দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি সোনারগাঁও টেক্সটাইলের ব্যবসা কয়েক বছর ধরে খারাপ যাচ্ছে। এরমধ্যে ২০১৯-২০ অর্থবছর থেকে (২০২১-২২ ছাড়া) লোকসানে রয়েছে। ২৬ কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধনের এ কোম্পানিটির আর্থিক হিসাবে ৫১ কোটি টাকার মজুদ পণ্য দেখানো হয়েছে। যার সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নিরীক্ষক।

নিরীক্ষক জানিয়েছেন, কোম্পানি কর্তৃপক্ষ আর্থিক হিসাবে ৫০ কোটি ৯৫ লাখ টাকার মজুদ পণ্য দেখিয়েছে। যা তাদের দ্ধারা সরেজমিনে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। এমনকি বিকল্প কোন উপায়েও যাচাই করা যায়নি। এর কারণ হিসেবে রয়েছে নিরীক্ষককে দেরিতে নিয়োগ দেওয়া। যে মজুদ পণ্যের হিসাবে মিথ্যা তথ্য দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন নিলীক্ষক।

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনা অনুযায়ি ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডে অবন্টিত লভ্যাংশ হস্তান্তর করেনি সোনারগাঁও টেক্সটাইল কর্তৃপক্ষ। এমনকি ওই লভ্যাংশ পৃথক হিসাবে জমা রাখেনি।

সোনারগাঁও টেক্সটাইলে ১৫ লাখ টাকার অবন্টিত লভ্যাংশ রয়েছে বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক। যা ৩ বছরের বেশি সময় ধরে অপ্রদানকৃত অবস্থায় থাকার পরেও বিএসইসির নির্দেশনা অনুযায়ি ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডে স্থানান্তর করেনি কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। ২০০৬ সালের শ্রম আইনের ২৩২ ধারা অনুযায়ি, ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ড (ডব্লিউপিপিএফ) গঠন করা এবং তা কর্মীদের মধ্যে বিতরন করা বাধ্যতামূলক।

কিন্তু সোনারগাঁও টেক্সটাইলে ২১ লাখ টাকার এই ফান্ড থাকলেও কোম্পানি কর্তৃপক্ষ তা বিতরন না করে কর্মীদেরকে ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করছেন। ব্যবসায়িক মন্দায় ঋণ পরিশোধ করতে পারছে না সোনারগাঁও টেক্সটাইল কর্তৃপক্ষ। যে কারনে বিডিবিএল অর্থ ঋণ আদালতে মামলা করেছে। রূপালি ব্যাংক এ প্রক্রিয়ায় রয়েছে। তবে সোনারগাঁও কর্তৃপক্ষ সমঝোতার চেস্টা করছে।