লেগুনায় প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন সাধারণ যাত্রীরা।

লেগুনায় ১২ থেকে ১৫ জন যাত্রী করে যাতায়াত করেন। এসব যানবাহনের যাত্রীদের নিরাপত্তা নির্ভর করে ড্রাইভারের দক্ষতার উপর। কিন্তু ড্রাইভিং সিটের স্টিয়ারিং যদি অদক্ষ শিশুর হাতে থাকে তাহলে যাত্রীদের জীবন-মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়েই যাতায়াত করতে হয়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকার রাস্তায় যেসব লেগুনা চলাচল করে এসব বেশিরভাগই রেজিস্ট্রেশনবিহীন ও ঝুঁকিপূর্ণ। এছাড়াও যাত্রীদের কাছ থেকে বেশি ভাড়া আদায় করে। কার নির্দেশে এসব চলাচল করে বাস্তবে তাদের খুঁজে পাওয়া যায়না।

অভিযোগ আছে, ট্রাফিক পুলিশ ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা এসব লেগুনার কাছ থেকে চাঁদা আদায় করেন। আর এ ব্যয় মেটাতে লেগুনামালিকেরা যাত্রীদের কাছ থেকে অযৌক্তিকভাবে ভাড়া আদায় করেন। কোনো কারণ ছাড়াই রাজধানীতে লেগুনার ভাড়া বাড়তে দেখা গেছে।

এছাড়া দরজা ভাঙা, বাঁধা দড়িতে। নেই লুকিং গ্লাস, জানালার কাচ। ভাঙাচোরা সিট, জীর্ণ কাঠের পাটাতন, তার ওপর প্লাস্টিকের আবরণ। নেই স্টার্ট সুইচ, দুই তারে ঘসাই ভরসা। হর্নের বদলে হাত দিয়ে আঘাত করা হয় গাড়ির বডিতে। পেছনে সিটের নিচে রাখা গ্যাস সিলিন্ডার। রয়েছে বিস্ফোরণের শঙ্কা। এভাবেই রাজধানীজুড়ে চলছে লাইসেন্সবিহীন ভাঙাচোরা লক্কড়ঝক্কড় লেগুনা। এসব লেগুনার আবার অধিকাংশ চালকই অপ্রাপ্তবয়স্ক। অধিকাংশ হেলপারের বয়স ৮ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে। এর মধ্যে কোনোটার হেলপার আছে আবার কোনোটার নেই।

রাজধানীর বিভিন্ন রুটে বীরদর্পে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে লাইসেন্সবিহীন লেগুনা। এসব লেগুনার অধিকাংশেরই নেই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং চালকের লাইসেন্স। তবুও রাজধানীর বিভিন্ন রুটে চলছে এসব লেগুনা। প্রশাসনের নাকের ডগায় চললেও অদৃশ্য কারণে এসব দেখেও না দেখার ভান করছে। ব্যবস্থা নিচ্ছে না পুলিশ। রাজধানীতে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই লেগুনা চালাচ্ছে অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোররা। ওস্তাদের কাছ থেকে শিখে লাইন্সেস ছাড়াই তারা বসে পড়ছে চালকের আসনে। অদক্ষ হাতে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর কারণে বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা।

প্রতিনিয়ত দীর্ঘ হচ্ছে লাশের সারি। সড়কে বিশৃঙ্খলা তৈরি আর দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ এ লেগুনা—মনে করেন পরিবহন বিশ্লেষকরা। সড়কে মৃত্যুর মিছিল থামাতে ২০১৮ সালে নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন হয়। বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে তখন পুরো ঢাকা এক প্রকার অচল হয়ে পড়ে। এরপর সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে ১৭টি নির্দেশনা আসে।

সে নির্দেশনা এখনও বাস্তবায়ন হয়নি। ওই নির্দেশনার পর ২০১৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তৎকালীন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া রাজধানীতে লেগুনা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন।

