তৌফিক ইসলাম, দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর উপজেলা নির্বাচন ঘিরে স্থানীয় পর্যায়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ঘটছে নতুন মেরূকরণ। এলাকায় নিজের অবস্থান শক্তিশালী করতে পছন্দের প্রার্থীকে জিতিয়ে আনতে এরই মধ্যে তৎপর হয়ে উঠেছেন নতুন সংসদ সদস্যরা। বিপরীতে ভবিষ্যৎ বিবেচনায় শক্তিশালী বলয় তৈরির চেষ্টা করছেন সংসদ নির্বাচনের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীরা।

ফলে দলীয় প্রতীক না থাকলেও উপজেলার ভোটে থাকছে নৌকা বনাম স্বতন্ত্রের ছায়া। সেইসঙ্গে অনেক ক্ষেত্রে জেলার শীর্ষ নেতারাও পছন্দের প্রার্থীকে সামনে রেখে তৎপর রয়েছেন। এ ছাড়া মাঠ উন্মুক্ত হওয়ায় প্রার্থী হচ্ছেন জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা। এর আগে কখনোই একটি উপজেলায় ভোটের লড়াইয়ে একসঙ্গে আওয়ামী লীগের এত নেতা মুখোমুখি দাঁড়াননি। ফলে এই ভোটের পর দলীয় বিভক্তি কতটা তীব্র হবে—তা ভেবে উদ্বিগ্ন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।

উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাবেক ও বর্তমান এমপিরা এখন মুখোমুখি অবস্থানে। উপজেলা পর্যায়ে দলের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড অনেক স্থানেই সাবেক এমপিদের নিয়ন্ত্রণে। তবে নতুন এমপিরা স্থানীয় রাজনীতি নিজেদের অনুকূলে রাখতে তৎপর হয়ে উঠেছেন।

উপজেলা নির্বাচনে নিজের পছন্দের নেতাকে প্রার্থী করতে চাইছেন সাবেক ও বর্তমান এমপিরা। এ নিয়ে দ্বন্দ্ব তৈরি হচ্ছে, মাঠপর্যায়ে বাড়ছে সংঘাত। গত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রথম এমপি নির্বাচিত হওয়া অন্তত ৯৮টি আসনে এমন চিত্র দেখা যায়। আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে আলাপের সময় এসব তথ্য জানা গেছে।

নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে ১৫২ উপজেলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ৯টি জেলার ২২টি উপজেলায় ভোট হবে ইভিএমে। এবারের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণা কিংবা দলীয় প্রতীক, কোনোটিই দেবে না আওয়ামী লীগ। দলীয় প্রতীক না থাকায় স্থানীয় পর্যায়ে জেলা-উপজেলার নেতা, আসনের সাবেক ও বর্তমান এমপিরা চাইছেন তাদের পছন্দের প্রার্থীরাই উপজেলা নির্বাচনে ভোট করুক।

কারণ স্থানীয় পর্যায়ে উপজেলা চেয়ারম্যান নিজের অনুকূলে থাকলে দলে ও স্থানীয় প্রশাসনে একচ্ছত্র আধিপত্য ধরে রাখা যায়। এতে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডেও গতি থাকে বলে স্থানীয় এমপিরা মনে করেন। কিন্তু বিরোধী বা প্রতিদ্বন্দ্বী কারও পছন্দের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে স্থানীয় প্রশাসনে এমপির নিয়ন্ত্রণ বাধাগ্রস্ত হয়। এর ফলে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড ছাড়াও স্থানীয় উন্নয়নমূলক কাজে নানা জটিলতা তৈর হয়।

ফলে এমপিরা তাদের নিজেদের মতো করে স্থানীয় প্রশাসনে পছন্দের লোকদের বসাতে চান। আর আগের বা সাবেক এমপিরা দলে নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখার পাশাপাশি ভবিষ্যতে এমপি হওয়ার আশায় নিজ বলয়ের লোককে নির্বাচনে জিতিয়ে আনতে চান। এ কারণেই সাবেক এমপিরা প্রভাব ছাড়তে রাজি নন। অন্যদিকে শতাধিক স্বতন্ত্র এমপিও এখন উপজেলায় নিজের আধিপত্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে তৎপর রয়েছেন।

কুষ্টিয়া-৩ আসনের এমপি ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, ‘এবার উপজেলা নির্বাচনের দলীয় সমর্থন ও প্রতীক থাকবে না। আমরা দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যাব না। এমপিদেরও এসব করার সুযোগ নেই।’ তৃণমূলের দ্বন্দ্বের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখনো সময় আছে, মাঠের অবস্থা দেখা হবে। এখনই কিছু বলা যাবে না।’

