দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের কোম্পানি সিকদার ইন্স্যুরেন্স কর্তৃপক্ষ প্রতারণা করছেন কোম্পানিটির কর্মীদের সঙ্গে। শ্রম আইন পরিপালন না করার মাধ্যমে এমনটি করছেন। যা কোম্পানিটির আর্থিক হিসাব নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। ২০০৬ সালের শ্রম আইনের ২৩২ ধারা অনুযায়ি, ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ড (ডব্লিউপিপিএফ) গঠন করা এবং তা পরবর্তী ৯ মাসের কর্মীদের মধ্যে বিতরন করা বাধ্যতামূলক।

কিন্তু সিকদার ইন্স্যুরেন্স কর্তৃপক্ষ তা না করে কর্মীদেরকে ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করছেন। নিরীক্ষক জানিয়েছেন, কোম্পানিটির ২০২২ সালের শুরুতে ৫৭ লাখ টাকার ডব্লিউপিপিএফ ফান্ড ছিল। কিন্তু বছর শেষেও তা কর্মীদের মাঝে বিতরন করা হয়নি। যা কোম্পানিটির শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ২০২৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া সিকদার ইন্স্যুরেন্সের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৪০ শতাংশ মালিকানা রয়েছে পুঁজিবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর বিনিয়োগকারীদের হাতে।

এদিকে পুঁজিবাজার থেকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করেছে সিকদার ইন্স্যুরেন্স।কোম্পানিটি পুঁজিবাজার থেকে টাকা নিয়ে মূলত ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট বা এফডিআর করছে। অথচ এই পুঁজিবাজার ভুগছে তারল্য সংকটে। এর আগে গত ২৬ এপ্রিল বিএসইসি কোম্পানিটির ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো বা সিআইবি প্রতিবেদন পরিচ্ছন্ন না পাওয়ায় আইপিওর আবেদন বাতিল করেছিল। এ সংক্রান্ত একটি চিঠি কোম্পানির চেয়ারম্যান এবং সিইও বরাবর পাঠানো হয়।