দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: দীর্ঘ এক বছরের অধিক সময় দরপতনে থাকা পুঁজিবাজার ধীরে ধীরে স্থিতিশীলতার পথে এগুচ্ছে। দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) গত সাত কার্যদিবস উত্থানের পর সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস সূচকের কিছুটা কারেকশন হলেও দ্বিতীয় কার্যদিবসে ১৩ পয়েন্ট সূচকের উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। এটা বাজারের জন্য ইতিবাচক দিক বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া পুঁজিবাজারের এ ইতিবাচক রূপে বিনিয়োগকারীরাও ধীরে ধীরে আস্থা ফিরে পাচ্ছেন।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, পুঁজিবাজার ধীরে ধীরে স্থিতিশীলতার দিকে যাচ্ছে। কারণ এখন আর সূচকে আগের মতো একটানা উত্থান বা পতন হচ্ছে না। এর নেপথ্যে বিনিয়োগকারীদের সচেতনতাই মূল ভূমিকা রাখছে। কারণ বিনিয়োগকারীরা এখন ভালো-দুর্বল কোম্পানির পার্থক্য বোঝার পাশাপাশি কোন শেয়ার নিয়ে খেলা চলে, সেটাও ধরতে পারছেন। অন্যদিকে পুঁজিবাজারের কাঠামোগত উন্নয়নে নিয়ন্ত্রক সংস্থাও যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। সবার মিলিত প্রচেষ্টায় বাজার ভালোর দিকে যাচ্ছে।

একাধিক বিনিয়োগকারীরা বলেন, পুঁজিবাজার টানা দরবৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতার মাধ্যমে স্বাভাবিক বাজার গড়ে উঠবে। লেনদেনের শুরু থেকেই বাই প্রেসারে টানা বাড়তে থাকে সূচক। অবশেষে লেনদেনও ছাড়ালো প্রায় ৬০০ কোটি টাকা। এই ফিগার ১০০০ কোটি টাকায় লেনদেন হওয়া এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।

ডিএসইর সূত্র মতে, ডিএসইতে আজ ৫৯১ কোটি ৭৬ লাখ ৮৮ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আজ ডিএসইতে আগের দিন থেকে ৫৩ কোটি ৮৫ লাখ ৬১ হাজার টাকা বেশি লেনদেন হয়েছে। গত সোমবার ডিএসইতে ৫৩৭ কোটি ৯১ লাখ ২৭ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ডিএসই প্রধান বা ডিএসইএক্স সূচক ১৩.০৬ পয়েন্ট বা ০.২০ শতাংশ বেড়ে অবস্থান করছে ৬ হাজার ২৬৪ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৩.৯১ পয়েন্ট বা ০.২৮ শতাংশ বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৩৬৪ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ৪.৩৯ পয়েন্ট বা ০.২০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১১৬ পয়েন্টে। আজ ডিএসইতে ৩৪৫টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১২২টির, কমেছে ৪৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮০টির।

অপর পুঁজিবাজার সিএসই’র প্রধান সূচক ৪৩.৬৫ পয়েন্ট বা ০.২৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৫৯০ পয়েন্টে। সিএসইতে ২১৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৭৯টির, কমেছে ২৭টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ১১০টির। দিন শেষে সিএসইতে ২৩ কোটি ২২ লাখ ৭০ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৭ কোটি ৯২ লাখ ৩৫ হাজার টাকার শেয়ার।