দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচকের উত্থানের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে গত দুই কার্যদিবস সূচকের উত্থান থাকলেও এখনো আতঙ্ক কাটেনি। বিনিয়োগকারীদের আতঙ্ক কাটতে টানা উত্থানের কোন বিকল্প নেই বলে মনে করছেন একাধিক বিনিয়োিগকারীরা। কারণ গত দুই বছরের অধিক সময় টানা দরপতনে অধিকাংশ শেয়ারের দাম ফেস ভ্যালুর কাছাকাছি চলে আসছে।

ফলে শতকরা ৯৯ শতাংশ বিনিয়োগকারী শেয়ার কিনে লোকসানে।  এদিকে আজ ডিএসইতে সূচকের সাথে টাকার পরিমাণে লেনদেনও কিছুটা বেড়েছে। আর আজ যে পরিমাণ কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে তার চেয়ে বেশি সংখ্যক কোম্পানির দর বেড়েছে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪.৪৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ২২৩.০২ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১.৯১ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৪.৯৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৩৫৩.২০ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ১০৮.৩২ পয়েন্টে।

ডিএসইতে ৩০৯টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬৯টির বা ২২.৩৩ শতাংশের দর বেড়েছে। শেয়ার দর কমেছে ৭০টির বা ২২.৬৫ শতাংশের এবং ১৭০টির বা ৫৫.০২ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে। ডিএসইতে আজ ৩৮৮ কোটি ৬৯ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ৮৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকা বেশি। আগের কার্যদিবস লেনদেন হয়েছিল ৩০২ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।

এদিন অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই ৫৫.৪০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৪৭৯.৫১ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসসিএক্স ৩৪.১৯ পয়েন্ট, সিএসই-৩০ সূচক ৭৪.৩১ পয়েন্ট,সিএসই-৫০ সূচক ৩.৮৬ পয়েন্ট বং সিএসআই ৪.৭৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১১ হাজার ০৫১.১৩ পয়েন্টে, ১৩ হাজার ৩৩৯.১০ পয়েন্টে, এক হাজার ৩০৫.৩৬ পয়েন্টে এবং একহাজার ১৭১.০১ পয়েন্টে।

আজ সিএসইতে ১৮৩টি প্রতিষ্ঠানে লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৫১টির, কমেছে ২৯টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১০৩টি প্রতিষ্ঠানের। আজ সিএসইতে ৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে।