দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: দেশের পুঁজিবাজারে ঈদের পরে টানা ৫ কার্যদিবস দরপতন হয়েছে। এতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মূল্যসূচক কমে ২১০ পয়েন্ট। এর আগেও কমেছে পুঁজিবাজারের মূল্যসূচক। যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে বিনিয়োগকারীরা। আজ মঙ্গলবার মতিঝিলে ডিএসইর পুরাতন ভবনের সামনে এই বিক্ষোভ করা হয়।

আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় বিক্ষুব্ধ এসব বিনিয়োগকারী ব্যানার নিয়ে ডিএসই ভবনের সামনে জড়ো হন। এ সময় তাঁরা শেয়ারবাজারের দরপতনের প্রতিবাদে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটির অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান, ডিএসইর চেয়ারম্যানসহ পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের পদত্যাগ দাবি করে বিভিন্ন স্লোগান দেন।

বিক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা বলেন, টানা দরপতনে পুঁজি হারিয়ে অনেকেই নিঃস্ব হয়ে গেছেন; তাই তাঁরা হারানো পুঁজি ফিরে পাওয়ার দাবি জানান। বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ ও মানববন্ধন শেষে সংক্ষিপ্ত এক সমাবেশে বিক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা বলেন, শেয়ারবাজারে ১৯৯৬ ও ২০১০ সালে বড় ধরনের দুটি ধস হয়েছে। কিন্তু ২০২৪ সালে এসে বাজারে যে ধস নেমেছে, তা অতীতের দুই ধসকে হার মানিয়েছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার ব্যর্থতায় এটা হচ্ছে। তাঁদের অভিযোগ, পুঁজি হারিয়ে কোনোরকমে তাঁরা বেঁচে আছেন। অনন্যোপায় হয়ে রাস্তায় নেমেছেন তাঁরা।

বিক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা আরও বলেন, সারা বিশ্বের পুঁজিবাজার যেখানে ঊর্ধ্বমুখী, সেখানে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে টানা দরপতন চলছে। তাঁদের অভিযোগ, নিম্নমানের ও স্বল্প মূলধনি কোম্পানি তালিকাভুক্ত করে বারবার বিনিয়োগকারীদের ক্ষতির মুখে ফেলা হচ্ছে। এসব কোম্পানি বাজার থেকে টাকা লুটপাট করে নিয়ে যাচ্ছে আর বিনিয়োগকারীরা নিঃস্ব হচ্ছেন। সে জন্য বিনিয়োগকারীরা নিম্নমানের ও স্বল্প মূলধনি কোম্পানির আইপিও বন্ধের দাবি জানান।

এদিকে  ঈদের পরে ৫ কার্যদিবসে ২১০ পয়েন্ট পতনের মাধ্যমে ডিএসইর সূচকটি ৫৬৫৪ পয়েন্টে নেমে যায়। যা ছিল বিগত ৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। এরপরে সোমবার ২১ পয়েন্ট বাড়লেও মঙ্গলবার আরও বেশি কমে গেছে। এছাড়া পুঁজিবাজারের এই পরিস্থিতিতে বিএসইসি চেয়ারম্যান ব্যর্থ হয়েছেন বলে দাবি। যে কারনে তাকে পূণ:নিয়োগ না করানোর দাবি করা হয় বিক্ষোভে। না হলে আগামিতে পুঁজিবাজার আরও তলানিতে নামবে বলে তাদের শঙ্কা।