সে সময় আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছিলেন, ‘লেগুনার কোনো রুট পারমিট নেই। রাজধানীতে এতদিন যারা লেগুনা চালিয়েছে, তারা অবৈধভাবে চালিয়েছে। তাই রাজধানীতে তাদের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলো। সড়কে বিশৃঙ্খলা ও দুর্ঘটনার কারণ এ লেগুনা। তাই এখন থেকে আর কোনো লেগুনা চলবে না।’ সেই ঘোষণার পর বেশ কিছুদিন বন্ধ থাকলেও আবারও অবাধে চলাচল শুরু করেছে এ অবৈধ যান।

নিষিদ্ধ ঘোষণার পরও কীভাবে চলছে এসব লেগুনা? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছে নয়া শতাব্দী। অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায়, ‘লাইন খরচ’ নামে প্রতিদিন দিতে হয় মোটা অঙ্কের চাঁদা। আর এসব চাঁদার বলেই অবৈধ ঘোষণার পরেও বীরদর্পে চলছে এসব লেগুনা। অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে চাঁদা আদায়ের চাঞ্চল্যকর তথ্য।

রাজধানীর বিভিন্ন রুটে গত এক সপ্তাহে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, নীলক্ষেত টু সেকশন রুটে গাড়ি চলে ৩২টি। এ রুটে প্রতিদিন গাড়িপ্রতি চাঁদা দিতে হয় ৭৫০ টাকা করে। মোহাম্মদপুর টু শ্যামলী রুটে গাড়ি চলে প্রায় ৭০টি, এ রুটে প্রতিদিন গাড়িপ্রতি চাঁদা দিতে হয় ৯০০ টাকা করে। মোহাম্মদপুর টু ফার্মগেট রুটে গাড়ি চলে ৭০টি। এ রুটে বন্ধের দিনে অর্থাৎ শুক্রবার চাঁদার পরিমাণ গাড়িপ্রতি ৮০০ টাকা, শনিবার ৯০০ টাকা এবং সপ্তাহের অন্য সব দিন ১০০০ টাকা। ফার্মগেট টু জিগাতলা রুটেও চাঁদা আদায় হয় একই পদ্ধতিতে। শ্যামলী টু ঢাকা উদ্যান রুটে গাড়ির পরিমাণ ৪৫টি। এ রুটে প্রতিদিন চাঁদা দিতে হয় ৭০০ টাকা। গাবতলী টু শিকশন রুটে লেগুনার চলে ১২৫টি।

এ রুটে প্রতিদিন চাঁদা দিতে হয় ১৩৫০ টাকা করে। পুরান ঢাকার বিডিআর গেট (বিজিবি) থেকে গুলিস্তান রুটে লেগুনা চলে ৩৫টি। এই রুটে গাড়িপ্রতি চাঁদা দিতে হয় ৭৩০ টাকা। ফার্মগেট থেকে ৬০ ফিট রুটে লেগুনা চলে প্রায় ৫০টি, এ রুটে প্রতিদিন চাঁদা দিতে হয় ৭০০ টাকা করে। নীলক্ষেত টু ফার্মগেট রুটে লেগুনা চলে প্রায় ৮৩টি, এ রুটে প্রতিদিন চাঁদা দিতে হয় ৬০০ টাকা করে।

নীলক্ষেত টু কামরাঙ্গীরচর রুটে প্রতিদিন ৩০টি লেগুনা চলাচল করে। এ রুটে প্রতিদিন গাড়িপ্রতি চাঁদা দিতে হয় ৬০০ টাকা করে। নীলক্ষেত টু চকবাজার রুটে ২৫টি লেগুনা চলে, এ রুটে চাঁদা দিতে হয় ৫৬০ টাকা করে। নীলক্ষেত টু গুলিস্তান রুটে লেগুনা চলে ২৭টি, এ রুটে প্রতিদিন চাঁদা দিতে হয় ৬০০ টাকা করে। নীলক্ষেত টু শিকশন রুটে গাড়ি চলে ৩২টি, এ রুটে প্রতিদিন চাঁদা দিতে হয় ৭৩০ টাকা করে।

