দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে ইদানিং গুজব মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। এতোদিন ফেসবুক এবং অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রুপে তালিকাভুক্ত কোম্পানি নিয়ে নানা গুজব ছড়ালেও সম্প্রতি তা মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে গেছে। ফলে এরই ধারাবাহিকতায় শেয়ার দর বাড়া কমা নিয়ে নানান ধরণের পোষ্ট দিয়ে বিনিয়োগকারীদেরকে হতাশায় ফেলছে চক্রগুলো।

আর এমন চক্রগুলোকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আরও বেশি কঠোর হচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ফলে তালিকাভুক্ত কোম্পানি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য ও গুজব ছড়ানো নিয়ে সতর্ক করেছে বিএসইসি।

আজ রোববার বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পুঁজিবাজারকে অস্থিতিশীল করতে ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ অনলাইন প্ল্যাটফর্মে পুঁজিবাজারের বিভিন্ন বিষয়ে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে কিছু ভিত্তিহীন গুজব ও অসত্য তথ্য ছড়ানো হচ্ছে যার কোনো ভিত্তি নেই।

দেশের পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি দেশের পুঁজিবাজার ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় নিয়মিতভাবে ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ভুয়া ও অসত্য তথ্য বা গুজব প্রকাশ অথবা প্রচারের বিষয়সমূহর উপর সতর্ক নজর বজায় রাখছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়ম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ ইন্টারনেটে শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অপ্রকাশিত তথ্য প্রকাশ, শেয়ার দরের পূর্বাভাস কিংবা ভবিষ্যতবাণী ইত্যাদিসহ যেকোন ধরণের অসত্য তথ্য ও গুজব প্রকাশ বা প্রচার আইনত শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

অতএব, পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনকে এধরণের ভূয়া ও অসত্য তথ্য বা গুজব প্রকাশ অথনা প্রচার থেকে সম্পূর্ণরূপে বিরত থাকতে সতর্ক করা হলো।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশের অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারকে অস্থিতিশীল করতে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ভিত্তিহীন, ভুয়া ও অসত্য তথা এবং গুজব ছড়ানো ব্যক্তিদের এই মর্মে সতর্ক করা যাচ্ছে যে, যে বা যারা ভুয়া ও অসত্য তথ্য বা গুজব প্রকাশ বা প্রচারে জড়িত রয়েছেন কিংবা আগামীতে জড়িত থাকবেন তাদের সকলের বিরুদ্ধে ত্বরিত যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে তাদের তাৎক্ষণিকভাবে আইনের আওতায় আনা হবে।

এর আগে, গত শুক্রবার রাতে পুঁজিবাজার নিয়ে কারসাজি ও গুজব রটনাকারী চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর একাধিক এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।