দেশ প্রতিক্ষণ, চট্টগ্রাম ব্যুরো: ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুর কবলে পড়া এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের নাবিকদের কেবিনে যেতে দিয়েছে জলদস্যুরা। তবে তাদেরকে ট্রেকিং সংযোগ ও ইন্টারনেট বিছিন্ন করে রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সন্ধ্যায় জাহাজের ভেতরে নাবিকরা অনেকটা উন্মুক্ত বিচরণ করতে পারছেন বলে জানা গেছে। জাহাজ মাস্টার এক ক্ষুদে বার্তায় বিষয়টি জাহাজের মালিক পক্ষ এস আর শিপিংকে নিশ্চিত করেছেন। জাহাজে থাকা ২৩ নাবিক কেবিনে যাওয়া ও উন্মুক্ত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুর ইসলাম।

তিনি বলেন, মঙ্গলবার (১২ মার্চ) ভারত মহাসাগরের উপকূল থেকে ৪৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে থাকা কয়লাবাহী জাহাজটি জলদস্যুরা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর থেকে নাবিকদের একস্থানে সবাইকে জড়ো করে রেখেছিল।

নাবিকদের অনেকটা বন্দিজীবন যাপন করতে হয়েছিল। একটি ওয়াশরুম ব্যবহার করতে পেরেছিল সকলেই। খাবার দাবারও জলদস্যুদের সঙ্গেই খেতে হয়েছিল। নামাজ রোজাও একসঙ্গে পালন করতে হয়েছে। কিন্তু বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যার পর থেকে তাদের উন্মুক্ত করে দিয়েছে। নাবিকরা যার যার কেবিনে অবস্থান করছে।

কিন্তু জলদস্যুরা ঘিরে রেখেছে পুরো জাহাজ। নাবিকদের সঙ্গে থাকা মোবাইল নিয়ে নিয়েছে দস্যুরা। প্রসঙ্গত, মোজাম্বিক থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুরা নিয়ন্ত্রণে নেয় বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, জলদস্যুরা কোনো ধরনের মুক্তিপণের ব্যাপারে এখনও মালিক পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। তবে সোমালিয়ান একটি দ্বীপের কাছে জাহাজটি নোঙ্গর করে রাখা হয়েছে। নৌ-বাহিনীর দুটি জাহাজ তাদেরকে উদ্ধার করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে। জানা গেছে দস্যুরা নাবিকদের মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে রাখায় নৌ-বাহিনীর জাহাজগুলো ঝুঁকি নেয়নি। ফলে বিপদ থেকে উদ্ধার করতে চেয়েও ব্যর্থ হয়েছে তারা।