আলমগীর হোসেন ও মজিবুর রহমান, দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ডে ফেঁসে যাচ্ছেন ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী কয়েক নেতা। মুলত নতুন মোড় নিচ্ছে এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ডের ঘটনা। প্রতিদিনই নতুন নতুন তথ্য বেরিয়ে আসছে। ফলে আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে এখনও পাদপ্রদীপের আলোয় আছেন যুক্তরাষ্ট্রে পালানো আক্তারুজ্জামান শাহীন।

তবে শাহীনের পেছনে কেউ না কেউ আড়ালে থেকে ঘুঁটি চালতে পারেন এমন সন্দেহ থেকে সরছে না তদন্ত দল। তাই এমপি হত্যায় স্থানীয় রাজনীতির যোগসূত্র নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। ঝিনাইদহের রাজনীতির মাঠের কোন কোন নেতা এমপি আজীম না থাকায় লাভবান হতে যাচ্ছেন, তাদের ওপর ফেলা হচ্ছে তীক্ষè দৃষ্টি। এ পটভূমিতে ঝিনাইদহের বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা আছেন তদন্ত-সংশ্লিষ্টদের চোখে চোখে, যাদের সঙ্গে অনেক দিন ধরে শাহীনের সখ্য ছিল। এ ছাড়া কারও কারও সঙ্গে ছিল আজীমের বিরোধ।

যদিও শুরু থেকে তদন্ত-সংশ্লিষ্টরা বলে আসছেন, চোরাচালানকেন্দ্রিক দ্বন্দ্বসহ বেশ কয়েকটি কারণ সামনে রেখে তারা রহস্য ভেদের চেষ্টা চালাচ্ছেন। তবে মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুকে আটক করা হয়েছে। ডিবির একটি দৈনিক দেশ প্রতিক্ষণকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এদিকে মঙ্গলবার বিকালে মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ে অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের হত্যাকাণ্ডের পর আসামিরা কার কার কাছে ছবি ও ভিডিও শেয়ার করেছে, তা নিয়ে তদন্ত চলছে। সেখান থেকে কেউ আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছে কিনা, কাদের মাধ্যমে আর্থিক লাভবান হয়েছে, এসব বিষয় তদন্ত হচ্ছে। এছাড়া এ ঘটনায় ঝিনাইদহের কয়েকজন রাজনৈতিক নেতাকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, কিলিং মিশনে যারা অংশ নিয়েছিল কলকাতা থেকে এমপি আনারের ছবি হোয়াটসঅ্যাপে কার সঙ্গে শেয়ার করা হয়েছে এবং এতে কোনো আর্থিক সংশ্লিষ্টতা ছিল কিনা, সবকিছু বিষয় তদন্ত চলছে। ১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে ভারতে যান এমপি আনার। ওঠেন পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মল্লপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে। পরদিন চিকিৎসক দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন আনোয়ারুল আজিম।

তবে এরই মধ্যে আজীম আনার হত্যাকাণ্ডে আটক জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবুর দেওয়া তথ্যে অনেকে ফেঁসে যাচ্ছেন। পুলিশের একটি সূত্র দেশ প্রতিক্ষণকে এ তথ্য জানিয়েছে। ঘটনার অন্যতম নায়ক আমানুল্লাহ ওরফে শিমুল ভূঁইয়ার আত্মীয় গ্যাস বাবু। তিনি জানিয়েছেন, ঢাকায় কামরুজ্জামানের গুলশানের বাসায় কয়েক দফা বৈঠক হয়েছিল। যতই দিন যাচ্ছে ততই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ পাচ্ছে।

বাংলাদেশ ও ভারতের তদন্তকারী সংস্থাগুলো নিশ্চিত হয়েছে, চোরাচালান এবং রাজনৈতিক কারণে আনারকে হত্যা করা হয়েছে। কারা এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সে ব্যাপারেও অনেকটা নিশ্চিত পুলিশ। ঝিনাইদহ ও যশোরের ছয়জন ‘প্রভাবশালী’ ব্যক্তি গোয়েন্দাদের নজরে আছেন। তাদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

ফলে ফেঁসে যাচ্ছেন ঝিনাইদহ ও যশোরের আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা। তাদের মধ্যে জেলার শীর্ষ পর্যায়ের এক নেতাও আছেন। এমপি আনারের বিরোধীপক্ষ হিসাবে পরিচিত এসব নেতা হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড আক্তারুজ্জামান শাহীনেরও ঘনিষ্ঠ। হত্যাকাণ্ডের মিশন বাস্তবায়নকারী শিমুল ভূঁইয়া রিমান্ডে ডিবির তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন।

