দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে শৃঙ্খলা রক্ষার্থে ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে সব ব্রোকারেজ হাউজে ‘সমন্বিত ব্যাক অফিস সফটওয়্যার’ চালুর জন্য সময়সীমা নির্ধারণ করে নির্দেশনা জারি করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কমিশনের বেধে দেওয়া সময়সীমা বৃদ্ধির জন্য আবেদন করে পুঁজিবাজার স্টক ব্রোকারদের সংগঠন ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ)।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে ব্রোকারেজ হাউজগুলো ‘সমন্বিত ব্যাক অফিস সফটওয়্যার’ ব্যবহার নিশ্চিত করার সময়সীমা আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়েছে বিএসইসি। বুধবার এ সংক্রান্ত এক আদেশপত্র ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা বরারব পাঠিয়েছে বিএসইসি।

এতে বলা হয়, পুঁজিবাজার স্টক ব্রোকারদের সংগঠন ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ব্রোকারেজ হাউজগুলো ‘সমন্বিত ব্যাক অফিস সফটওয়্যার’ ব্যবহার নিশ্চিত করার সময়সীমা আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হলো।

এর আগে, আগামী বছরের ২ আক্টোবর শেয়ারবাজারের সব ব্রোকারেজ হাউজে ‘সমন্বিত ব্যাক অফিস সফটওয়্যার’ চলতি বছরের ৩১ মার্চের মধ্যে চালুর নির্দেশ দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। তবে এর সময় বৃদ্ধির জন্য আবেদন করে ডিবিএ।

বিএসইসি সেসময় জানায়, কিছু ট্রেকহোল্ডার কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের আর্থিক ও সিকিউরিটিজ লেনদেন সংক্রান্ত তথ্যের জন্য যে ব্যাক অফিস সফটওয়্যারে ব্যবহার করে, তাতে ব্যবহারকারীর দেওয়া তথ্য পরবর্তীতে পরিবর্তন করা বা মুছে ফেলা যায়। এ ধরনের কার্যকালাপের ফলে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ হানি হয়েছে এবং শৃঙ্খলা বিনষ্ট হয়েছে।

বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে এবং শেয়ারবাজারে শৃঙ্খলা রক্ষার্থে স্টেকহোল্ডার কোম্পানির এসব কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করতে সমন্বিত সফটওয়্যার চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানায় বিএসইসি। সেসসময় গত বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সমন্বিত ব্যাক অফিস সফটওয়্যার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ সংক্রান্ত গাইডলাইন দিয়ে প্যানেলভুক্ত করতে নির্দেশ দেয় বিএসইসি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জকে (সিএসই) এ নির্দেশ দেওয়া হয়।

একই সঙ্গে সব ট্রেকহোল্ডার কোম্পানিকে কমিশনের এ সংক্রান্ত নির্দেশনা ও যে কোনো এক্সচেঞ্জের এ সংক্রান্ত গাইডলাইন পরিপালন করে ২০২৪ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে প্যানেলভুক্ত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সরবরাহ করা সমন্বিত ব্যাক অফিস সফটওয়্যার ব্যবহার নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

একই সঙ্গে যেসব ব্রোকারেজ হাউজ এরই মধ্যে নিজস্ব উদ্যোগে ব্যাক অফিস সফটওয়্যার তৈরি করে ফেলেছে, সেসব ব্রোকারেজ হাউজকে স্টক এক্সচেঞ্জের তৈরি করা নীতিমালা মেনে ওই সফটওয়্যারের বিপরীতে ২০২৪ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে সনদ নিতে হবে বলে জানানো হয়।

এই সনদ না নিলে কোনো এক্সচেঞ্জের প্যানেলভুক্ত সফটওয়্যার ভেন্ডার থেকে সমন্বিত ব্যাক অফিস সফটওয়্যার কিনে ও ইনস্টল করে কমিশনের এ সংক্রান্ত নির্দেশনা ও যে কোনো এক্সচেঞ্জের এ সংক্রান্ত গাইডলাইন পরিপালন করতে হবে বলেও জানিয়েছিলো বিএসইসি। বিএসইসির ঐ নির্দেশনায় বলা হয়, এক্সচেঞ্জ দৈবচয়ন ভিত্তিতে সরেজমিন পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে ২০২৪ সালের ৩১ মার্চের পর ট্রেকহোল্ডার কোম্পানিগুলোর সমন্বিত ব্যাক অফিস সফটওয়্যার ব্যবহার করছে কি না তা নিশ্চিত করবে। এ ক্ষেত্রে কোনো ট্রেকহোল্ডার কোম্পানি ব্যর্থ হলে তার বিরুদ্ধে বিদ্যমান সিকিউরিটিজ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।