আবদুর রহমান, দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচকের বড় দরপতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে টানা দরপতনের কারণ কী এ নিয়ে অজানা আতঙ্কে রয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। চলতি সপ্তাহে টানা তিন কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচক উধাও ১৬৮ পয়েন্ট। অর্থাৎ এই তিন কার্যদিবসে বিনিয়োগকারীদের প্রায় ৮৩ হাজার কোটি টাকর বাজার মুলধন কমেছে।

তবে এর মধ্যে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের কিছুটা উত্থান হলেও পরের তিন কার্যদিবস সূচকের বড় দরপতন হয়েছে। ফলে টানা দরপতনে পুঁজি নিয়ে দু:চিন্তায় বিনিয়োগকারীরা। এছাড়া টানা দরপতনে বিনিয়োগকারীদের লোকসানের পাল্লা ভারী হচ্ছে। এছাড়া লেনদেন ৫ শত কোটির ঘরে চলে আসছে।

একাধিক বিনিয়োগকারীরা ক্ষোভের সুরে বলেন, গত এক বছরের বেশি সময় ধরে টানা দরপতনে অধিকাংশ বিনিয়োগকারীর পুঁজি ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ হারিয়েছে। এছাড়া যারা লোনে বিনিয়োগ করছে তারা ফোর্স সেলে নি:স্ব হয়েছেন। এ অবস্থার পরও একটি স্থিতিশীল বাজার আজও তৈরি হয়নি। এভাবে চলতে থাকলে পুঁজিবাজারের প্রতি কেউ আগ্রহ দেখাবে না।

এদিকে চলতি সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস থেকে টানা দরপতন শুরু হয়। গত সোমবার ডিএসইর সূচক কমেছে ২৯ পয়েন্ট ও মঙ্গলবার কমেছে ৮১ পয়েন্ট। আর সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে কমেছে ৫৮ পয়েন্টের বেশি। ফলে গত তিন কার্যদিবসে ডিএসইর সূচক উধাও হয়ে গেছে ১৬৮ পয়েন্ট।
জানা গেছে, দিনশেষে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৫৮ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৫২৭ পয়েন্টে।

আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ২১২ পয়েন্টে এবং ডিএসইর ৩০ সূচক ১৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৯৭৭ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৯৫ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৬১ টির, দর কমেছে ৩০১ টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৩ টির।

ডিএসইতে ৫২৬ কোটি ৩৩ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ১৩৮ কোটি ৩ লাখ টাকা কম। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৬৬৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকার ।অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১০৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৬০ পয়েন্টে। সিএসইতে ২৩৪ টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩২ টির দর বেড়েছে, কমেছে ১৭৪ টির এবং ২৮ টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ১৩ কোটি ৬০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।