এ ছাড়া এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মূলহোতা যাকে বলা হচ্ছে সেই আকতারুজ্জামান শাহীনের বান্ধবী শিলাস্তি রহমান বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। তারা দু’জনে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন।

শিমুল ভূঁইয়ার জবানবন্দিতে ঝিনাইদহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের কয়েকজন নেতার নাম সামনে এসেছে। তাদেরকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। গতিবিধিও পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এখন আসামিদের দেয়া তথ্যগুলো যাচাই বাছাই করে দেখছেন। এরইমধ্যে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সম্পৃক্ততা থাকার কারণে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ ওরফে বাবুকে শনিবার গ্রেপ্তার করেছে ডিবি। তার আগে তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে ডিবি।

সম্পৃক্ততা পাওয়ার পরে তাকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আদালত ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এমন কিছু তথ্য পাচ্ছে ডিবি যেটি এই হত্যাকাণ্ডের মোড় ঘুরিয়ে দিচ্ছে। বেরিয়ে আসছে হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য, গ্রেপ্তার ও পলাতক আসামিদের পাশাপাশি আর কে কে জড়িত।

একাধিক সূত্র বলছে, আনার হত্যার প্রকৃত রহস্য এখনো উদ্ধার না হলেও ঘুরেফিরে স্বর্ণ চোরাচালন দ্বন্দ্বের পাশাপাশি রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের বিষয়টি সামনে উঠে আসছে। কারণ একাধারে আনার ছিলেন মাঠ পর্যায় থেকে উঠে আসা ওই এলাকার গুরুত্বপূর্ণ নেতা। তিন বারের এমপি। বহু বছর ধরে তিনি জনপ্রতিনিধিত্ব করে আসছেন। এ ছাড়া ওই এলাকার স্বর্ণসহ চোরাচালান ব্যবসা একাই নিয়ন্ত্রণ করে আসছিলেন। সবমিলিয়ে তার পদ, সংসদীয় আসন, ব্যবসা, একক নিয়ন্ত্রণ এসব নিয়ে কিছু মানুষ তার উপর ক্ষিপ্ত ছিল।

কারণ ওই এলাকার অধিকাংশ মানুষই চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত। আনারের নিয়ন্ত্রণে থাকার কারণে কেউ সুবিধা করতে পারছিল না। তার সংসদীয় আসনও টানা দখল করে রেখেছিলেন। তার জন্য অন্য কেউ মনোনয়ন পাচ্ছিলেন না। এজন্য তার মৃত্যুর পেছনে অনেকের ক্ষোভ জড়িত। আনারের বন্ধু আকতারুজ্জামান শাহীন তার খুব কাছে থেকেই সবকিছুর খোঁজখবর রাখতো। তার সব বিষয়ে জানতো। তাই মূল পরিকল্পনা শাহীনই করেছিল। শাহীনের চাচাতো ভাই ও শিমুলের ভগ্নিপতি নিহত হওয়ার পেছনেও আনারের সম্পৃক্ততা ছিল বলেও অভিযোগ উঠেছিল।

গোয়েন্দা সূত্র বলছে, শিমুলের জবানবন্দিতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের নাম উঠে আসে। এর পর থেকেই নজরদারির আওতায় আছেন তারা। শিমুলের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, হত্যা মিশন বাস্তবায়নের পর তাকে দুই কোটি টাকা দেওয়ার কথা ছিল কাজী কামাল আহমেদ বাবুর। আর বাবুর পেছনে ছিলেন ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী আরেক নেতা। শিমুলের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি এবং তথ্য-প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারে ডিবি ওই নেতার সম্পৃক্ততার বিষয়ে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবুর রাজনৈতিক গুরু জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাঈদুল করিম মিন্টু। ঝিনাইদহ পৌরসভার সাবেক এই মেয়রের ডান হাত হিসাবে পরিচিত বাবু। আওয়ামী লীগ নেতা বাবুকে ডিবি গ্রেফতারের পর থেকেই আত্মগোপনে চলে গেছেন মিন্টু।

এমপির স্বজনদেরও দাবি, এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে রাজনৈতিক বিরোধী পক্ষ জড়িত। ২০১৭ সালেও বিরোধী পক্ষ এমপি আনারকে হত্যাচেষ্টা করে। সে ঘটনায় থানায় মামলা হয়, আসামিরাও সব স্বীকার করে। তবে মামলাটি পরে মীমাংসা করা হয়। আনারের ভাই এনামুল হক ইমান বলেন, গ্রেফতার বাবুর সব থেকে ঘনিষ্ঠ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিন্টু। এছাড়া হত্যার মাস্টারমাইন্ড আক্তারুজ্জামন শাহীনেরও ঘনিষ্ঠ এই মিন্টু। আমরা প্রথম থেকেই বলে এসেছি, আনারকে হত্যার পেছনে মিন্টুর হাত থাকতে পারে।