নীলক্ষেত টু বিডিআর (বিজিবি) রুটে লেগুনা চলে ৩৫টি, এই রুটে প্রতিদিন গাড়ি প্রতি চাঁদা দিতে হয় ৭৩০ টাকা করে। এ ১৪টি রুটেই প্রতি মাসে ১ কোটি ৯০ লাখ ৪১ হাজার ৩০০ টাকা চাঁদা আদায়ের তথ্য মিলেছে। এছাড়া রাজধানীর বাড্ডা, বাসাবো, ফকিরাপুল, মতিঝিল, মালিবাগ, গুলিস্তান, আদাবর, আসাদগেট, শেরেবাংলানগর, মিরপুর, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল ও উত্তরা, আজমপুর, আজিমপুর, লালবাগ, সেকশন, মিরপুর বেড়িবাঁধসহ বেশ কিছু এলাকা ঘুরে দেখা যায়, এ সব অবৈধ লেগুনা দেদার দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এসব রুটেই ‘লাইনখরচ’ নামের চাঁদা আদায়ের তথ্য পাওয়া গেছে। এসব চাঁদা ৬০০ থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত গাড়িপ্রতি নেয়া হয়।

অনুসন্ধানে জানা যায়, এসব চাঁদা উত্তোলনের জন্য বিভিন্ন রুটে লোক নিয়োগ করা রয়েছে। যাদের লেগুনা শ্রমিকরা বলেন ‘লাইনম্যান’। ‘লাইনম্যান’ হিসেবে পরিচিত এসব লোক চাঁদা তুলে সেটা সিন্ডিকেটের মূল নেতার হাতে তুলে দেন। সেখান থেকে ভাগবাটোয়ারা হয়ে সংশ্লিষ্টদের কাছে নির্দিষ্ট পরিমাণ অংক চলে যায়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ফার্মগেট এলাকার লেগুনার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করেন চুন্নু নামের এক ব্যক্তি। তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে জানা গেছে। নিকুল এবং মিনু নামে তার আরও দুজন সহযোগী রয়েছে বলেও জানা গেছে। মোহাম্মদপুর এবং শ্যামলী রুটের ‘লাইনম্যান’ শাকিল নামের এক ব্যক্তি। তিনি শ্যামলী স্ট্যান্ডে অবস্থান করেন। এখান থেকেই সব গাড়ির চাঁদা তোলেন শাকিল।

চাঁদার কেন দেন এমন প্রশ্নে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নিউমার্কেট টু ফার্মগেট রুটের এক গাড়ি চালক বলেন, ‘এই যে গাড়িটা দেখছেন এর একটা কাগজও ঠিক নেই। রাস্তার ওপর ফালাই রাখছি। পুলিশ ধরে না, কেউ কিছু বলে না। কেন বলে না জানেন? চাঁদা দিই বলে ধরে না। তিনি আরও বলেন, এ রুটের অধিকাংশ গাড়ি কিংবা ড্রাইভার কারোরই কাগজপত্র নেই।

আরেক ড্রাইভার বলেন, ‘ভাই, আমরা গরিব মানুষ। পেটের দায়ে গাড়ি চালাই। চাঁদা না দিলে গাড়ি চালাতে দেবে না। তাছাড়া চাঁদা দেয়ায় পুলিশও কোনো ডিস্টার্ভ করে না। আমাদের গাড়িরও কোনো কাগজপত্র নেই। তাই আমরা চাঁদা দিয়েই গাড়ি চালাই। তিনি বলেন, রাস্তায় গাড়ি বের করলে ট্রিপ হোক বা না হোক চাঁদার টাকা পরিশোধ করতেই হবে। আমাদের সারা দিন লেগে যায় তেল খরচ আর চাঁদার টাকা তুলতেই। এরপর সন্ধ্যায় যে কয়টা ট্রিপ মারতে পারি তা মালিক আর আমরা কমিশন আকারে নেই। মালিক পায় ৬০ পার্সেন্ট আর আমরা পাই ৪০ পার্সেন্ট।

