দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: দেশে বর্তমানে মোট ৮২টি লাইফ ও নন-লাইফ প্রতিষ্ঠান বীমাসেবা দিচ্ছে। বর্তমানে বীমার আওতায় আছে দেশের ১ কোটি ৭১ লাখ ১০ হাজার মানুষ। এই খাতের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে কর্তৃপক্ষ বীমা দাবি পরিশোধের ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব আরোপ করে কোম্পানিগুলোকে নির্দেশনা দিয়ে আসছে।

ফলে লাইফ ও নন-লাইফ মিলে নিষ্পত্তি করা বীমা দাবি ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে ৪ শতাংশ বেড়েছে। বীমা দিবস উদযাপন উপলক্ষে গত বুধবার বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এই তথ্য জানান প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী।

আইডিআরএর সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এবং আইডিআরএর উদ্যোগে আগামীকাল ১ মার্চ ঢাকাসহ সারাদেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় বীমা দিবস উদযাপন করা হবে। এই বছরের বীমা দিবসের প্রতিপাদ্য ‘করব বীমা গড়ব দেশ, স্মার্ট হবে বাংলাদেশ’। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় বীমা দিবসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

আইডিআরএ চেয়ারম্যান বলেন, প্রধানমন্ত্রী বীমার গুরুত্ব অনুধাবন করে পুরোনো আইনকে ঢেলে সাজিয়ে নতুন বীমা আইন প্রণয়নের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ আইন করে। বীমা খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ২০১১ সালে অধিদপ্তর বিলুপ্ত করে প্রতিষ্ঠা করে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ।

আইডিআরএ চেয়ারম্যান জানান, বীমা ব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করতে জারি হয়েছে করপোরেট গর্ভন্যান্স গাইডলাইন-২০২৩ ও রেগুলেটরি স্যান্ডবক্স গাইডলাইলন। ব্যাংকের মাধ্যমে বীমা পণ্য বিপণনের জন্য প্রবর্তন করা হয়েছে ব্যাংকাস্যুরেন্স।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের স্মারক হিসেবে খোলা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা। পাইলট পর্যায়ে জীবন বীমা করপোরেশনের মাধ্যমে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের অর্থায়নে ৫০ হাজার শিক্ষার্থীকে এর আওতায় আনা হয়।

সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি কোম্পানিগুলোও এখন বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা পলিসি চালু করেছে। তিনি আরও বলেন, সামাজিক বীমা ব্যবস্থার আওতায় চালু হয়েছে শস্য বীমা, প্রবাসী বীমা, স্বাস্থ্য বীমা, হজ বীমা, ক্ষুদ্র বীমা ও গবাদি পশু বীমা। দুর্ঘটনা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায়ও বীমার ব্যবস্থা রয়েছে।