তিনি আরও বলেন, গত সংসদ নির্বাচনে আনারের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন আব্দুর রশীদ খোকন। খোকনের পক্ষে কাজ করেন সাবেক মেয়র সাইদুল করিম মিন্টুসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের কিছু নেতাকর্মী। তারা এক জনসভায় প্রকাশ্যে বক্তব্য দেয় বঙ্গের মাটিতে জায়গা হবে না আনারের। মিন্টু নির্বাচন ছাড়া টানা ১২ বছর মেয়র ছিলেন। মেয়র পদ হারানোর পেছনে আনারকে দায়ী করে আসছিল মিন্টু। এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে মিন্টুকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ধরেননি।

নাম প্রকাশ না করে ডিবির তদন্তসংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, চরমপন্থি নেতা শিমুলের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী কাজী কামাল আহমেদ বাবুর পেছনে রয়েছে অপর এক আওয়ামী লীগ নেতা, যার সঙ্গে সরাসরি কথা হয়নি শিমুলের। ওই নেতাই বাবুকে দিয়ে দুই কোটি টাকা পৌঁছে দিতে চেয়েছে শিমুলের কাছে।

তবে রিমান্ডে বাবু সব অস্বীকার করছে উল্লেখ করে ডিবির ওই কর্মকর্তা বলেন, বাবু রিমান্ডে দাবি করেছে শিমুল তার কাছে দুই কোটি টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে তাকে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয়। এজন্য সে শিমুলকে টাকা দিতে চেয়েছিল। তবে শিমুলের ফোন থেকে তার হোয়াটসঅ্যাপে আসা এমপি আনারের ছবি ও হত্যার বিষয়ে বিভিন্ন কথোপকথনের বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি বাবু।

এদিকে এমপি আনার হত্যার ঘটনায় অনেকেই গ্রেফতার হতে পারেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। গত সোমবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন। মঙ্গলবার দুপুরে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে হাইওয়ে পুলিশের ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, এমপি আনার চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, আমরা তা কখনোই বলিনি। আমরা সব সময় বলে আসছি এমপির ওই এলাকা সন্ত্রাসপূর্ণ। ওখানে আসলে কী হয়েছে, আমাদের জানতে হবে। তদন্ত করছি, তদন্ত শেষে আপনাদের সবকিছু জানাব। এমপি আনারের মেয়ে ডরিন সন্দেহভাজনদের নাম বলেছেন।

কাদের নাম বলেছেন তিনি এমন প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, যখন তদন্ত চলে তখন আমাদের মন্ত্রী, আইজিপি কিংবা তদন্তকারী কর্মকর্তার পক্ষ থেকে তদন্ত না করে কোনো কিছু বলা সম্ভব না। আমরা মনে করি তদন্ত শেষ হলে এগুলো নিয়ে কথা বলব। গত ১২ মে ভারতে যান এমপি আনার। পরদিন ১৩ মে কলকাতার নিউটাউন এলাকার সঞ্জীবা গার্ডেনের একটি ফ্ল্যাটে খুন হন তিনি। তবে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে ২২ মে। ওইদিন রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন (২৪) বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা করেন।

জানা গেছে, ঝিনাইদহের এক আওয়ামী লীগ নেতাকে বাবার হত্যার বেনিফিশিয়ারি হিসাবে হত্যাকারী সন্দেহ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছেন ডরিন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, সে তার বাবার হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানাবে এটাই স্বাভাবিক। সে সন্দেহভাজনদের নাম বলেছে। আমরা তার বক্তব্যকে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি।

এছাড়া ডরিন অভিযোগ করেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা না হয়েও তদন্তে নাক গলানো ডিবির এডিসি শাহিদুর রহমান রিপন তার বাবার হত্যাকারীদের কৌশলে গ্রেফতার এড়ানোর সুযোগ করে দিয়েছেন। আসামি শিমুলের বক্তব্য সঠিকভাবে রেকর্ড করতে দেননি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, বরিশাল জেলায় বদলির পরও কেন সে এতদিন ছাড়পত্র নেয়নি এবং কী উদ্দেশ্যে নিজেকে তদন্ত কর্মকর্তা হিসাবে পরিচয় দিয়েছে তাও খতিয়ে দেখা হবে।