দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচকের কিছুটা উত্থানে মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে সূচকে কিছুটা উত্থান হলেও আতঙ্ক কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। কারণ পুঁজিবাজারে চলছে ‘টম অ্যান্ড জেরির’ খেলা। সকালে বড় উত্থান হলে বিকালে বড় পতন হয়। আবার সকালে বড় পতন হলে বিকালে সামান্য উত্থান দেখা যায়। অন্যদিকে একদিন উত্থান হলে পরের তিন দিন হয় পতন। এর মাধ্যমে দেশের পুঁজিবাজারে চলছে টম অ্যান্ড জেরির পাতানো খেলা। এই খেলায় আতঙ্কে দিশেহারা সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) প্রধান সূচক বেড়েছিল ৫১ পয়েন্ট। পরের দিন সোমবার সূচক উধাও হয়ে যায় ৬৮ পয়েন্ট। এরপর মঙ্গলবার পতনের পাল্লায় যোগ হয় আর ২৩ পয়েন্ট। অর্থাৎ গত দুই দিনে সূচক হাওয়া হয়ে যায় ৯১ পয়েন্ট।

আজ সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে লেনদেনের শুরুতে বাজার নেতিবাচক প্রবণতা শুরু হলেও দিনশেষে সূচকের বড় উত্থানের আশা জাগিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। লেনদেনের শেষভাগে সূচক ৪৬ পয়েন্টের বেশি বাড়লেও অ্যাডজাস্টমেন্টের কারণে সূচকের ঊর্ধ্বগতি ৩৭ পয়েন্টের বেশিতে স্থির হয়।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, টানা দরপতনের কারনে অধিকাংশ শেয়ারের দাম ফেসভ্যালূও কাছাকাছি চলে আসছে। বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে বিনিয়োগের উত্তম সময়। তবে টানা দরপতনে বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কিত হয়ে শেয়ার ক্রয় থেকে বিরত রয়েছেন। এছাড়া ঈদের ছুটির আগে আর মাত্র তিন কার্যদিবস লেনদেন হবে। আশা করি এই তিন কার্যদিবস বাজার ইতিবাচক থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ বাজার নেতিবাচক হওয়ার  কোন সম্ভাবনা দেখছি না।

জানা গেছে, দিনশেষে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৩৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৭৭৬ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ২৫৭ পয়েন্টে এবং ডিএসই–৩০ সূচক ১২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২ হাজার ১৪ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৯৫ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২৭৯ টির, দর কমেছে ৬৪ টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৫২টির।

ডিএসইতে ৪৩৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ৬৬ কোটি ৩১ লাখ টাকা বেশি। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৩৬৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকার।

অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৯২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৫৩০ পয়েন্টে। সিএসইতে ১৮৩ টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১১২ টির দর বেড়েছে, কমেছে ৪৪ টির এবং ২৭ টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।