দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহাম্মদ হাসান বাবু বলেন, বাংলাদেশের পুঁজিবাজার একটি উদীয়মান পুঁজিবাজার। বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য পুঁজিবাজার হলো অন্যতম প্রধান খাত। বাংলাদেশে বর্তমানে উদ্ভাবনী প্রকল্পসমূহে এবং স্মার্ট বাংলাদেশের সাথে সঙ্গতিমূলক প্রকল্পে বিনিয়োগ করা হচ্ছে। আমরা ব্র্যাসেলস স্টক এক্সচেঞ্জের সাথে বাংলাদেশ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের বিষয়ে আলোচনা করবো।

গত সোমবার জার্মানির বার্লিনে আয়োজিত ‘দ্য রাইজ অব বেঙ্গল টাইগার: পটেনশিয়ালস অব ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক রোড শোর পরবর্তী প্রবাসী বাংলাদেশি এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সাথে বাংলাদেশে বিনিয়োগ বিষয়ক বৈঠতে তিনি এ কথা বলেন। বুধবার ডিএসই থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ডিএসইর চেয়ারম্যান বলেন, আগামীতে স্মার্ট বাংলাদেশের বাস্তবায়নের সাথে আমরা একটি গতিশীল পুঁজিবাজার পাব, যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তিনি প্রবাসী বাংলাদেশী এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে অবহিত করে বিনিয়োগের আহবান জানান।

হাসান বাবু বলেন, বর্তমান বাংলাদেশ খুবই সম্ভাবনাময় একটি দেশ। বর্তমান সরকার দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করার জন্য কাজ করছে। স্মার্ট বাংলাদেশের অন্যতম উপাদান হলো স্মার্ট টেকনোলজি ও স্মার্ট ইকোনমি। স্মার্ট ইকোনমির ২টি খাত রয়েছে। একটি হলো ক্যাপিটাল মার্কেট, অন্যটি হলো মানি মার্কেট। স্মার্ট ইকোনমি বিনির্মানে উভয় খাতের অবদান রয়েছে। ইতোমধ্যে আমারা ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করেছি এবং দেশে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন হয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে এরপরও আরও কিছু প্রযুক্তি সংযোজন করতে হবে।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ডিএসই’র পরিচালক অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মোঃ আফজাল হোসেন, মোঃ শাকিল রিজভী, শরিফ আনোয়ার হোসেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এটিএম তারিকুজ্জামান, সিপিএ, প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা সাত্ত্বিক আহমদ শাহ এবং সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার ও কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ আসাদুর রহমান, এফসিএস,

বেপজা-এর এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান, এনডিসি, পিএসসি, বেসিস-এর প্রেসিডেন্ট রাসেল টি. আহমেদ, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স-এর চেয়ারম্যান ও সাবেক সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন এবং জার্মানির বিনিয়োগকারীবৃন্দ।