অলিম্পিক এক্সেসরিজের ১৬ কোটি টাকার মজুদ পণ্য নষ্ট
দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত অলিম্পিক এক্সেসরিজ লিমিটেড ২০১৯-২০ অর্থবছর থেকে লোকসানে থাকা এ কোম্পানিটির সর্বশেষ ২০২২-২৩ অর্থবছরে বড় লোকসান হয়েছে। এর প্রধান কারনে হিসেবে রয়েছে কোম্পানিটির প্রায় ১৬ কোটি টাকার পণ্য নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া বাকিতে বেঁচে গ্রাহকদের কাছ থেকে ৯ কোটি টাকার ক্ষতি।
২০১৫ সালে তালিকাভুক্ত হওয়া অলিম্পিক এক্সেসরিজের ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকা লোকসান হয়। এরপরের ২ অর্থবছরে হয় যথাক্রমে ৫ কোটি ৬২ লাখ টাকা ও ৩ কোটি ১৭ লাখ টাকা। তবে সর্বশেষ ২০২২-২৩ অর্থবছরে সবকিছুকে ছাপিয়ে ৩৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে।
আর্থিক হিসাবের নোট ২৪.০১-এ অলিম্পিক এক্সেসরিজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ক্রেতা ক্রয়াদেশ বাতিল করায় কোম্পানিটির ১৫ কোটি ৮১ লাখ টাকার মজুদ পণ্য নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া বাকিতে বিক্রি করাবাবদ গ্রাহকদের কাছ থেকে ৯ কোটি ৩৬ লাখ টাকা আদায় নিয়ে শঙ্কা তৈরী হয়েছে। ফলে ওই পরিমাণ সম্ভাব্য ক্ষতির বিপরীতে সঞ্চিতি (প্রভিশন) গঠন করা হয়েছে।
যাতে কোম্পানিটির এই দুইভাবে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ক্ষতি হয়েছে ২৫ কোটি ১৭ লাখ টাকা। এরপরেও অলিম্পিক এক্সেসরিজের ব্যবসা লোকসানের মধ্য দিয়েই অতিবাহিত করছে। কোম্পানিটির ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথমার্ধে শেয়ারপ্রতি ০.৩৬ টাকা করে মোট ৬ কোটি ১০ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে।
এই কোম্পানিটির কাছে শেয়ারহোল্ডারদের ৩৭ লাখ টাকার অবন্টিত লভ্যাংশ রয়েছে বলে জানিয়েছে নিরীক্ষক। যার মাত্র ৪ লাখ টাকা ব্র্যাক ব্যাংকে জমা করা হয়েছে। যা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনা অনুযায়ি পরিপালন করা হয়নি।
উল্লেখ্য, ২০১৫ শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া অলিম্পিক এক্সেসরিজের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ১৬৯ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। এরমধ্যে ৭৪.১৯ শতাংশ মালিকানাই রয়েছে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর বিনিয়োগকারীদের হাতে। কোম্পানিটির বুধবার (২০ মার্চ) শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ১৬.৮০ টাকায়।