দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জাতীয় পার্টির সাথে বৈঠক কোনো লুকোচুরি নয়। বৈঠকে আসন বন্টনের প্রসঙ্গ আসেনি, আলোচনা হয়েছে নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে নির্বাচনমুখী দলগুলোর সমন্বয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে নাশকতা-গুপ্ত হামলার মতো নির্বাচনবিরোধী অপকর্ম প্রতিহত করা নিয়ে। রাজনৈতিক আলোচনাই ছিল মুখ্য।

তিনি বলেন, সংবিধানের ধারাবাহিক রক্ষা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনের পথে হাঁটছেন। তাই নির্বাচন বিরোধী অপরাজনৈতিক প্রতিহত করতে, নির্বাচন মুখি রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সমন্বয় করতে আলোচনা চলছে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, জোট ও শরিক দলগুলো নির্বাচনবিরোধী কর্মকাণ্ডকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করতে সকলের সাথে আলাপ আলোচনা চলছে।

বিএনপির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপির নৃশংস রাজনীতির টার্গেট পুলিশ, সাধারণ মানুষসহ অনেকে। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, বিএনপি ততই মরিয়া হয়ে উঠছে। তাদের গুপ্ত টার্গেট আরো ভয়াবহ হতে পারে। সকালে সিরাজগঞ্জে মুরগীর বাচ্চাবাহী ট্রাকে আগুন। গতকাল পর্যন্ত ৬০০ গাড়ী ১০ টি রেল। বিএনপি’র ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় জনগণকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকব।

দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, স্বতন্ত্র নির্বাচন যারা করবে তাদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বাঁধা থাকবে না। জনগণের ভোটে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচিত হলে কারো কোনো আপত্তি নেই। যেসব দেশগুলো নিষেধাজ্ঞা দিবে তাদের কাছ থেকে কোন পণ্য নিবেনা বাংলাদেশ। ইউপীয় ইউনিয়নের যুক্তরাষ্ট্রের সাথে টানাপোড়ন রয়েছে।

পোশাকখাতে মার্কিন ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের নতুন শর্ত প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র চাইলেও একতরফা কিছু করতে পারবে না। যুক্তরাষ্ট্রের ইউরোপ এবং এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার বন্ধু দেশগুলো বাংলাদেশের বিষয়ে চরম কোন সিদ্ধান্ত নিতে এখন আর পক্ষপাতী নয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা বিদেশে বন্ধুহীন নেই। তারা জানে বাংলাদেশে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় শেখ হাসিনা কিভাবে নির্বাচন করছেন। দেশে যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সেজন্য নির্বাচন করছেন। জনগণের ভোটের মাধ্যমেই সরকারি ও বিরোধী দল আসবে।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলের সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম সহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।