আওয়ামী লীগের তৃণমূল সূত্রে জানা গেছে, ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো এমপি নির্বাচিত হয়েছেন ৯৮ জন নেতা। অনেক প্রভাবশালী এমপি ও মন্ত্রীদের হারিয়ে তারা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে ৪৫টি আসনের নৌকার বিপরীতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরাই নির্বাচিত হয়েছেন। যারা আওয়ামী লীগ এবং জাতীয় পার্টি ও ১৪-দলীয় জোট নেতাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নির্বাচিত হয়েছেন। ৫৪ জন নৌকা প্রতীকের মনোনয়নে নির্বাচিত এমপি হয়েছেন।

এর মধ্যে অনেকেই শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় নির্বাচিত হন। সারা দেশে নৌকার প্রার্থীর বিপরীতে দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ভোটে জিতেছেন ৬২ জন। এখন তারা নিজ আসনে ক্ষমতার প্রভাব বজায় রাখতে উপজেলা নির্বাচনে নিজের পছন্দের নেতা বা নিজের অনুসারীকে প্রার্থী করতে তৎপর হয়ে উঠেছেন। আওয়ামী লীগের তৃণমূল সূত্রে জানিয়েছে, দলে অনুপ্রবেশকারী কিংবা জামায়াতসংশ্লিষ্ট নেতাদের সুবিধাবাদীরা কাছে টানছেন।

কেউ সাবেক এমপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হলে কিংবা সময় দিলে তাকে মারধর করা হয় এবং এলাকাছাড়া করার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। গত ২১ মার্চ চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনের বর্তমান এমপি এম এ মোতালেবের বিরুদ্ধে জামায়াতসংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তোলেন ওই আসনের সাবেক দুবারের এমপি আবু রেজা মোহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী।

তিনি বলেন, ‘৭ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এমপি এম এ মোতালেবের সঙ্গে স্থানীয় জামায়াতে ইসলামীর সমঝোতা হয়েছে। আসন্ন উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গে আশঙ্কা প্রকাশ করে সাবেক এই এমপি বলেন, ‘হয়তো তাদের সঙ্গে সমঝোতা হয়েছে এভাবে যে, সংসদ নির্বাচনে আমাকে ঠেকালে, উপজেলার ভোটে তাদের (জামায়াত) ছাড় দেওয়া হবে।’

সমঝোতার ইঙ্গিত দিয়ে নদভী বলেন, ‘না হলে এখন উপজেলা নির্বাচন ঘিরে তাদের সক্রিয় দেখা যাচ্ছে কেন? আমার সময়ে তো জামায়াত-শিবিরের ক্যাডাররা এলাকায় ছিল না। এখন হাজার হাজার ক্যাডার সবাই মাঠে কেন? তিনি (এম এ মোতালেব) আওয়ামী লীগের না স্বতন্ত্র এমপি। তার ছোট ভাই মাওলানা মাহমুদুল হক জামায়াতের সিনিয়র নেতা।’

নদভী বলেন, ‘নির্বাচনের পর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত এমপির প্রত্যক্ষ মদদে তার উগ্র-সমর্থকরা সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায় নৌকা প্রতীকের পক্ষে কাজ করার অপরাধে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের ওপর নগ্ন হামলা, বাড়িঘর ভাঙচুর ও মিথ্যা মামলা করেছে।’

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয়ভাবে মনোনয়ন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা পরিষদের জন্য আওয়ামী লীগের ‘দলীয় প্রার্থী’ হিসেবে দুজনের নাম ঘোষণা করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান। গত মঙ্গলবার এক আলোচনা সভায় তিনি এই ঘোষণা দেন। এ সময় উপস্থিত সবার সামনে ওই দুজনকে পরিচয়ও করিয়ে দেন মন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচনে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমরা দল থেকে, আওয়ামী লীগ থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে এই দলের সাধারণ সম্পাদক ত্যাগী নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালেব তালুকদারকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছি। এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. ইউসুফ আলীকে দল থেকে মনোনীত করেছি।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে অনেক প্রার্থী আসবেন, কিন্তু দুর্দিনে যারা দলের জন্য শ্রম দিয়েছেন ও দলকে আগলে রেখেছেন, এমন দুই নেতাকে দল থেকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।’ মহিববুর রহমানের ঘোষণার পরপরই স্থানীয় পর্যায়ে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে দলের মন্ত্রীর এমন সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছেন না অন্য প্রার্থীরা।

