খাজা টাওয়ারে অগ্নিকান্ডে সাইফ পাওয়ারের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি
দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: রাজধানীর মহাখালিতে খাজা টাওয়ারের ১৪তলা ভবনে অগ্নিকান্ডে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সেবা ও আবাসন খাতের কোম্পানি সাইফ পাওয়ারটেকের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পুড়ে গেছে অনেক প্রয়োজনীয় নথিপত্রসহ আসবাবপত্র। এ ঘটনায় সাইফ পাওয়ার টেক কোম্পানির অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ই-ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের প্রকল্প সমন্বয়ক প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম (৬৩) মারা যান।
জানা গেছে, রফিকুল ইসলাম সাইফ পাওয়ার টেকের সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ওই ভবনের ১৩ তলায় ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে মারা যান তিনি। রফিকুল ইসলাম মিরপুর শাহ আলীবাগের ২৫/৮/২৫/৯ নম্বর বাসায় পরিবারসহ থাকতেন।
অগ্নিকান্ডের ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক আমিনুজ্জামামসহ আহত হয়েছেন ১৮ জন। আহতরা হলেন- সেফটি অফিসার গোলাম রাব্বানী, এজিএম নাজমুল হাসান, হিসাব বিভাগের নূর হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, প্রশাসন বিভাগের সুফী সাব্বির আহমেদ, সিনিয়র ম্যানেজার মনিরুল ইসলাম, গোলাম রাব্বানী, অফিস এক্সিকিউটিভ নিজাম উদ্দিন, এইচ আর এক্সিকিউটিভ কায়সার আরাফাত এবং নিরাপত্তা প্রহরী চারজন যথাক্রমে- তারিকুল, শাকিল, আনোয়ার এবং মামুন প্রমুখ।
খাজা টাওয়ারে সাইফ পাওয়ার ও তার সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর একাধিক কার্যালয় রয়েছে। ভবনটির ৩য়. ৪র্থ, ৭ম, ১২তম, ১৩তম ও ১৪ তম তলায় এসব কার্যালয় অবস্থিত। সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা যায় একাধিক ফ্লোরে সাইফ পাওয়ারের অফিসগুলো ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। পুড়ে গেছে অনেক প্রয়োজনীয় নথিপত্র। কোম্পানির আসবাবপত্র এবং টেকনিক্যাল অনেক জিনিস।
কোম্পানির প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা (সিএফও) মো. হাসান রেজা বলেন, আমাদের যে ক্ষতি হয়েছে তা অপূরণীয়। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি হওয়ায় এখনো সঠিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা যায়নি। সাইফ পাওয়ার প্রায় ২৭ বছর ধরে দেশে সুনামের সাথে ব্যবসা করছে তারা। চট্টগ্রাম ও দুবাইয়ের বন্দরের মালামাল হ্যান্ডেলিং, নদী খনন, ব্যাটারি, বিদ্যুৎ উৎপাদন, পুন. নবায়নযোগ্য জ্বালানী, এলইডি লাটিং সল্যুশন, ফার্মাসিউটিক্যালসের প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদনসহ নানাবিধ মৌলিক ব্যবসা রয়েছে তাদের।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) বিকাল ৫টার দিকে ১৪ তলা এ ভবনে আগুন লাগে। পরে আগুন নেভাতে পর্যায়ক্রমে যোগ দেয় ফায়ার সার্ভিসের ১২ ইউনিট। এছাড়া ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসকে সহায়তা করে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যরা। এছাড়া সাত প্লাটুন আনসার সদস্য ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়। এরপর প্রায় আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।