এ বিষয় জানতে চাইলে মো. মাসুম বিল্লাহ নামের এক যাত্রী বলেন, রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে চলাচল লেগুনা চালকদের অধিকাংশই অপ্রাপ্তবয়স্ক। অনেকেরই নেই লাইসেন্স। এ লেগুনা চালকদের হাতে জিম্মি আমাদের মতো হাজার হাজার যাত্রী। লেগুনা কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের গলা কাটছে, নিচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া যা দেখার কেউ নেই।

বাধ্য হয়ে চাঁদা দিলেও এই চাঁদায় সন্তুষ্ট নয় লেগুনার মালিক সমিতিও। জানতে চাইলে ক্ষোভের সঙ্গে সেকশন টু গাবতলী লেগুনা মালিক সমিতির এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘দিন শেষে আমাদের কিছুই থাকে না। দুপুরের মধ্যে পকেট থেকে হলেও তাদের চাঁদা দিতে হয়। অনেক সময় বিকালে গাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। তখন তারা টাকা ফেরত দেয় না। গাড়ি না চালিয়েও তখন পকেট থেকে চাঁদা দিতে হয়।’ পরিবহন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ‘সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ না হলে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানো সম্ভব হবে না।

তারা মনে করেন, এ চাঁদার টাকা জোগাড়ের জন্য ড্রাইভাররা বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালায়। যে কারণে সড়কে বাড়ছে দুর্ঘটনা। আর গাড়ি চলার ক্ষেত্রে কমিশনিং সিস্টেম বন্ধ করতে হবে বলেও মত তাদের।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে ফার্মগেট ২৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদুর রহমান ইরান বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাকে বলছেন কেন? পুলিশকে বলেন।’ এ চাঁদাবাজির একটা অংশ আপনার পকেটে যায় বলেও তথ্য রয়েছে আমাদের কাছে এমন প্রশ্নে ইরান বলেন, ‘এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমার সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। তাছাড়া ফার্মগেটে লেগুনার প্রধান চুন্নু। সে আওয়ামী লীগ নেতা, সে তো স্বেচ্ছাসেবক লীগ করে না। তাকে গিয়ে ধরেন আপনারা। তাছাড়া এটা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এলাকা। এখানে বুঝে শুনে চলতে হয়। যারা জড়িত আপনারা তাদের সঙ্গে তো পারেন না। এসে ধরেন আমাদের মতো কাউন্সিলরদের।

এ বিষয় জানতে চাইলে তেজগাঁও বিভাগ ট্রাফিকের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আসলে ভাই আমি এই এলাকায় নতুন এসেছি। এখন পর্যন্ত পুরো এলাকাটাও ঘুরে দেখা হয়নি। এ বিষয়ে খোঁজখবর না নিয়ে, স্টাডি না করে মন্তব্য করা ঠিক হবে না। আপনি বলছেন বিষয়টা আমি নোট করে রাখলাম। আমরা ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে খোঁজখবর নিয়ে দেখব।

মতিঝিলে এক লেগুনা চালক বলেন, ঢাকার রাস্তায় যেসব লেগুনা চলাচল করে তার বেশিরভাগেরই রেজিস্ট্রেশন নেই। এসব লেগুনা পুলিশ ধরেনা কারণ মাসিক হারে চাঁদা দিতে হয়। রাস্তার খরচ দিলে চালাতে কোনো সমস্যা নেই। গাড়ির কাগজপত্র না থাকলে এভাবেই চালাতে হয়।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, আমরা এক পরিসংখ্যানে দেখেছি প্রায় ৮০ শতাংশ লেগুনায় ফিটনেস নেই। চাঁদায় চলে এসব গাড়ি। এসব গাড়ি সিএনজিতে চললেও ভাড়া আদায় করা হয় তেলের গাড়ির হিসেবে। লেগুনার কোনো রুটেই ভাড়া নির্ধরিত না থাকার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ যাত্রীরা। ৭৩ শতাংশ লেগুনা চালায় অপ্রাপ্ত বয়স্করা।