ইতোমধ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে স্থানীয়ভাবে গণসংযোগ করা যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামিম আল সাইফুল ও টিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ আখতারুজ্জামান মন্ত্রী মহিববুরের বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন।

এদিকে ৭ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচনে মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনে নৌকা পেয়েও পরাজিত হন মৃণাল কান্তি দাস। তাকে হারিয়েছেন দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোহাম্মদ ফয়সাল। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনে জয়ী হয়ে তিনি সাবেক এমপি মৃণাল কান্তির অনুসারীদের গ্রাম ছাড়া করেন। নৌকার প্রার্থীর ভোট করায় হুমকির ভয়ে এখন সাবেক এমপি ও তার অনুসারীসহ সবাই এলাকা ছাড়া।

ইতোমধ্যে সাবেক এমপির সময়ে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হওয়া সবাই একধরনের কোণঠাসা হয়ে রয়েছেন আসনটিতে। তবে মৃণলকান্তি ঢাকায় বসে তার আসনের উপজেলাগুলোতে প্রার্থী কারা হবেন তা ঠিক করছেন। বর্তমান এমপি নিজের অনুসারী উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের চেয়ারম্যান বানাবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।

মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান বলেন, ‘কে কাকে এলাকা ছাড়া করেছে এ ধরনের অভিযোগ এখনো জেলা আওয়ামী লীগের কাছে কেউ করেনি। আমাদের কাছে অভিযোগ না করে ঢাকায় গিয়ে কেন্দ্রীয় নেতার কাছে অভিযোগ দিলে হবে? তিনিও তো (মৃণালকান্তি) জেলা আওয়ামী লীগের কাছে অভিযোগ জানাতে পারতেন, সবাইকে নিয়ে বসতে পারতেন। অথচ তা তো তিনি করেননি। আমার তো বিরোধী দলে থাকার সময়ও এলাকা ছাড়া হইনি, কেউ করতে পারেনি।’

মাদারীপুর-৩ আসনের নৌকার প্রার্থী আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশানা সম্পাদক আব্দুস সোবহান মিয়া গোলাপ হেরেছেন দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা বেগমের কাছে। নির্বাচনের হেরে এলাকায় যাতায়াত কমেছে গোলাপের। এই আসনে দুটি উপজেলায় চলছে চতুর্মুখী হিসাব-নিকাশ। নিজের পছন্দের প্রার্থীর জন্য ইতোমধ্যে ভোট চাওয়া শুরু করেছেন তাহমিনা বেগম এমপি।

তার প্রার্থীরাই আবার আসনটির সাবেক এমপি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের অনুসারী। অন্যদিকে দুইটি উপজেলায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খানের অনুসারীরাও নির্বাচনের দাঁড়ানোর ঘোষণা দিচ্ছেন। যেখানে পরিবারের লোকও রয়েছে। এই প্রার্থীদের আবার সাবেক এমপি গোলাপও সমার্থন জানাচ্ছেন।

গত ২২ মার্চ কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় প্রার্থিতার বিভেদের জেরে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেনকে তুলে নিয়ে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সদর খানের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে সদর খানকে প্রধান আসামি করে খোকসা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই আওয়ামী লীগ নেতা।

ওই অভিযোগে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা নিয়ে বিভেদের কথা বলা হয়েছে। সদর খান ও আলমগীর- এই দুই নেতা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে ছিলেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য এ কে আজাদের কাছে পরাজিত হয়েছেন নৌকার প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক। এই আসন একটি উপজেলা হওয়ায় এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নিজের অনুসারীদের প্রার্থী করছেন।

প্রার্থীদের জন্য তৎপরতাও দেখাছেন এমপি ও জেলার নেতা। তবে নির্বাচনে নৌকা প্রতীক ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে। আসন্ন উপজেলা নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় এই অসহিষ্ণুতা আরও চরম আকার ধারণ করেছে। যদিও ক্ষমতাসীন দলটির কেন্দ্র থেকে বারবার দ্বন্দ্ব নিরসনে সহিষ্ণু মনোভাব নিয়ে দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আমাদের সভাপতি শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। সংসদ নির্বাচনের মতো উপজেলা নির্বাচনও শেষ পর্যন্ত অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। তবে দলীয় প্রতীকে প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্তের সুযোগ নিয়ে উপজেলা নির্বাচনে কেউ যেন সংঘাত-সহিংসতা সৃষ্টি করার চেষ্টা না করেন। কেউ দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী ঘোষণা করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’