দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি উত্তরা ব্যাংক পিএলসির চলতি ২০২৪ হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) কর-পরবর্তী নিট মুনাফা বেড়েছে ৬০ দশমিক ৮২ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে ব্যাংকটির নিট মুনাফা হয়েছে ১৯৪ কোটি টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা হয়েছিল ১২০ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। ব্যাংকটির মূল্যসংবেদনশীল তথ্যের মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে।

চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৩৫ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময় যা ছিল ১ টাকা ৪৬ পয়সা। গত ৩০ জুন শেষে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৮ টাকা ৪৪ পয়সায়।

২০২৪ হিসাব বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) ব্যাংকটির নিট মুনাফা হয়েছে ১৩৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই প্রান্তিকে যা হয়েছিল ৬৫ কোটি ৪৯ পয়সা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে ব্যাংকটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৬৬ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই প্রান্তিকে যা হয়েছিল ৮০ পয়সা।

উত্তরা ব্যাংকের পর্ষদ সর্বশেষ সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে ১৭ দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ ও ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ স্টক। আলোচ্য হিসাব বছরে ব্যাংকের ইপিএস হয়েছে ৪ টাকা ৩২ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৩ টাকা ৬৯ পয়সা। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৩১ টাকা ৪ পয়সায়, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ২৭ টাকা ৮৮ পয়সা।

৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২২ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের মোট ২৮ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে উত্তরা ব্যাংক। এর মধ্যে ১৪ শতাংশ নগদ ও ১৪ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। আলোচ্য হিসাব বছরে ব্যাংকটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ৪ টাকা ২০ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৩ টাকা ৪৫ পয়সা। ওই বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকের সমন্বিত এনএভিপিএস দাঁড়ায় ৩১ টাকা ৭৯ পয়সায়, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ২৮ টাকা ৮০ পয়সা।

সমাপ্ত ২০২১ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের মোট ২৮ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে উত্তরা ব্যাংক। এর মধ্যে ১৪ শতাংশ নগদ ও ১৪ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। আলোচ্য সময়ে ব্যাংকটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ৪৫ পয়সা। আগের বছরে ছিল ৩ টাকা ৮০ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরের জন্য মোট ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল উত্তরা ব্যাংক।

এর মধ্যে সাড়ে ১২ শতাংশ নগদ ও সাড়ে ১২ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য মোট ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন ব্যাংকটির শেয়ারহোল্ডাররা। এর মধ্যে ৭ শতাংশ নগদ ও বাকি ২৩ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ।

১৯৮৪ সালে পুঁজিবাজারে আসা উত্তরা ব্যাংকের অনুমোদিত মূলধন ১ হাজার ৫০০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ৮২৫ কোটি ৭৬ লাখ ১০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ১ হাজার ৪৫২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ৮২ কোটি ৫৭ লাখ ৬০ হাজার ৭৪২। এর মধ্যে ৩০ দশমিক ৫৮ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে।

এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৯ দশমিক ৯৫, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে দশমিক ৪১ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে বাকি ৩৯ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইতে গতত বৃহস্পতিবার উত্তরা ব্যাংকের শেয়ারের সর্বশেষ ও সমাপনী দর ছিল ২১ টাকা ৩০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ১৮ টাকা ৮০ পয়সা ও ২৭ টাকা ৮০ পয়সা।