দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের বড় উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। ফলে নতুন করে আশায় বুক বাঁধছেন পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীরা। কারণ এক মাসের বেশি সময় ধরে ধারাবাহিক দরপতনে ছিল দেশের পুঁজিবাজার। টানা পতনের ধাক্কায় বিনিয়োগকারীরা প্রায় নির্বাক হয়ে গেছে। ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে এই পতন শুরু হয়। যা চলে মার্চ মাসের গত মঙ্গলবার পর্যন্ত।

অব্যাহত দরপতনের ছোবলে মাত্র ২৪ কার্যদিবসে উধাও হয়ে গেছে ডিএসই ৬৩৩ পয়েন্ট সূচক। এর মধ্যে মার্জিন ঋণের বিনিয়োগকারীদের উপর আচমকা ঝড় নেমে আসে। তাদের বড় একটি অংশ ফোর্স সেলের কারণে নিঃশেষ হয়ে গেছে। পুঁজিবাজারের এমন পরিস্থিতি নড়েচড়ে বসে নীতি নির্ধারক মহল। ফলে গত বুধবার থেকে ফের সূচকের উত্থান হয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। এর পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে ৬৯ পয়েন্ট সূচকের উত্থান হয়েছে। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সূচকের সাথে বেড়েছে লেনদেন। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসইর সূত্র মতে, আজ বৃহস্পতিবার ডিএসইতে ৬১০ কোটি ৮ লাখ ৭৪ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ডিএসইতে গত বুধবারের তুলনায় ১৮৭ কোটি ২৫ লাখ ৬৭ হাজার টাকা বেশি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। গত বুধবার ডিএসইতে ৪২২ কোটি ৮৩ লাখ ৭ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ডিএসই’র প্রধান সূচক ‘ডিএসইএক্স’ ৬৯.০৭ পয়েন্ট বা ১.১৭ শতাংশ বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৯৪১.৬৬ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ১৫.৪৬ পয়েন্ট ১.২১ শতাংশ বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ২৯৩.০৩ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ২৫.৪৩ পয়েন্ট ১.২৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫৭.৭১ পয়েন্টে। বৃহস্পতিবার ডিএসইতে মোট ৩৯৭টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৩০৩টির, কমেছে ৪৪টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৫০টির।

অপর পুঁজিবাজার সিএসইর প্রধান সূচক সিএসসিএক্স ১০৫.৫১ পয়েন্ট বা ১.০৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ১৬৮.১১ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৭৬.৭৩ পয়েন্ট বা ১.০৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৯৩৭.১৯ পয়েন্টে, শরিয়াহ সূচক ৭.৮ পয়েন্ট বা ০.৭১ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৯৪.৬৯ পয়েন্টে এবং সিএসই৩০ সূচক ৬৪.০২ পয়েন্ট বা ০.৫ শতাংশ বেড়ে ১২ হাজার ৭৬৮.৯৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

আজ সিএসইতে ২৩৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৭৩টির, কমেছে ৪৭টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬টির। দিন শেষে সিএসইতে ১৮ কোটি ৩২ লাখ ৪২ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৭ কোটি ৮৯ লাখ ৮৮ হাজার টাকার টাকার শেয়ার।