দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে সম্প্রতি চালু হওয়া কমোডিটি এক্সচেঞ্জ ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি বন্ড বা সুকুকে বিনিয়োগ নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে কাতার প্রতিনিধি দল। বিষয়টি নিয়ে তারা পরবর্তীতে আরও বিস্তারিত জেনে এ খাতে বিনিয়োগ করবেন। বাংলাদেশ ও কাতারের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের মধ্যকার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এমনটাই জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।

গত সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বাংলাদেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন সালমান এফ রহমান। আর কাতারের ব্যবসায়ী নেতৃত্ব দেন দেশটির শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী আহমেদ বিন জসিম আল থানি।

সালমান এফ রহমান বলেন, বৈঠকে এফটিএর বিষয়ে প্রস্তাব দিলে কাতারের মন্ত্রী আগ্রহ প্রকাশ করেন। এ প্রস্তাবে তারা খুবই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তারা বলেছেন যে, বিশ্বের অনেকগুলো দেশের সঙ্গে তাদের এফটিএ আছে, সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গেও করেছেন। পাকিস্তানের সঙ্গে এ চুক্তি করার শেষ পর্যায়ে রয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গেও এফটিএ করতে তারা আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

তিনি বলেন, কমোডিটি এক্সচেঞ্জ এবং সুকুকে (শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি বন্ড) বিনিয়োগ নিয়েও তারা আমাদের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন। এছাড়া, দুই দেশের বেসরকারি খাত উন্নয়নে কাজ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশ থেকে কাতার খাদ্যপণ্য আমদানি করে। বাংলাদেশ মাংসসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্য দেশটিতে রপ্তানি করতে চায়। তবে, কাতারের প্রতিনিধি দল বলেছে এ আমদানি-রপ্তানি পুরোটাই হয় বেসরকারি খাতের হাত ধরে। তাই দুই দেশের সরকার এক্ষেত্রে অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে এসব ক্ষেত্রে ব্যবসা–বাণিজ্যের উন্নয়নে কাজ করবে।

তিনি বলেন, দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে এফবিসিসিআই সভাপতি একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে কাতার সফরের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। কাতার চেম্বারের প্রেসিডেন্ট এ প্রস্তাবে স্বাগত জানিয়েছেন। আমি মনে করি এ বিষয়ে পরবর্তী সময়ে ফলোআপ করলে উভয় দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের দিক থেকে লাভবান হবে।

বাংলাদেশের বন্দর অবকাঠামোতে বিনিয়োগ করতে কাতার আগ্রহী বলে শোনা যাচ্ছিল। এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি-না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সালমান এফ রহমান বলেন, কাতারে একটি বড় বন্দর রয়েছে। কিন্তু সেটি সেভাবে ব্যবহার হচ্ছে না। তাই তারা আমাদের বন্দরের বিষয়ে আরও জেনে তাদের বন্দরের সঙ্গে ট্রেডিং করিডোর তৈরির আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এ বিষয়টি নিয়েও আগামীতে কাজ হবে। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী ও এফবিসিসিআই সভাপতি ছাড়াও সরকারের বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।